শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে মারধর
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম জনি মিয়া। তিনি উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা গ্রামের জহির মিয়ার ছেলে। আহত ঠিকাদারের প্রতিনিধির নাম প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।  ওরিয়েন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সাইটে কাজ করার সময় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জনি। এ ছাড়া কাজ বন্ধ রাখার হুমকি দেয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মঙ্গলবার সকালে সাইটে এসে কিল ঘুষি এবং শ্রমিকদের বেলচা দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।‌ জনি মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, সেতুর নির্মাণকাজে বাধা কিংবা চাঁদা চাওয়া হয়নি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে দুপাশে মাটি ফেলানো নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।   উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বড়টিয়া ফুলহারা আঞ্চলিক সড়কের ইছামতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের প্রতিনিধির কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং মারধর করেছে জনি নামের এক যুবক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে জানানো হয়েছে।  ঘিওর থানার এসআই মো. আরবিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ মে, ২০২৪

মাদক কারবারে বাধা, সালিশি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে মারধর
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ইউপি সদস্য বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড়খাতা বাজারে একটি সালিশি বৈঠকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত ১১টায় ওই ইউপি সদস্য বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত যুবক রাকিব (২৭) উপজেলার বড়খাতা এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া সে চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী আহত ইউপি সদস্য তাছাব্বির হোসেন খন্দকার অনিক (৩৫) উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য। জানা গেছে, অভিযুক্ত রাকিব এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে মাদকের কারবার করে আসছে। এ নিয়ে ইউপি সদস্য অনিক বাধা দিলে তার সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে শনিবার বিকেলে ওই ইউপি সদস্য ও রাকিবের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রাতে ইউপি সদস্য অনিক বড়খাতা বাজারে একটি দোকানে অপর একটি বিষয় নিয়ে সালিশি বৈঠকে বসে। এ সময় রাকিবসহ কয়েকজন সেখানে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ইউপি সদস্যকে মারধর করে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য অনিক বলেন, রাকিব মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত। আমি এ নিয়ে তাকে কয়েকবার বাধা দেই। তা নিয়ে সে আমার সঙ্গে প্রায় বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করে। অতপর শনিবার বিকেলে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে রাতের দিকে আমি একটি সালিশি বৈঠকে বসি। সেখানেই সে এসে আমার ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। রাকিবের বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাকিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অনিককে এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল হক বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মে, ২০২৪

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধর থেকে বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ভাই খুন
বোনকে মারছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বোনের চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর আকন্দ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  নিহতের নাম জয়নাল আকন্দ। তিনি বালিজুড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর আকন্দ বাড়ির মুসলিম আকন্দের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ১০ বছর আগে ফুলেরা বেগম ও নুর ইসলামের বিয়ে হয়। তারা একে অপরের প্রতিবেশী ছিলেন। বিয়ের পর নুর ইসলামের পরিবার ফুলেরা বেগমকে মেনে নেয়নি। এ নিয়ে প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে স্বামী নুর ইসলাম প্রবাসে চলে গেলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। শনিবার দুপুরে ফুলেরা বেগমের সঙ্গে তার শাশুড়ি নূরজাহানের ঝগড়া হলে ফুলেরা বেগমকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় ফুলেরা বেগমের চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ বোনের বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গেলে ভাইকে দেখে ফুলেরা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন।  বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় জয়নালের। একপর্যায়ে ফুলেরার শাশুড়ি নূরজাহান তার বাবা ও তিন ভাইকে জানালে তারা এসে জয়নালের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জয়নালের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে প্রতিবেশী বাবুল ও আলমগীরকেও পিটিয়ে আহত করে অভিযুক্তরা। জয়নাল আকন্দসহ তিনজনকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুরে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে নেওয়ার পথে জয়নাল আকন্দ মারা যান। মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনজুরুল বারী বলেন, নিহত জয়নাল আকন্দের মাথায় আঘাতে ভেতরের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত দুজন উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।  ভুক্তভোগী ফুলেরা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর শাবু মিয়া, শাশুড়ি নূরজাহান, দেবর সাইফুল ও ননদ সাবিনা আমাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন। আজ দুপুরে আমাকে মেরে ফেলার জন্য মারধর করতে থাকেন। আমার চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ পুকুরে গোসল করার জন্য আসছিলেন, আমি বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে আমার ভাই আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, একপর্যায়ে আমার শাশুড়ি নূরজাহান তার বাবা ও ভাইদের ফোন করে জানালে তারা লাঠি নিয়ে এসে আমার মামাশ্বশুর মেহেদী হাসান আমার ভাই জয়নালকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে। এ ঘটনায় আমি দোষীদের শাস্তি চাই।  মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মাহমুদুল হাসান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

চবিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের একই গ্রুপের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী সবাই শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয়ের একাংশের অনুসারী। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নাম্বার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশিকুজ্জামান জয় পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিগত ৪ বছর ধরেই তিনি এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয়ের কর্মী। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের নিলয়, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আলফাত রাব্বাকিয়ান মামুন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল মিয়া (আতিশ ফয়সাল), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তনয় কান্তি সরকার ও ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের রাসেল রাজসহ মোট ১৫-২০ জন মারধরে অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আশিক। অভিযুক্ত সবাই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আশিকুজ্জামান জয় জানান, কাল রাতে ইলিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেন খারাপ এই জেরে আলাওল হলের আল জোবায়ের নিলয়, রাব্বাকিয়া মামুন, আতিশ ফয়সাল, তনয় কান্তি সরকার, ও এফ রহমান হলের শাকিল আহমেদ, রাসেল রাজ-সহ ১৫-২০ জন মিলে আমাকে আমার ৪৪০ নং রুমে হত্যার চেষ্টা করে। আমার শরীরে চেয়ার ভাঙ্গা থেকে শুরু করে নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি জানান, মারধরের এক পর্যায় হলের ছাদ থেকে ফেলে দিতে চাইলে আমি ওদের ধাক্কা দিয়ে কোনভাবে দৌড়ে পালিয়ে যাই। পরে আমাকে হলের গেটে আবার মারধর করে। যখন আমাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সেটা প্রমাণ মিলবে। তারপর হলের ২জন সিনিয়রদের সহযোগিতায় আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এমনভাবে আমাকে মারা হয়েছে আমি জানিনা কবে সুস্থ হবো। অপরাজনীতির শিকার হয়ে আমাকে যেভাবে মারা হয়েছে আমি এর বিচার প্রশাসনের কাছে চাই। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছিলাম, স্যার আমাকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দিবো। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, মূলত বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ও মাদক সেবনের জন্যেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী আশিকুজ্জামান জয়ের। অপরদিকে হলে মাদক কারবারের বিষয়ে নিষেধ করতে গিয়ে কথার কাটাকাটি ও পরে ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে দাবি অভিযুক্তদের। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের নিলয় বলেন, ওই ছেলে (আশিকুজ্জামান জয়) মাদকাসক্ত এবং হলে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের আস্তানা তৈরি করে রেখেছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে হলের সিনিয়র জুনিয়র সকলেই বিরক্ত। আমরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে তাকে এসব থেকে বিরত থাকতে বলে আসতেছি কিন্তু তিনি কিছুতেই কর্ণপাত করেনা। ঘটনার দিনও আমরা সেশনের সব বন্ধুরা মিলে তাকে এ নিয়ে বুঝাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে চরমভাবে খারাপ ব্যবহার করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যার কারণে সেখানে থাকা কয়েকজন রেগে যায় এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। অপর অভিযুক্ত রাসেল রাজ বলেন, আমরা শুধু কথা বলতে গিয়েছিলাম। মারধরের কোনো উদ্দেশ্যই আমাদের ছিলনা। বাইরে থেকে আমরা কোনো অস্ত্রই নিয়ে যাইনি। তিনি যে লাঠিসোটা ও হকিস্টিকের কথা বলছে তা সম্পন্ন মিথ্যা। এ বিষয়ে জানতে বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এ বিষয়ে এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলী আরশাদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সদ্য নিয়োগ পেয়েছি এই হলে এজন্য এখনো অনেক বিষয় জানিনা। তবে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রক্টরিয়াল বডি ব্যবস্থা নিবে। আর খুব শীঘ্রই তাদের ছাত্র ও বহিষ্কৃতদের বের করে বৈধভাবে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. অহিদুল আলম বলেন, গতকাল রাতে ঘটনা জানার পর এফ রহমান হলে সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছিলাম। আজকে সকালে আমিও এফ রহমান হলে গিয়েছিলাম তবে ভুক্তভোগী কোনো একটা কটেজে অবস্থান করাতে দেখা করতে পারিনি। এভাবে কেউ কাউকে মারধর করাটা বড় অপরাধ। ভুক্তভোগী এখনও প্রক্টর অফিসে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করব।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

চুরির অভিযোগে স্কুলশিক্ষককে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর বখাটেদের
লক্ষ্মীপুরে চুরির অভিযোগে আক্তার হোসেন বাবু নামে এক স্কুলশিক্ষককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে বখাটেরা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ওই এলাকার পেঁচা সুমনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতের ভাই মাসুদুর রহমান। এর আগে নির্যাতনের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে জেলাজুড়ে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আইয়ুব আলী পোলের গোড়া নামক এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিক্ষককে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুতর আহত ওই শিক্ষক সদর উপজেলার পৌর শহরের লাহারকান্দির এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক। চোর অপবাদে স্কুলশিক্ষককে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর বখাটেরা নির্যাতনের শিকার পরিবার জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িয়ে বেড়াতে আসেন স্কুল শিক্ষক। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে শহরের আইয়ুব আলী পোলের গোড়া এলাকায় ছোটভাই মাসুদুর রহমানের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। ডায়বেটিস থাকায় রাতে হাটতে বের হন তিনি। এ সময় পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন,অটোরিকসা চালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ ১০/১২ জনের একদল বখাটে ওই শিক্ষককে চোর অপবাধ দিয়ে বিদ্যুৎতের খুটিঁর সঙ্গে হাত-পা বেধেঁ ফেলে। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে হাত-পা বেধে র্ববর নির্যাতন চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে খুঁটিরর সঙ্গে হাত-পা বেধেঁ বর্বর নির্যাতন করছে পেচা সুমন। এসময় পাশে বেশ কয়েকজন যুবক বিষয়টি দাড়িয়ে দেখছে। নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান এলাকাবাসী। সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ বলেন, আক্তার হোসেন বাবুকে বেদম মারধর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শারীরিক অবস্থায় সর্ম্পকে বলা যাবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

পাকিস্তানে থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা
থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালনগরের একটি থানায় আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে। ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের পেটানোর ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার। আর এগুলো ভাইরাল হয় বুধবার। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাদের দেখে দৌড়ে পালাচ্ছেন পুলিশের দুই সদস্য। কিন্তু তাদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে সেনা সদস্যরা। এরপর তাকে মারধর করা হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভাওয়ালনগরের ওই থানার পুলিশ সদস্যরা তিন বেসামরিক ব্যক্তিকে আটক করে এবং অবৈধ অস্ত্রের অজুহাতে তাদের কাছে টাকা দাবি করে। যে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল তাদের এক সহযোগীকে ধরতে পুলিশ সদস্যরা সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বাড়িতেও অভিযান চালায়।  বিষয়টি সেনা সদস্যদের ক্ষিপ্ত করে। এরপর সেনা সদস্যরা ভাওয়ালনগরের ওই থানায় অভিযান চালায়। এসময় থানায় আটক ছিলেন ওই তিনজন। থানায় অভিযান চালিয়ে আটক তিনজনকে ছাড়িয়ে আনতে যান সেনারা। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর করে সেনা সদস্যরা।  শুধু তাই নয়, বেসামরিক ব্যক্তিদের আটক ও তাদের কাছে অর্থ চাওয়ার চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে সেনাদের হাতে ব্যাপক পিটুনি খাওয়া এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। অবশ্য সেনাবাহিনীর থানায় হামলা চালানোর বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন পাঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, পাঞ্জাবে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে পুলিশ-সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ পাঞ্জাব পুলিশের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, পুলিশের জন্য এ ঘটনা একটি অপমানজনক বিষয়।  
১২ এপ্রিল, ২০২৪

