ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৫৭তম ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে অন্য রকম এক লড়াইয়ে নামেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। লোকেশ রাহুল-ক্রুনাল পান্ডিয়াদের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেটে, কে কত দ্রুত রান তুলতে পারেন যেন সেই প্রতিযোগিতায় নেমে ছিলেন এই দুই ব্যাটার।
তাই তো লখনৌর টার্গেট মাত্র ৯ ওভার ৪ বলে পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় হায়দরাবাদ। বড় এই জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত হয় অরেঞ্জ আর্মিদের। আর আইপিএলের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।
ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের লখনৌর বিপক্ষে বেশি কয়েকটি নতুন রেকর্ড হয়েছে অভিষেক শর্মা, ট্রাভিস হেড ও তাদের দল হায়দরাবাদের। একশর বেশি রান তাড়ার ক্ষেত্রে ৬২ বল হাতে রেখে পাওয়া হায়দরাবাদের জয়টি আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। (বলের দিক থেকে)।
লখনৌর বিপক্ষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯.৪ ওভারে ১৬৭ রান করে অরেঞ্জ আর্মি। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ১০ ওভারে এটি সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। দলগতের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও জুটিতে রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকটি। এ ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতক করেন ট্রাভিস হেড।
পাওয়ার প্লের ভেতরে এটি তার চতুর্থ অর্ধশতক। আইপিএলের এক আসরে পাওয়ার প্লের ভেতরে অর্ধশতকের কীর্তি নেই আর কারও। হেড-অভিষেক জুটি পাওয়ার প্লেতে তুলেছেন ১০৫ রান। আইপিএলে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
১২ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়তে রয়েছে হায়দরাবাদ। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নেয় টেবিলের ছয়ে লখনৌ। হায়দরাবাদের এই জয়ে বাদ পড়েছে মুম্বাই।
১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট তাদের। শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা নেই হার্দিক পান্ডিয়ার দলের। মুম্বাই বাদে বাকি ৯ দলের এখনো প্লে-অফে খেলার সুযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন