ইউক্রেনের দাবি  / উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া
প্রায় আড়াই বছর চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের শহর খারকিভে একটি অস্বাভাবিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এক তরুণ ইউক্রেনীয় অস্ত্র পরিদর্শক দাবি করেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় নয়, বরং উত্তর কোরিয়ায় নির্মাণ হয়েছে। খবর বিবিসির। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে বৈধভাবে উত্তর কোরিয়ার অন্য কোনো দেশের কাছে এ ধরনের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন নেই। এমনকি, এ ধরনের অস্ত্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সূক্ষ্ম ইলেকট্রনিক চিপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানিরও কোনো (বৈধ) পথ নেই দেশটির হাতে। ২ জানুয়ারি খারকিভের সেই হামলার খবর পাওয়ার পর ইউক্রেনীয় অস্ত্র পরিদর্শক ক্রিস্টিনা কামিচুক দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী কিয়েভের একটি সুরক্ষিত অবস্থানেও তিনি সেই একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষের দেখা পান। তিনি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবচ্ছেদ করেন এবং এর প্রতিটি অংশের ছবি তোলেন।
০৬ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ / ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ওপর বিশ্বব্যাপী যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের। এ ধরনের রাসায়নিকের অস্ত্র ব্যবহার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সম্ভবত ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সুরক্ষিত অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত ফল অর্জনের জন্য রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের কারণে মস্কোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লোরোপিক্রিন একটি বর্ণহীন তৈলাক্ত তরল যা চোখ, ত্বক এবং ফুসফুসে মারাত্মক জ্বালা সৃষ্টি করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচুর পরিমাণে এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি জানিয়েছে। যদিও কৃষিকাজে কীটনাশক হিসেবে এটি এখনো ব্যবহার করা হয়। তবে ১৯৯৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) অধীনে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়া বলছে যে, তাদের কাছে আর সামরিক রাসায়নিক অস্ত্রাগার নেই। তবে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা প্রকাশের জন্য ক্রমাগত চাপের মুখে রয়েছে মস্কো। ক্লোরোপিক্রিন ছাড়াও রুশ বাহিনী সিএস এবং সিএন গ্যাস সমৃদ্ধ গ্রেনেড ব্যবহার করে আসছে। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়। এতে আরও বলা হয় যে, অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে এবং একজন টিয়ার গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিউন্দোজ মামেদভ। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক মাধ্যমে তিনি এক পোস্টে বলেন, রুশ সেনাবাহিনী গত ছয় মাসে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৯০০ বার টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।
০৩ মে, ২০২৪

ইসরায়েল ইস্যুতে দ্বিমুখী নীতি, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে রাশিয়া
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির তদন্তের বিরোধিতা করায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে রাশিয়া। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না। এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না ওয়াশিংটন।  তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ওই সময় ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণও আইসিসির কাছে তুলে ধরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল ইস্যুতে এক নীতি এবং ইউক্রেন ইস্যুতে এর বিপরীত নীতি অবলম্বন করায় ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ এবং ভণ্ডামি বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলার বিষয়টি তদন্ত করছে আইসিসি। সংস্থাটি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যারও তদন্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না বলে বিবৃতি দেওয়ার পর পরই পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া।  রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতা এবং ভণ্ডামি। রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে।  ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। কারণ তাদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরাইলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে আইসিসির সদস্যভুক্ত দেশে যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। 
০২ মে, ২০২৪

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুখবর দিল রাশিয়া
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজ্যান্ডার ম্যানটিসকি।  এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের থার্ড সেক্রেটারি মি. অলেগ কজিন।  বৈঠকে রাশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্জিত ডিগ্রির সমতা বিধানের জটিলতা নিরসন করা এবং নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় সহযোগিতা ও মেডিক্যাল সাইন্সের ডিগ্রির ক্ষেত্রে সুযোগ বৃদ্ধি করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর।
০২ মে, ২০২৪