দুই সাংবাদিককে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি
কুমিল্লার চান্দিনায় অফিসে ঢুকে দুই সাংবাদিককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পোস্ট অফিসের পাশে সাংবাদিকদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  মারধরে আহত ও হুমকি পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক কালবেলার চান্দিনা প্রতিনিধি আকিবুল ইসলাম হারেছ ও দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি সোহেল রানা।  মো. শামীম হোসেন চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য। জানা গেছে, দেয়ালে আরেক প্রার্থীর পোস্টারের ওপরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শামীম হোসেনের পোস্টার লাগাতে গেলে নিষেধ করে দুই সাংবাদিক। এতে ক্ষিপ্ত হন শামীমের সমর্থকরা। পরে সাংবাদিকদের কার্যালয়ে শামীমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে সাংবাদিক সোহেল রানা ও আকিবুল ইসলামকে মারধর করে। মারধরের পর তাদের হত্যার প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। হামলার শিকার সাংবাদিক সোহেল রানা বলেন, আমি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় চারজন কিশোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের পোষ্টারের ওপর শামীম হোসেনের পোস্টার লাগাচ্ছে। আমি ও সাংবাদিক হারেছ তাদেরকে পোস্টারের ওপর পোস্টার না লাগিয়ে নিচে ফাঁকা জায়গায় লাগাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তারা। একপর্যায়ে একজন ফোন করে ৬/৭ জন কিশোর এনে আমাদের ওপর চড়াও হয়। তিনি বলেন, পরে আমরা অফিসে গেলে শামীম হোসেন ও তার সহযোগীরা অফিসে ঢুকে আমাদের এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি ও তার ভাতিজা রাশেদ আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম হোসেন বলেন, এক পোস্টারের ওপর আরেকজনের পোস্টার লাগানো নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কর্মীদের তর্ক হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমি শুধু সাংবাদিকদের বলেছি, আপনারা কেন ভিডিও করেছেন? কেউ তো অভিযোগ করেনি। পরে কিংকর ভাইয়ের অফিসে গিয়ে এটা সমাধান করেছি। তিনি বলেন, দুই সাংবাদিকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমাদের মধ্যে হাসিখুশি কথাবার্তা হয়েছে। আমার লোক কাউকে মারধর করেনি। আর আমিও তাদেরকে হুমকি দেইনি। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যবসায়ীকে মারধর করলেন চসিকের কর্মকর্তারা 
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। চসিকের এই দুই কর্মকর্তা হলেন- স্টেট অফিসার রেজাউল করিম এবং প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. লতিফুল হক কাজেমি।  এ ঘটনার ভিডিও শুক্রবার রাতে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি আগামী সোমবারের মধ্যে সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তবে এটার সমাধান না হলে কঠোর অবস্থানে যাবেন বলে জানিয়েছেন মার্কেট সমিতির নেতারা। তাছাড়া শনিবার মার্কেটে এক জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন নেতারা। ওই ভিডিওতে দেখো যায়, চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটস্থ দোকান মালিক সমিতির অফিস কক্ষের চেয়ারে বসে আছেন সমিতির প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন বাপ্পী। পাশে সমিতির আরও কয়েকজন নেতা। এ সময় আচমকা অফিসে ঢুকেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজেমি ও স্টেট অফিসার রেজাউল করিমসহ অন্যরা। তাদের নেতৃত্বে সিটি করপোরেনের একদল নিরাপত্তা রক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীও ছিলেন। দলটি অফিসে ঢুকেই তর্কাতর্কিতে জড়ায় সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। এক পর্যায়ে মনির হোসেনকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন চসিকের স্টেট অফিসার রেজাউল করিম। এই মারধরে গুরুতর আহত হন মনির হোসেন বাপ্পী।  বিষয়টা নিয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন দোকান মালিক সমিতি। সমিতির সহসভাপতি মো. ইব্রাহিম ভুইঁয়া দৈনিক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  হামলার ঘটনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর ব্যংকক মার্কেটের ৩৭১ নম্বর দোকানটির মালিক সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রকৌশলী আবদুল মালেক। তিনি হচ্ছেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তার কমান্ডার লতিফুল হক কাজেমির শ্বশুর। দোকানটি মনির ও জাকির হোসেন নামে দুই ভাই ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় কিছুটা টানাপোড়েনের কারণে তারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। তাদের ১১ লাখ টাকা জামানত ছিল দোকান মালিকের কাছে। ভাড়াটিয়া ও মালিকের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে নিয়ম অনুযায়ী সমিতি তা সমাধান করে দেয়। এ ক্ষেত্রেও সমিতি তা করতে গেলে দোকান মালিক তার প্রভাব দেখান সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে। এক পর্যায়ে দলবল নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়।  এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজেমি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশে একটা বন্ধ দোকান উচ্ছেদ করতে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ওই মার্কেটে যাই। এক পর্যায়ে দোকান মালিক সমিতির একজন আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে উচ্ছেদ দলে থাকা কর্মীরা তার উপর চড়াও হয়।  ভিড়িও ফুটেজে মারধরের দৃশ্য দেখার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমি সমিতির ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছি। কয়েকদিন আগে উল্লিখিত দোকানের মালিক সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবদুল মালেকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে যাই। সাবেক ওই কর্মকর্তা তার শ্বশুর কিনা জানতে চাইলে তিনি চুপ থাকেন।  চসিকের কর্তাদের উপর্যুপুরি মারধরের শিকার ভুক্তভোগী মনির হোসেন বাপ্পী কালবেলাকে বলেন, আমি সমিতির প্রচার সম্পাদক ও মার্কেটের ৩য় তলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। ৩য় তলার ৩৭১ নম্বর দোকানটি নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছিল। সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আমি সমস্যা সমাধানের অংশ হিসেবে নিয়ম মাফিক আলোচনা করছিলাম সমিতির অফিসে। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সমিতির কোনো কথা না শুনে আমার উপর হামলা করে ব্যাপক মারধর শুরু করেন। এ সময় আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তারা। এতে সমিতির অফিস সহকারী মাহমুদুল হক জামশেদকেও তারা বেধড়ক মারধর করে। এ সময় পুলিশও উপস্থিত ছিল। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। দোকান মালিক সমিতির আরেক সহসভাপতি দস্তগীর আজাদ বলেন, মনির হোসেন বাপ্পী আমাদের মার্কেটের ৩৩৩ জন ব্যবসায়ীর নির্বাচিত প্রতিনিধি। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা তাকে এভাবে বেধড়ক মারধর করতে পারেন না। এ নিয়ে আমরা মেয়রের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি সোমবার বৈঠকের কথাও বলেছেন। তবে কোনো ধরনের সুরাহা না হলে আইনগত প্রক্রিয়ার পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফেনীতে এলজিইডির প্রকৌশলী ও কর্মচারীদের মারধর
ফেনীতে সড়কে বিটুমিন কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নয়ন এন্টারপ্রাইজের লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৭ মার্চ) সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের উত্তর শর্শদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা, কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার, নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজু। ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিত করা ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এলজিইডির সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা কেল্লা শাহ সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে কাজে অনিয়ম দেখতে পেয়ে তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমলে নেয়নি। বুধবার সকালে অফিসের কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার ও নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজুকে নিয়ে ফের পরিদর্শনে যান। সড়কে বিটুমিন কম দেওয়ায় সতর্ক করে পুনরায় দিতে নির্দেশ দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের মারধর করে। আহত মাসুদ রানা বলেন, সড়কে বিটুমিনের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। কাজ ঠিক করে পুনরায় বিটুমিন দিতে তাদেরকে নির্দেশনা দেই। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহেল ও শ্রমিকদের দলনেতা মোফার নেতৃত্বে শ্রমিকরা মারধর শুরু করে। আমাকে বাঁচাতে এলে কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার, নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজুকেও মারধর করে তারা।   এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাস গুপ্ত বলেন, ঘটনাটি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ফেনীর যেকোনো উন্নয়ন কাজে অনিয়মের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। যেই অনিয়ম করবে, কোনো পরিচয়ই তাকে রেহাই দিতে পারবে না। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবদুল আহাদ নয়ন বিদেশে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৮ মার্চ, ২০২৪

সিরাজগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকে মারধর
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বাবা, ছেলে, পুত্রবধূসহ অনেকেই। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে‌ছে। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পরিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জেরে আজ সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন নুরুল ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকে মারধর করেন প্রতিপক্ষরা। এদি‌কে খবর পেয়ে সাগরীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তার বাবা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এ সময় তাদেরও মারধর করা হয়। এ ছাড়া আরও যারা এগিয়ে আসেন তাদেরও মারধর করা হয়। এ প্রস‌ঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায়  অভিযোগ নিয়ে  একজন থানায় এসেছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
২৩ মার্চ, ২০২৪
X