Mon, 20 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
জনগণ আর ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দেবে না : বিপিপি
১৩ মিনিট আগে
স্নাতক পাসে অফিসার পদে চাকরি দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
২৩ মিনিট আগে
বিআরটিসির ২৯৮তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
২৮ মিনিট আগে
বিএনপির ৩ নেতাকে শোকজ
২৬ মিনিট আগে
ইরানের সরকার আসলে কীভাবে পরিচালিত হয়?
৪৩ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মৃত কন্যার বিয়ের জন্য মৃত পাত্র খুঁজছেন বাবা-মা
ত্রিশ বছর আগে মারা যাওয়া কন্যার জন্য একজন মৃত পাত্রের সন্ধান করছেন বাবা-মা। পাত্র খুঁজে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ কন্নড় জেলার একটি পরিবার এমন বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। ব্যতিক্রম এ ঘটনাটি এখন শহরের আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পরিবার বলছে, তারা তাদের মৃত কন্যার জন্য একটি বিবাহের ব্যবস্থা করতে চান। কারণ তারা মনে করেন, পরকালে তাদের কন্যার অবিবাহিত অবস্থার ফলে তারা এখন নানা দুর্ভাগ্যের শিকার হচ্ছেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুর এলাকায় ওই পরিবারটি বসবাস করে। ৩০ বছর আগে নবজাতক অবস্থায়ই কন্যার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটিতে দুর্ভাগ্য হানা দিয়েছিল। এর পর থেকেই একের পর এক ঝড়-ঝাপটা পাড়ি দিচ্ছে তারা। অপ্রত্যাশিত নানা কিছুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে পরিবারটিকে। এই দুর্ভাগ্যের কারণ হিসেবে পরিবারটিকে সমাজের বয়োবৃদ্ধরা বলেছে, তাদের কন্যার অতৃপ্ত আত্মাই তাদের জন্য নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় মৃত কন্যার আত্মাকে শান্তি দেওয়ার জন্য বাবা-মা তার বিয়ের আয়োজন করতে চাইছে। শুধু তাই নয়, পাত্র চেয়ে তারা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিবারটি এমন একজন পাত্রের সন্ধান করছে, যে কি না ৩০ বছর আগে মারা গেছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘৩০ বছর আগে মারা যাওয়া পাত্রীর জন্য ৩০ বছর আগে মারা যাওয়া পাত্র খুঁজছি। দুটি আত্মার বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য দয়া করে এই নম্বরে (...) কল করুন।’ বিজ্ঞাপনটিতে দুঃখ ভারাক্রান্ত বাবা-মা উল্লেখ করেছেন— আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেক চেষ্টার পরও একই বয়সী এবং বর্ণের একজন উপযুক্ত মৃত পাত্র খুঁজে পেতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত আত্মাদের মধ্যে বিয়ের আয়োজনের মতো এই ধরনের প্রথা কর্ণাটকের ৩টি উপকূলীয় জেলা এবং কেরালার পার্শ্ববর্তী কাসারগোদ জেলার কিছু এলাকাজুড়ে দীর্ঘ কাল ধরে চলে আসছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা স্থানীয় টুলু ভাষায় কথা বলেন। টুলুভা বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। তারা পরিবারের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়।
১৪ মে, ২০২৪
মৃত বাড়ি গিয়ে খাবার খেয়ে অজ্ঞান, হাসপাতালে ৭
মৃত স্বজনকে দেখতে গিয়ে চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে ৭ জন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে তাদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর আগে সোমবার (১৩ মে) রাতে লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়িতে দুই পরিবারের ৭ জনকে অচেতন করে সব মালামাল লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জন হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আসিব (২২), আবু জাকেরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৭০), চর কাউনিয়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে আমিন উল্লা (৬০), লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইলের ছেলে দিদার হোসেন (৩২), দিলালের মেয়ে পলি আক্তার (১৭), মোদাব্বের হোসেনের স্ত্রী শামছুর নাহার (২১) ও নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী তানহা বেগম (২৫)। ভুক্তভোগী খাদিজার ছেলে আল আমিন বলেন, আমার মামার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আত্মীয়ের জানাজা ও দাফন কাজ করার জন্য। দাফন শেষে সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে চলে যায়। এক ফাঁকে দুর্বৃত্তরা খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। সেই খাবার খেয়েই সবাই অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি তানহা বেগম বলেন, সবাই জানাজা ও দাফন কাজে ব্যস্ত ছিল। আমরা ঘরে ছিলাম। এক অপরিচিত মহিলা মোবাইল চার্জ দিতে আসে। চার্জ দিয়ে তিনি চলে যান। তারপর আমরা যারা ভাত খেয়েছি সবাই অজ্ঞান হয়ে যাই। আমিও অজ্ঞান ছিলাম। এই সুযোগে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুই পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মেশানো ছিল।
১৪ মে, ২০২৪
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিতে মৃত অন্তত ২২
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটাসহ কয়েকটি জেলায় এ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রদেশে এখনো বৈরী আবহওয়া বিরজমান রয়েছে। ফলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ডন জানিয়েছে, কোয়েটায় হালকা বিরতি দিয়ে প্রায় সারা দিন ভারী বৃষ্টি, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে সেখানকার প্রধান সড়ক ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। আকস্মিক এ বন্যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে আসা এলপিজির একটি বড় ট্যাংকার বেলুচিস্তানের নোশকি জেলার একটি মহাসড়কে উল্টে গেছে। বন্যায় মহাসড়ক ডুবে থাকায় স্রোতে এটি উল্টে যায়। তবে এটি থেকে চালক ও অন্যরা নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বন্যার ফলে প্রদেশের বোলান নদী, নরিগজ-মুলা নদী এবং অন্যান্য নদনদীতে পানি উপরে উঠে গেছে। এসব নদীর অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া জিয়ারাত, কোয়েটা, কালাত, কান মেহতারজাই, পিশিন এবং উত্তর বেলুচিস্তানের বেশকিছু এলাকার তাপমাত্রাও অনেক কমে গেছে। ফলে স্থানীয়রা গ্যাস হিটার ও গরম কাপড় পরে উত্তাপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪
জীবিত থেকেও মৃত রুস্তম আলী
ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের রুস্তম আলী মীর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৮১ বছর বয়সী রুস্তম আলী মীরকে ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বাস্তবে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি এখন মৃত। এ ছাড়া শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে থেকে পেতেন প্রতিবন্ধী ভাতা। জীবিত এ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটিও বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। ফলে গত চার বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী। এ বিষয়ে রুস্তম আলীর কন্যা মোসা. রোকসানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করায় সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল হওয়ায় আর্থিক সংকটে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন । প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীর কালবেলাকে বলেন, আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত দেখানোর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো হয়েছে। আর আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করেছে তারা। কারা করেছে এ কাজ? এর জবাবে বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, আমার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজশে মুকন্দপুট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি টাকার বিনিময়ে আমাকে মৃত দেখিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে ওরা। এতে আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই। স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশি কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। এখানে আমার কোনো ত্রুটি নেই। প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীর ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনি না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের জন্য মূলত এমনটি হয়েছে। যা একটা বড় গাফেলতি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুস্তম আলী মীরের মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
জীবিত থেকেও মৃত রুস্তম আলী
ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের রুস্তম আলী মীর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৮১ বছর বয়সী রুস্তম আলী মীরকে ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বাস্তবে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি এখন মৃত। এ ছাড়া শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে থেকে পেতেন প্রতিবন্ধী ভাতা। জীবিত এ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটিও বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। ফলে গত চার বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী। এ বিষয়ে রুস্তম আলীর কন্যা মোসা. রোকসানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করায় সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল হওয়ায় আর্থিক সংকটে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন । প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীর কালবেলাকে বলেন, আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত দেখানোর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো হয়েছে। আর আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করেছে তারা। কারা করেছে এ কাজ? এর জবাবে বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, আমার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজশে মুকন্দপুট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি টাকার বিনিময়ে আমাকে মৃত দেখিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে ওরা। এতে আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই। স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশি কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। এখানে আমার কোনো ত্রুটি নেই। প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীর ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনি না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের জন্য মূলত এমনটি হয়েছে। যা একটা বড় গাফেলতি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুস্তম আলী মীরের মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