রেলওয়ের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী রাশিয়া
রেলের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।  রেল ভবনে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধে মস্কোর অমূল্য সমর্থনের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক বিরাজমান। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।   রেলমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। দেশটির অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান। বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ, মিটারগেজ, ডুয়েলগেজ দ্বারা বিভক্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছি। রেলের আরও সম্প্রসারণ করে প্রত্যেকটি জেলায় রেল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। রাশিয়া আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের রাশিয়ার বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত এ সময় রাশিয়ার বিভিন্ন রেল স্থপনা পরিদর্শনে মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী প্রমুখ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

তিন দেশকে মার্কিন সামরিক সহায়তার সমালোচনায় রাশিয়া
ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের সমালোচনা করেছে রাশিয়া। মার্কিন এই সামরিক সহায়তা বিশ্বব্যাপী সংকট আরও ঘনীভূত করবে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। খবর আলজাজিরার। রোববার (২১ এপ্রিল) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন সারা বিশ্বে সংকটকে আরও গভীর করবে। তিনি বলেন, কিয়েভ সরকারকে সামরিক সহায়তা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা। তাইওয়ানকে দেওয়ার মানে হলো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। আর ইসরায়েলকে দেওয়ার মানে হলো সরাসরি উসকানির পথে হাঁটা। এই সহায়তার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নজিরবিহীন হারে বৃদ্ধি পাবে। এর আগে গতকাল শনিবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে বহুল আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেয় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এই প্যাকেজের বিরোধিতা করলেও বড় ধরনের দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েই শনিবার বিলগুলো পাস হয়েছে। শনিবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে এসব বিলের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে ৩১১-১১২ ভোটে বিল দুটি পাস হয়েছে। এতে ১০১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দিলেও ১১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সহায়তা বিলে ইউক্রেনের জন্য ৬০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন, ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন এবং তাইওয়ানসহ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কংগ্রেসে সহায়তা বিল পাস হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইতিহাসকে সঠিক পথে রাখতে অগ্রসর হয়েছেন। গত দুই মাস ধরে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে এই সহায়তা বিল পাস করানোর চেষ্টা করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের বিরোধের জেরে এই প্যাকেজ সামনে অগ্রসর হয়নি। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল রিপাবলিকানদের। তবে এবার প্রতিনিধি পরিষদে প্যাকেজটি পাস হওয়ায় তা ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে এটি পাস হলে তা বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি সই করলে বিলগুলো আইনে পরিণত হবে। ফলে এই তিন দেশকে এই সহায়তা দিতে আর কোনো বাধার মুখে পড়বে না মার্কিন প্রশাসন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

পারমাণবিক অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল রাশিয়া
পরমাণু অস্ত্রবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আস্ট্রাখান অঞ্চলের কাপুস্তিন ইয়ার রেঞ্জে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে।  রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তথ্যানুসারে, কৌশলগত মিসাইল ফোর্স আইসিবিএমের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ভলগোগ্রাদের কাছাকাছি একটি এলাকায় মোবাইল গ্রাউন্ডভিত্তিক আন্তঃমহাদেশীয় এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষাটি সফল হওয়ায় এর মাথ্যমে দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষেপণাস্ত্রের উচ্চমাত্রার নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের এ পরীক্ষায় কী ধরনের আইসিবিএম ব্যবহার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি রাশিয়া। রাশিয়ায় বর্তমানে আরএস-২৪ ইয়ারস সিরিজের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ন্যাটোতে এসএস-২৯ নামে পরিচিত। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণিবিক অস্ত্র বহন করতে পারে এবং যে কোনো জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়।  রুশ ভাষায় ইয়ারস নামের ক্ষেপণাস্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধকারী রকেট হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। রুশ সশস্ত্র বাহিনীতে সাম্প্রতিক সময়ে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে আরটি-২, পিএম-২ টপল-এম সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করত রুশ সেনাবাহিনী। এটি ন্যাটোতে এসএস-২৭ নামে পরিচিত।  রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে ইয়ারস ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত হওয়ার পর থেকে আরটি-২, পিএম-২ টপল-এম সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করা হয়। ইয়ারস নামের ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক থার্মোনিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এ ছাড়া এগুলো যে কোনো সাইলো বা গাড়ি থেকেও উৎক্ষেপণ করা যায়। রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে এটির আরও আধুনিকায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

কিয়েভের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
আবারও ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ সব অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইউক্রেনের কিয়েভ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। খারকিভ, জাপোরিঝিয়া, ওডেসা এবং লভিভের জালানি সুবিধাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ইউক্রেনজুড়ে এই ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। গত কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।  বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কিয়েভের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র ট্রায়পিলসকা থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি (টিপিপি) ধ্বংস হয়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেন্দ্রটির টারবাইন ওয়ার্কশপে আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত সাইটগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো।  বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রেনার্গোর অধীনে ছিল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তারা এক বিবৃতিতে কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে।  দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে একাধিকবার ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রুশ বাহিনী। সঙ্গে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মনোবলও ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। যদি বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পানি, গ্যাসসহ অন্যান্য সেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। যখন ইউক্রেনে তীব্র শীত চলছিল তখনো হামলা বন্ধ করে রুশ বাহিনী।  ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালায় রাশিয়া। ওই সময় ইউরোপের সবচেয়ে বড় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। এই কেন্দ্রটি থেকে ইউক্রেনের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ মেটানো হতো।  
১১ এপ্রিল, ২০২৪

পুতিনের ভোট দেখতে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আজ বুধবার দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী ১৯ মার্চ সিইসির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সিইসির সফরসঙ্গী হবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। ইসির উপসচিব শাহ আলম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, সফরকালে ১৫ থেকে ১৬ মার্চ ‘নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক এক সম্মেলনে তারা অংশ নেবেন। ১৭ মার্চ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সফরের সময় তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করবে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। আর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে। সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রথমে দুবাই, সেখান রাশিয়া যাবেন তারা। এরপর ১৮ মার্চ তারা দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। এনআইডি কার্যক্রম দেখতে যুক্তরাজ্য ও সৌদি যাচ্ছেন দুই কমিশনার: এদিকে প্রবাসীদের ভোটার রেজিস্ট্রেশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম দেখতে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনাররা। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আগামী ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল যুক্তরাজ্য সফর করবেন। তার সঙ্গে যাবেন ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান ও নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান। এ ছাড়া মো. আলমগীরের স্ত্রী বিলকিস আক্তারও যাবেন ব্যক্তিগত খরচে। আগামী ১৫ এপ্রিল দেশ ছাড়ার পর ২১ এপ্রিল তাদের ফেরার কথা রয়েছে। তাদের অফিসিয়াল সফরের ব্যয় বহন করা হবে স্মার্টকার্ড তথা আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান স্ত্রী সালমা সুলতানাকে নিয়ে সৌদি আরব যাবেন। সঙ্গে থাকবেন সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা। ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল তারা দেশটিতে অবস্থান করবেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার তার স্ত্রীর ব্যয় বহন করবেন। আর সবার ব্যয় বহন করা হবে আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে। ১৯ এপ্রিল তারা দেশ ছাড়ার পর ২৬ এপ্রিল ফেরার কথা রয়েছে।
১৩ মার্চ, ২০২৪

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
ফেডারেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামীকাল বুধবার (১৩ মার্চ) তিনি মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিইসির সফরসঙ্গী হবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। বুধবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটসের ফ্লাইটে প্রথমে দুবাই, পরে সেখান থেকে এমিরেটসের আরেকটি ফ্লাইটে রাশিয়া যাবেন তিনি। এরপর ১৮ মার্চ একই এয়ারলাইনসের একই পথে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন ১৯ মার্চ। সফরকালে সিইসি ১৫ থেকে ১৬ মার্চ ‘নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আর ১৭ মার্চ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সফরের সময় তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করবে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। আর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে।
১২ মার্চ, ২০২৪
X