Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
‘আমার ছেলে কই, আমি আছি আমার ছেলে তো নেই’
৬ মিনিট আগে
বিধ্বস্ত বিমান শনাক্ত, অভিযান শুরু করল নৌবাহিনী
৯ মিনিট আগে
নানা আয়োজনে গজারিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
১৮ মিনিট আগে
ভোট না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটুনি, অবরুদ্ধ একটি গ্রাম
২৭ মিনিট আগে
দেশের আকাশে জিলকদের চাঁদ
৩৫ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
হেড-অভিষেকের রেকর্ডে কপাল পুড়ল মুম্বাইয়ের
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৫৭তম ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে অন্য রকম এক লড়াইয়ে নামেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। লোকেশ রাহুল-ক্রুনাল পান্ডিয়াদের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেটে, কে কত দ্রুত রান তুলতে পারেন যেন সেই প্রতিযোগিতায় নেমে ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তাই তো লখনৌর টার্গেট মাত্র ৯ ওভার ৪ বলে পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় হায়দরাবাদ। বড় এই জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত হয় অরেঞ্জ আর্মিদের। আর আইপিএলের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের লখনৌর বিপক্ষে বেশি কয়েকটি নতুন রেকর্ড হয়েছে অভিষেক শর্মা, ট্রাভিস হেড ও তাদের দল হায়দরাবাদের। একশর বেশি রান তাড়ার ক্ষেত্রে ৬২ বল হাতে রেখে পাওয়া হায়দরাবাদের জয়টি আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। (বলের দিক থেকে)। লখনৌর বিপক্ষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯.৪ ওভারে ১৬৭ রান করে অরেঞ্জ আর্মি। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ১০ ওভারে এটি সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। দলগতের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও জুটিতে রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকটি। এ ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতক করেন ট্রাভিস হেড। পাওয়ার প্লের ভেতরে এটি তার চতুর্থ অর্ধশতক। আইপিএলের এক আসরে পাওয়ার প্লের ভেতরে অর্ধশতকের কীর্তি নেই আর কারও। হেড-অভিষেক জুটি পাওয়ার প্লেতে তুলেছেন ১০৫ রান। আইপিএলে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১২ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়তে রয়েছে হায়দরাবাদ। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নেয় টেবিলের ছয়ে লখনৌ। হায়দরাবাদের এই জয়ে বাদ পড়েছে মুম্বাই। ১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট তাদের। শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা নেই হার্দিক পান্ডিয়ার দলের। মুম্বাই বাদে বাকি ৯ দলের এখনো প্লে-অফে খেলার সুযোগ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড
রাজধানীতে বৃষ্টি ঝরল। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল প্রবল হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, হওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের মতো। আর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ৫৯ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝোড়ো বাতাসের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ঝরছে শিলাও। এদিকে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের আট বিভাগেই টানা তিন দিন বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তামপাত্রা কমারও পূর্বাভাস মিলেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপপ্রবাহ: ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তৃতীয় দিনের অবস্থায় বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় জানানো হয়, এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
০৬ মে, ২০২৪
দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপমাত্রার পর টানা ৫ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার (২ মে) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ১০ শতাংশ। দীর্ঘ ৩৫ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ৩০ এপ্রিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। বুধবার (১ মে) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। প্রকৃতিতে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। একেবারে মরভুমির তাপমাত্রা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, চলতি সপ্তাহে টানা ৫ দিন সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। এখনও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে। এ অবস্থা আগামী দু'একদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া ৪-৫ মে কাল বৈশাখী ও বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা রয়েছে। টানা প্রায় ২০ দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভুমির তাপমাত্রা। অতি দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
০২ মে, ২০২৪
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে। বুধবার (১ মে) যশোরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ বিমান ঘাঁটি আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এদিন এই জেলাতেও তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ১২ শতাংশ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছিল। এদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮, সেদিন চুয়াডাঙ্গায় ছিল সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ। আরও দুএকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শহরে দিনে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। তবে তিন চাকার চালকরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মুজিব সড়ক, দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়কে তীব্র দাবদাহে প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও কম। কিছু ইজিবাইক, রিকশা দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের। শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে ইজিবাইক রেখে যাত্রীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন চালক রফিকুল মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘সকালে ৭টার দিকে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। ৯টা পর্যন্ত মোটামুটি ভাড়া টেনেছি, তারপর থেকে আর যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় লোকজনই নেই বললেই চলে।’ শহরের বকুলতলায় বসেছিলেন রিকশাচালক হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহর ফাঁকা হয়ে গেছে। এত গরমে মানুষ বের হবে কী করে? আমরা পেটের দায়ে বের হয়ে যাত্রী পাচ্ছি না। ভাড়ার রিকশা চালাই, মহাজনকে দেওয়ার মতো টাকাও এখনো হয়নি।’ গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। টানা প্রায় ২০ দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীজগত।
০১ মে, ২০২৪
নিজের রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ মোস্তাফিজের!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন মোস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য কাটার মাস্টারকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেই দেশের বিমান ধরতে হবে তাকে। এ ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ বাঁহাতি এ পেসারের। যদি প্রশ্ন করা হয়, মোস্তাফিজের আইপিএলে সবচেয়ে ভালো বা সেরা মৌসুম কোনটি? কোনো ছেদ চিহ্ন ছাড়া উত্তর হবে ২০১৬ সালের অভিষেক মৌসুম। কারণ সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। এবার চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে আগের মতো কার্যকর বাঁহাতি এ পেসার। এ পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। জসপ্রিত বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে আছেন বাংলাদেশের এ পেসার। উইকেট শিকারের হিসেবে চলতি মৌসুমে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোস্তাফিজের। ২০১৬ পারফরম্যান্সকে পেছনে ফেলে চলতি আসরকে নিজের সেরার মৌসুম বানানোর সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ২০১৬ সালে হায়দরাবাদের জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। সেবার ১৬ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ১৭ উইকেট। প্রথম বিদেশি হিসেবে জিতেছিলেন উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার। চলতি আসরে ৮ ম্যাচে তার শিকার ১৪ উইকেট। অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১৭ উইকেটকে পেছনে ফেলতে তার প্রয়োজন আর মাত্র ৪ উইকেট। আর ছুঁতে দরকার মাত্র ৩ উইকেট। তাকে ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। ফলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করেই দেশে ফিরতে হবে তাকে। এমনিতেই ক্রিকেটের এ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এক ম্যাচে ৩-৪ উইকেট শিকার করা বেশ কঠিন। এদিকে এবারের আইপিএলে চলছে বোলারদের ওপর তাণ্ডব। তারপরও চেন্নাইয়ে ম্যাচ হওয়ায় আশা দেখছেন মোস্তাফিজ-ভক্তরা। চলতি আসরে চিপাকে খেলা ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট নেন টাইগার পেসার। সর্বশেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে শিকার করেন ২ উইকেট। তবে সর্বশেষ দুই ম্যাচে চেন্নাইয়ের রান হয়েছে ২০০-এর বেশি। শিশিরের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কমে যায় বোলারদের কার্যকারিতা। নিজের সেরা মৌসুম ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও তার পারফরম্যান্সে বেশ খুশি চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। নিউজিল্যান্ডের কিংবদিন্ত অধিনায়ক বলেছেন, ‘মোস্তাফিজ অসাধারণ করছে, ওর বোলিংয়ের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয় এমন জায়গাতেও। এখানের (চেন্নাই) উইকেটে অনেক গতি ছিল, শিশির তো আছেই। ও যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, তা দুর্দান্ত। আমরা জানি, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দায়িত্ব সবার আগে। কিন্তু আমাদের দলে ও দারুণ এক সংযোজন ছিল।’ পাঞ্জাবের বিপক্ষে কাউকে আউট করতে না পারলে, উইকেটশিকারের দিক থেকে যৌথভাবে চলতি আসর হবে তার দ্বিতীয় সেরা মৌসুম। এর আগে ২০২১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে ১৪ ম্যাচে শিকার করেন ১৪ উইকেট। চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৪ উইকেট। শুরুর মতো শেষটা রাঙাতে পারলে আইপিএলে সেরা মৌসুম পার করবেন মোস্তাফিজ।
০১ মে, ২০২৪
মৌসুম শেষের আগেই লবণ উৎপাদনে রেকর্ড
মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কক্সবাজারে রেকর্ড লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ সময় উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৪ হাজার টন লবণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ৬৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ বছর আর লবণ আমদানির প্রয়োজন হবে না। চাষিরা বলছেন, ন্যায্যমূল্য পেলে ভবিষ্যতে এর চাষে আগ্রহী হবেন তারা। লবণের রেকর্ড উৎপাদনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ৬ মে পর্যন্ত উৎপাদন মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৪ হাজার টন, যা রেকর্ড। ৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহটি বৃষ্টিহীন হলে উৎপাদন লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত মৌসুমে ৬৬ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩৩ টন। চলতি মৌসুমে লবণ চাষ করেছেন ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত মৌসুমে চাষে জড়িত ছিলেন ৩৭ হাজার ২৩১ জন। অর্থাৎ এবার লবণ চাষি বেড়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন। মহেশখালী কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার চাষি আব্দুর রহিম বলেন, একদিকে বৃষ্টি নেই, অন্যদিকে তীব্র রোদ। এ আবহাওয়া লবণ চাষে অনুকূল। তাই উৎপাদন হয়েছে বেশি। কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডি ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিন ও খুরুশকুলের ইদ্রিস মিয়া লবণ চাষ করেন। তারা বলেন, মৌসুম শেষ হবে সপ্তাহখানেক পর। আশা করছি, এ সময়ে আরও লবণ উৎপাদন করতে পারব। ভালো দামের আশায় অনেকে মাঠেই লবণ মজুত রাখছেন বলে জানান তারা।
০১ মে, ২০২৪