জীবিত থেকেও মৃত রুস্তম আলী
ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের রুস্তম আলী মীর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৮১ বছর বয়সী রুস্তম আলী মীরকে ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বাস্তবে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি এখন মৃত। এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে থেকে পেতেন প্রতিবন্ধী ভাতা। জীবিত এ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটিও বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। ফলে গত চার বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী। এ বিষয়ে রুস্তম আলীর কন্যা মোসা. রোকসানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করায় সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল হওয়ায় আর্থিক সংকটে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন । প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীর কালবেলাকে বলেন, আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত দেখানোর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো হয়েছে। আর আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করেছে তারা। কারা করেছে এ কাজ? এর জবাবে বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, আমার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজশে মুকন্দপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি টাকার বিনিময়ে আমাকে মৃত দেখিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে ওরা। এতে আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই। স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশী কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। এখানে আমার কোনো ত্রুটি নেই। প্রতিবেশী কুদ্দুস আলী মীর ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনি না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের জন্য মূলত এমনটি হয়েছে। যা একটা বড় গাফিলতি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুস্তম আলী মীরের মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি বেঁচে নেই
গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত জন্ম নেওয়া সেই মেয়ে শিশুটি আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এবং তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে রাফাহর একটি হাসপাতালে শিশুটি মারা গেছে বলে জানানো হয়। গত রোববার মধ্যরাতের পরপরই রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু সাবরিন আল-সাকানির জন্ম হয়। সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চরম লড়াই করেন। হাত পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন তারা।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
চড় মারতেই অজ্ঞান স্ত্রী, মৃত ভেবে স্বামীর আত্মহত্যা
স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিরোধ অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ঠিক তেমনিভাবে এক বিরোধের জেরে স্ত্রীকে থাপ্পড় দিয়েছেন স্বামী। আর তাতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপরই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি বুঝতে না পেরে তাকে মৃত ভেবে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে চড় মেরেছেন স্বামী। এতে তিনি জ্ঞান হারালে স্বামী তাকে মৃত ভাবেন। এরপর কিছু না ভেবেই ওই স্বামী আত্মহত্যা করেন। বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা করা স্বামীর নাম প্রীজিত। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এ নিয়ে স্ত্রী সিনসিনার সঙ্গে ঝগড়া হয়। আর তা একপর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রীজিত নিজের স্ত্রীকে আচমকা চড় মেরে দেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এরপর স্ত্রীকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। তরে স্ত্রীর সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান। সিনিসিনা পুলিশকে জানান, জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজের স্বামীকে গলায় রশি নিয়ে ঝুলে পড়তে দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে প্রীজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা জানান, প্রীজিত প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে রীতিমতো ঝামেলাও হতো। মঙ্গলবারও মদ্যপ অবস্থায় রাড়িতে ফেরেন তিনি। এরপর স্ত্রী কটূক্তি করায় তিনি রেগে যান। রাগের মাথায় প্রীজিত স্ত্রীকে চড় মারেন। এরপর স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে তিনিও আত্মহত্যা করেন। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রীজিত দিনমজুরের কাজ করতেন। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
বিচিত্র /
ঋণ নিতে ব্যাংকে আনলেন মৃত ব্যক্তিকে!
