শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
ভাত রান্না করতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
নওগাঁর রাণীনগরে রাইসকুকারে ভাত রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে নাজমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকালে উপজেলার কাশিমপুর সাহানাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত নাজমা বেগম কাশিমপুর সাহানাপাড়া গ্রামের মিলন শাহানার স্ত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ নাজমা ভাত রান্না করার জন্য সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাইসকুকারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছিলেন। এ সময় বিদ্যুতের প্লাগে রাইসকুকারের তারের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হন।  এ অবস্থায় তার ছেলে দেখতে পেয়ে নাজমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূ নাজমাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, বিদ্যুৎস্পর্শে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় গৃহবধূর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

জলদস্যুদের অনুমতি নিয়ে সেমাই রান্না করে খেয়েছেন জিম্মি নাবিকরা
সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিক জাহাজেই ঈদ উদযাপন করেছেন। দস্যুদের অনুমতি নিয়ে সেমাইও রান্না করে খেয়েছেন জিম্মি নাবিকরা।  বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় তারা জাহাজের ডেকে নামাজ আদায় করেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ বর্তমানে সোমালীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। সোমালিয়াসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডেকে যাওয়ার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানা গেছে। জাহাজে ওয়েলার পদে কর্মরত শামসুদ্দিনের ভগ্নীপতি বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তার শ্যালক বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ফোন করেছেন। এ সময় তিনি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। ওয়েলার শামসুদ্দিন তখন স্বজনদের ভালো আছেন বলে জানান। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে দস্যুদের অনুমতি নিয়ে সব নাবিক একসঙ্গে জাহাজের ডেকে ঈদের নামাজ পড়েছেন ও সেমাই রান্না করে খেয়েছেন বলেও জানান তিনি।  আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধারে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন। উদ্বেগের কোনো কারণ নেই, তবে মুক্তির সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ হয়নি। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাবিকদের পরিবারকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, তাদের উদ্ধারে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে সরকার। প্রথমত, যারা অপহরণ করেছে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত, জলদস্যুদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিত তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল- সেটি এখন নেই। আমরা আশা করছি, তাদের শিগগিরই মুক্ত করতে পারব। জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা গত ২৭ মার্চ থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে। এমভি আব্দুল্লাহ দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ। এটি একটি বাল্ক ক্যারিয়ার। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী
ভালো করে মুরগির মাংস রান্না করতে না পারায় বহুতল ভবনের জানালা দিয়ে  স্ত্রীকে নিচে ফেলে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। আর স্ত্রীকে ফেলে দেওয়ার সেই মুহূর্ত রেকর্ড হয়েছেন সিসি ক্যামেরায়। এমন ঘটনায় সিসি ক্যামেরার রেকর্ডেট ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরে। গত ৯ মার্চ লাহোরের নোনারিয়ান চকের শালিমার রোডের কাছের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ৩০ মার্চ ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হলে এটি ভাইরাল হয়ে যায়।  নির্মমতার শিকার ওই মহিলার নাম মরিয়ম। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার মূলহোতা স্বামী মোহাম্মদ জোবাইর ও জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরপরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিসহ পরিবারের কয়েক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লাহোর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মরিয়মের স্বামী মোহাম্মদ জোবাইর, শাশুড়ি সায়মা এবং দেবর ওয়াইসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় নিজেরা বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছে পুলিশ।  ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়- একটি গলি দিয়ে পথচারীদের সামনে হঠাৎই একজন নারী একটি ভবনের ওপর থেকে নিচের রাস্তায় পড়েন। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করেন ওই মহিলা। তার চিৎকার শুনে পথচারীরা এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনাটিই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।  Shocking incident from Lahore Pakistan: A woman was thrown out of a window by her husband Shahbaz, brother-in-law Roman, and mother-in-law Shazia, for not spicing the chicken properly. Incident is from March 9, 2024. One of the main accused was arrested.https://t.co/CyXeOIt1KL pic.twitter.com/YAIvnT3QL1 — Diksha Kandpal (@DikshaKandpal8) March 30, 2024 জানা যায়, মুরগির মাংস ঠিকমতো রান্না না করতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে মারধর করে। এরপর স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর মিলে ওই নারীকে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। বিশেষ করে তার দুই পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই মরিয়মের সঙ্গে ঝগড়া এবং তার ওপর হাত তুলতেন তার স্বামী। 
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

দিনে জ্বলে না চুলা রাতে চলে রান্না
জাহানারা আলম। রাজধানীর পূর্ব জুরাইনের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে বদলে গেছে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কারণ গ্যাস সংকটে দিনের বেলা বন্ধ হয়ে গেছে রান্নাবান্না। গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়—কখন জ্বলবে চুলা। এরপর গ্যাস এলে একসঙ্গে তিন বেলার খাবার রান্না করতে হয়। কারণ ঘুম থেকে উঠে আর গ্যাসের দেখা মেলে না। এভাবে রাত জেগে রান্না করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানিয়ে জাহানারা আলম কালবেলাকে বলেন, ‘গ্যাস সংকটের কারণে গভীর রাতে জেগে রান্নার কাজ করতে হয়। সেজন্য ঘুম হয় না। আর দিনের বেলায় ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। বাসার অন্যান্য কাজ করতে হয়। ফলে টানা বেশিক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ হয় না।’ এই গৃহিণী আরও জানান, ‘গ্যাস সংকটের কারণে গত মাসে একটি ইলেকট্রিক ওভেন কিনেছেন। রাতের তৈরি করা রান্না প্রতি বেলায় ওভেনে গরম করে খাচ্ছেন; কিন্তু এর বিপরীতে বিদ্যুতের বিল আসছে অনেক বেশি। আবার গ্যাস না পেলেও বিল দিতে হচ্ছে ঠিকই। পাশাপাশি গ্যাসের অভাবে খাবার তৈরিতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে ব্যয় বাড়ছে এবং চিকিৎসার জন্যও খরচ হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্যাস সংকটের কারণে তিন দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ বেড়েছে। এক মাস ধরেই এটা চলছে। এটা তো আমাদের মতো চাকরিজীবীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ।’ শুধু জুরাইন নয়, মহাখালী, পল্লবী, কাফরুল, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০, রায়েরবাগ, গ্রিন রোড, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, বাসাবো, আরামবাগ, লালবাগ, যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলা, উত্তরাসহ রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায়ই এখন এমন অবস্থা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বাসাবাড়িতে গ্যাসের সরবরাহ থাকে না। কোথাও দুপুরের পর, কোথাও সন্ধ্যায়, আবার কোথাও গভীর রাতে মেলে গ্যাসের দেখা। ফলে ঢাকার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনযাত্রা বদলে ফেলেছেন। আরও ভয়াবহ অবস্থা শিল্পকারখানায়। ঢাকার আশপাশের শ্যামপুর, কাঁচপুর, ভুলতা ও রূপগঞ্জের একাধিক শিল্পকারখানার কর্মকর্তারা জানান, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। রড উৎপাদনে গ্যাস অন্যতম সাশ্রয়ী উপকরণ। এই শিল্প-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। গ্যাসের অভাবে ফার্নেস অয়েল বা ডিজেল ব্যবহার করে উৎপাদন করতে হচ্ছে। একই অবস্থা সারা দেশে রড উৎপাদকদের। দেশে রড উৎপাদনকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত জানান, ‘এখন চাহিদার বিপরীতে আমরা ৬০ শতাংশের মতো গ্যাস পাচ্ছি। বাকি চাহিদা মেটাতে হচ্ছে জ্বালানি তেল দিয়ে। গ্যাসের দাম যেখানে ৩০ টাকা, সেখানে তেলের দাম ১০৫ টাকা। ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে রডের দামও বেড়ে গেছে।’ শিল্পকারখানায় গ্যাস সংকট নিয়ে নিট পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালবেলাকে বলেন, ‘গ্যাস সংকট নিয়ে কথা বলতে বলতে আমরা হয়রান। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার কথা বলে দাম বাড়ানো হয়েছিল। এখন বাড়তি দামেও গ্যাস দিতে পারছে না। গ্যাস না পাওয়ার কারণে অর্ধেকে নেমে এসেছে উৎপাদন। সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। শিপমেন্ট শিডিউল ফেইল করার কারণে ক্রেতারা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে অর্ডার বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আসলে আমরা ব্যবসায়ীরা এখন অসহায়।’ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক হোসেন মেহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো দিন ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যায় না। গ্যাস থাকলেও চাপ এতই কম থাকে, যা দিয়ে উৎপাদন করা যায় না। এতে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। অপচয়ের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। অন্তত ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে গ্যাস সংকটের কারণে। গ্যাস না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা আগের চেয়ে অর্ডার নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে।’ গ্যাসের সংকট শুধু শিল্প বা বাসাবাড়িতেই নয়, পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজিরও সংকট চলছে। রাজধানীর অধিকাংশ সিএনজি স্টেশন শুধু গভীর রাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা গ্যাস পায়। আবার সেই সময়ও প্রেশার কম থাকে। সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর জানান, ‘সরকার ঘোষিত বন্ধের সময়ের বাইরেও গ্যাসের অভাবে সকাল ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটা-৩টা পর্যন্ত বেশিরভাগ স্টেশন বন্ধ থাকে। দুপুরের দিকে আর গভীর রাতে কিছুটা গ্যাস পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত চাপ থাকে না। ফলে মেশিন চালানো যায় না। আবার চাপ কম থাকার কারণে ক্রেতারও লোকসান হয়।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, শীত শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে প্রকট আকার ধারণ করেছে গ্যাসের সংকট। শীতে সাধারণ বিদ্যুতের চাহিদা কমে থাকলেও কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে কয়েক বছর ধরে শীতে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা গেছে। এ ছাড়া এখন সার কারখানায়ও চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। চলমান গ্যাস সংকট নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘প্রতিবছরই শীতে পাইপলাইনে পানি জমার কারণে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া এই সময়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় গ্যাসের চাহিদাও বেড়ে যায়। এবার এর সঙ্গে সরবরাহের অপ্রতুলতা যোগ হয়ে সংকট তীব্র হয়েছে। কারণ দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি সংস্কারের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরেকটি টার্মিনাল নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে যাবে। সেটি মার্চ নাগাদ চালু হবে। এলএনজি টার্মিনালটি সংস্কার শেষে দেশে না আসা পর্যন্ত গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো পেট্রোবাংলার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি জানান, ‘আগামী মার্চ মাসের মধ্যে গ্যাস সংকট সমাধান হয়ে যাবে। আর ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।’ তবে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, বছরজুড়েই থাকবে গ্যাসের সংকট। যদিও তা এখনকার মতো তীব্র হবে না। রেশনিং করে এই সংকট মোকাবিলার চিন্তা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে গড়ে সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ২ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট পাওয়া যাচ্ছে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে। এই হিসাবে ঘাটতি থাকছে ১ হাজার ৭৫০ মিরিয়ন ঘনফুট ঘাটতি থাকছে। মার্চে দুটি এলএনজি টামিনাল চালু হলে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহে যোগ হবে। তারপরেও ঘাটতি থাকবে ১ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে মোট চাহিদা ৮০ শতাংশ দেশে উৎপাদিত গ্যাস দিয়ে মেটানো হয়। আর বাকি ২০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। চলতি বছর সরকারের আমদানির পরিকল্পনায় রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার, ওমান থেকে ৫৬ কার্গো এলিএনজি আমদানি করা হবে। এর মধ্যে কাতার থেকে আসবে ৪০ কার্গো এবং ওমান থেকে ১৬ কার্গো। এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে চলতি বছর ২৫ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকার ১৩ কার্গো আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কার্গোপ্রতি এলএনজির ধারণক্ষমতা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ। বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ এরই মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারায় বেশ কয়েকটি কোম্পানি এলএনজি সরবরাহে অপরাগতা জানিয়েছে। ফলে এসব অনিশ্চয়তার কারণে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা গেছে, আপাতত গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর কোনো উপায় না থাকলেও সংকট সমাধানে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খনন ও সংস্কারের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে সফল হলে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। এরই মধ্যে কয়েকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা পরিমাণে কম। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের হাতে থাকা বিবিয়ানায় নতুন গ্যাসের মজুত পাওয়া গেছে। সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এই গ্যাস উত্তোলন চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগে করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কূপ খনন ও সংস্কার করে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাওয়া যাবে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়া নতুন করে উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি করতে যে বিপুল পরিমাণ ডলার দরকার সেটি জোগাড় করা না গেলে আমদানি ব্যাহত হবে। এ সময় দেশের পুরোনো কূপ থেকে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি দেশে চাহিদাও বেড়ে যেতে পারে। ফলে চলমান সংকট কতটা দূর হবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের পুরো সময়টাই গ্যাস গ্রাহকদের সংকটের মধ্য দিয়েই কাটাতে হবে। এ ছাড়া গ্যাস সংকটের কারণে গত সোমবার জামালপুরের তারাকান্দির যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয় এ কারখানায়। আরও অন্তত চারটি কারখানার সার উৎপাদন কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার উৎপাদন ব্যাহত হলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। আবার কৃষি উৎপাদন ঠিক রাখতে গেলে সার আমদানিতে ব্যয় বাড়বে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সমগ্র অর্থনীতিতে।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

রান্না করত নিয়ান্ডারথালরা
মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হোমো স্যাপিয়েন্স। অন্যদিকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায় মানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি প্রজাতি হোমো নিয়ান্ডারথালেনসিস ওরফে নিয়ান্ডারথাল। তারা যে মানুষের মতোই বুদ্ধিমান ছিল সেটির প্রমাণ মিলল এবার। জিনিসপত্রের ব্যবহারের পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে রান্না করতেও জানত নিয়ান্ডারথালরা। পর্তুগালের গ্রুতা দে অলিভারিয়া নামে একটি গুহাবেষ্টিত এলাকায় প্রাপ্ত নমুনা বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক একদল গবেষক জানালেন এ তথ্য। তারা মোটামুটি নিশ্চিত যে, আগুন ও রান্না ছিল নিয়ান্ডারথালদের নিত্যসঙ্গী। পর্তুগালের আলমোন্ডা নামে একটি গুহার নেটওয়ার্কে পাওয়া যায় নিয়ান্ডারথালদের বসতি। সেখানেই গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অনেকগুলো চুলার অস্তিত্ব। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন বসতির বয়স ১ লাখ ২০ হাজার বছর। ওই অঞ্চলে খোঁড়াখুঁড়ি করেই গবেষকরা গোলাকৃতির চুলার সন্ধান পান এবং তাতে পোড়া হাড়, কাঠ ও ছাইয়ের অস্তিত্ব মিলেছে। ওই হাড় দেখে গবেষকরা এ-ও ধারণা করছেন যে, নিয়ান্ডারথালদের মেনুতে থাকত ছাগল, হরিণ, ঘোড়া থেকে শুরু করে গন্ডারের মাংসও।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩

নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না করলেন প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সেই খাবার নিজের হাতে স্বজনদের মাঝে পরিবেশন করেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সন্তান লীলা, কাইয়ূস ও তাইকাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হন। অনেকদিন পর প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে যাওয়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের একটি রিল ভিডিও থেকে। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট দিয়ে লিখা হয়েছে, ‘টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না। পরিবারের সবার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ব্যতিক্রমী সন্ধ্যা।’ ওই রিল ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশ পোলাও স্বজনদের জন্য পরিবেশন করছেন। গরম ভাপ ওঠা ইলিশের টুকরো যাতে ভেঙে না যায় সেজন্য তিনি পরম মমতায় একটি একটি করে তুলে পাতে দিচ্ছিলেন।  
১১ অক্টোবর, ২০২৩

টাকেও গজাবে চুল, সমাধান রান্না ঘরেই!