দিনাজপুরে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দিনাজপুরের খানসামাসহ গোটা দেশ। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ তপ্ত রোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এ তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরও কষ্ট পেতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সারাদিনে তিন ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ৩টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৯.৮ রেকর্ড হয়েছিল। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ভ্যানচালক, কুলি ও নিম্ন আয়ের দিনমজুর। গরমের তীব্রতায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। গরমের তীব্রতায় পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, জেলায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর চাপ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে। সাধারণত বাতাসের চাপ ক্রমাগত কমতে থাকলে বুঝতে হবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাতাসের চাপ বাড়তে থাকলে আবহাওয়া পরিষ্কার বা ফেয়ার হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘের সঞ্চার হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বিরাজমান তাপ প্রবাহের দাপট বেশ কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা কমলেও এক্ষেত্রে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের সৃষ্টি হবে এবং ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকবে।
০১ মে, ২০২৪
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯টায় এই রেকর্ড হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপিতে বলা হয়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে আজ রাত ৯টায়। এ সময় জাতীয় গ্রিডে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হয়। সে সময় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ওই সময় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র দাবদাহ। জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে এই মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দিন যতই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাতক্ষীরার তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহনীয় এ দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২১ বছরের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ। তীব্র এ দাবদাহে দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। গরমে পিপাসা নিবারণে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি ও শরবত সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলায় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এটাই ছিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে হিসাবে ২১ বছর পর সাতক্ষীরার তাপমাত্রার নতুন পারদে ঠেকল। আর তাতেই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ল জেলাটি। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বিকেল ৩টায় সাতক্ষীরার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ২৫ শতাংশ। এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহে সাতক্ষীরায় হিটস্ট্রোকে মো. ফারুক হোসেন নামে বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি তার কর্মস্থল শহরের নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। মৃত শিক্ষক ফারুক হোসেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক। নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাজমুন লায়লা জানান, সোমবার সকালে ফারুক হোসেন বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় দ্রুত তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ তাকে দেখার পর অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হয়েছে বলে ধারণা করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালে সকালে তার মৃত্যু হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
রেকর্ড দাবদাহে পুড়ছে খুলনা অঞ্চল
রেকর্ড দাবদাহে পুড়ছে খুলনা অঞ্চল। এর মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে যশোর জেলা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শুধু যশোরই নয়, দাবদাহে পুড়ছে গোটা খুলনা বিভাগ। দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও খুলনার কয়রায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া, জলাশয় ভরাট করা ও গাছপালা কেটে স্থাপনা গড়ে তোলাই প্রধানত গরম বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এ ছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। তিনি জানান, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি খুলনার কয়রায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং কয়রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে গত ১৩ এপ্রিল থেকে দাবদাহ চলছে। টানা দাবদাহে বিপাকে পড়েছে মানুষ। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। টানা দাবদাহে নেই বৃষ্টির দেখা। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকুল। নাভিশ্বাস নেমে এসেছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া গরমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক স্থানে নলকূপ ও পাম্পে ঠিকমতো পানি উঠছে না। খুলনার শিববাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইক চালক রফিক মিয়া বলেন, অসহ্য গরম। এমন গরম কখনো পড়েনি। তবুও খেয়ে পড়ে বাঁচতে হবে। গরমের দিকে তাকালে পেট চলবে না। খালিশপুরের রিকশাচালক আব্দুর রহিম বলেন, পেট বাঁচাতে হলে কাজে নামতে হয়। ঘরে স্ত্রী, তিন সন্তান রয়েছে। তাদের লেখাপড়া, খাবার জোগাড়, বাড়ি ভাড়া ম্যানেজ করতে হিমশিম খেতে হয়। ঝড় বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করেই কাজে নামতে হয়। এদিকে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে না যেতে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। করা হচ্ছে মাইকিং। এ ছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাপপ্রবাহের জন্য খুলনা সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে খুলনা জেলাবাসীকে নিম্নোক্ত নির্দেশনা পালনে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো- বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া প্রখর রোদে বাইরে বের না হওয়া। আর ঘরের বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। পানিশূন্যতা পরিহার করতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা ও বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। ভাজা পোড়া খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর বারবার মুছতে হবে। শ্বাসকষ্টের রোগী ও শিশুদের বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিদ্যমান প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ/মৎস্য/প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বাস শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকরা যেন বেশিক্ষণ তীব্র রোদে না থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X