অর্থের জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করেন। ঋণ নেওয়ার সময় অনেকে মিথ্যা তথ্যও দেন। তবে ঋণ নেওয়ার জন্য মৃত ব্যক্তিকে হাজির করার কথা নিশ্চয় শোনেননি। ঠিক এমনই কাণ্ড করে ব্রাজিলে এক নারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সম্প্রতি দেশটির ইটাউ ব্যাংকের রিও ডি জেনিরো শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, হুইলচেয়ারে থাকা একজন বয়স্ক ব্যক্তির মাথা তুলে ধরে কলম ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত ওই নারী তার মৃত চাচাকে দিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। সেখানে তাকে কাউন্টারে হুইলচেয়ারে বসিয়ে জীবিতের ভান ধরান। খবরে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ২৫০ ডলারের ওই ঋণ আগেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে ওইদিন অর্থ ছাড়ের জন্য ওই ব্যক্তির চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য আনা হয়েছিল। তখন ওই নারী বলেন, ‘চাচা, আপনি কি শুনছেন? এটা অবশ্য আপনাকে সই করতে হবে। আমি তো আপনার হয়ে সই করতে পারব না।’ যাই হোক পরে চিকিৎসক ও পুলিশ ডাকা হয়। চিকিৎসক এসে জানান, ওই ব্যক্তি আগেই মারা গেছেন। পরে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়। সূত্র: অ্যারিনিউজ
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
মৃত ব্যক্তিকে ব্যাংকে নিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা, নারী আটক
ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক নারী। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংকে নিয়ে তার মৃত চাচাকে দিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। সেখানে তাকে কাউন্টারে হুইলচেয়ারে বসিয়ে জীবিতের ভান ধরান। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই নারীর কথাবার্তার একটি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্রাজিলব্যাপী তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইটাউ ব্যাঙ্কের রিও ডি জেনিরো শাখার কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, হুইলচেয়ারে থাকা একজন বয়স্ক ব্যক্তির মাথা তুলে ধরে কলম ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত কয়েক হাজার ডলার সমতুল্য একটি ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যা ইতিমধ্যেই ব্যাংক অনুমোদন করে। কিন্তু টাকা ছাড় হওয়ার জন্য ওই বয়স্ক ব্যক্তির সই-য়ের প্রয়োজন ছিল। ভিডিওটি করেন ব্যাংকের এক কর্মী। সে ভিডিওতে হুইলচেয়ারে থাকা ব্যক্তি প্রতিক্রিয়াহীন ছিলেন। তার বাহু নিস্তেজ এবং মাথা পেছনে হেলে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ওই নারী উঁচু স্বরে বলেন, ‘চাচা, শুনছেন? আপনাকে এখানে সই করতে হবে। আপনি যদি সই না করেন, কোনো উপায় নেই। আমি আপনার হয়ে সই করতে পারব না। এটি আপনাকেই করতে হবে। অন্য যেসব কাজ আপনার হয়ে করতে পারি, তা তো আপনার জন্য করেই দেই।’ তিনি আরও বলছিলেন, ‘এখানে সই করেন। আমাকে আর জ্বালাবেন না। আবার রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে। এসব প্যারা আমি আর নিতে পারছি না।’ এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নমনীয় হন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে তিনি অসুস্থ। থাক, আপনিই সইটা করে দেন। রিও ডি জেনিরো সিভিল পুলিশ প্রধান ফ্যাবিও লুইস সুজা বলেন, ব্যাংক পরিচালকরা তখন একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর প্যারামেডিকরা এসে দেখেন লোকটি কয়েক ঘণ্টা আগেই মারা গেছেন। এর মানে ব্যাংকে মৃত ব্যক্তিকেই আনা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ওই নারী ও মৃত ব্যক্তির সম্পর্ক নিয়েও সন্দেহ করছে। এ ব্যাপারে তদন্তও শুরু করেছে তারা। তদন্তে সত্যতা পেলে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হবে। তবে ওই নারীর আইনজীবী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, পুলিশের দেওয়া তথ্য সত্য নয়। চাচাকে জীবিত অবস্থাতেই ব্যাংকে আনা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X