চুলের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সালফার। তাই স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই উপাদানটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে আপনি কি জানেন একটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে আমাদের হাতের কাছেই, যাতে প্রচুর পরিমাণে সালফার মেলে? একদমই ঠিক শুনেছেন! এই জন্যেই চুল ভালো রাখতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের পরামর্শও দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার পাওয়া যায়, যা চুলের জন্যে খুবই উপকারী। তাই ঘরোয়া রূপটানে যেমন এটি ব্যবহার করা হয়, তেমনই বিউটি ওয়ার্ল্ডে নানা হেয়ার প্রোডাক্টেও থাকে পেঁয়াজের রস। এই উপাদান নানাভাবেই চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রবন্ধে পেঁয়াজের হেয়ার টনিক বানানো এবং তার ব্যবহারে নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।  চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার পাওয়া যায়। এই উপাদান আপনার চুল পাতলা হতে দেয় না। সহজে ভাঙে না চুল। এটি আপনার হেয়ার ফলিকলেও প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি মেটায়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা পেঁয়াজের রস আপনার স্ক্যাল্পের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে চুলে সহজেই পাক ধরে না। স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ, পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে। তাই সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এই উপাদান। আপনার হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করে। চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া কমায় এই প্রাকৃতিক উপাদান। ইতিমধ্য়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, কেন আপনার হেয়ার কেয়ার রুটিনে পেঁয়াজের হেয়ার টনিক যোগ করা প্রয়োজন! চুল পড়া কমায় এই উপাদান চুলের যত্নে এই উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন তো করেই, পাশাপাশি হেয়ার ফল কমাতেও এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আরও পড়ুন : যে নিয়মটি অনুসরণে টাক ঢাকবে ঘন চুলে ২০০২ সালে এই বিষয়ক একটি গবেষণা করা হয়। পরবর্তীতে এই গবেষণাপত্র প্রকাশও করা হয়। নারী-পুরুষের একটি গ্রুপের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই গবেষণায় চুলের বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের রসের ইতিবাচক প্রভাবেরই খোঁজ মিলেছে। পেঁয়াজের হেয়ার টনিক কী? চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হেয়ার টনিক। হেয়ার টনিক সাধারণত স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় লাগানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত অন্যান্য হেয়ার টনিকের মতো পেঁয়াজের টনিকও ঠিক এই কাজটিই করে থাকে।এখন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে বানাবেন এই হেয়ার টনিক। বানানোর নিয়ম ৩-৪টি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর জুসারে দিয়ে এর থেকে রস বের করে নিন। আলাদা করে ছেঁকে নিতে ভুলবেন না। তবে পেঁয়াজের পেস্টটি ফেলে দেবেন না কিন্তু, এটি আপনার পরে কাজে লাগবে। একটি সসপ্যানে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিন। হালকা আঁচে এটি গরম করতে থাকুন। তেল গরম হলে তার মধ্যে পেঁয়াজের রস এবং পেঁয়াজ বাটা মিশিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে নিন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিয়ে সসপ্যান নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে কাচের শিশিতে ঢেলে রাখুন। ব্যবহার করবেন কী ভাবে? গোসল করার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে এই হেয়ার টনিক ব্যবহার করতে হবে। একটি ড্রপারের সাহায্য়ে পরিমাণ মতো হেয়ার টনিক আপনার স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ভালো করে স্ক্যাল্প মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। উল্লেখ্য, আপনার স্ক্যাল্পে কোনও সমস্যা থাকলে বা চুলের চিকিৎসা চললে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনও হেয়ার টনিক ব্যবহার করবেন না।
০৬ আগস্ট, ২০২৩
X