এমডি ও গ্রাহক মিলে ১০৯ কোটি টাকা লুট ইউসিবির
সাধারণত শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতার জমাকৃত সম্পদের চেয়েও কম পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়। যাতে গ্রহীতা কোনো কারণে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে জমাকৃত সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ব্যাংক তার ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে। তবে এসব নিয়ম-কানুনের কোনোটিই মানেননি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি মাত্র ৯ দশমিক ৫২ কোটি টাকার সমপরিমাণ সহায়ক জামানত গ্রহণ করে ৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেন মেসার্স দত্ত ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। ধাপে ধাপে সেই অঙ্ক বৃদ্ধি করা হয় ৫৮ কোটিতে। ফলে সুদসহ ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৫ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে এই বেসরকারি ব্যাংকটি। অভিযোগ উঠেছে—এই পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ও মেসার্স দত্ত ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর পরষ্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় গত সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংকের বগুড়া শাখার গ্রাহক মেসার্স দত্ত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সমীর প্রসাদ দত্ত তার ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ঋণ টেকওভার ও নতুন ঋণের জন্য বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আবেদন করেন। যেখানে গ্রাহক বগুড়া পৌরসভার ভেতরে এবং বাইরে নিজ ও নিকট আত্মীয়দের নামে মোট ৫৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ জমি মার্টগেজ রাখার কথা উল্লেখ করেন। আবেদনের দিনই ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান ভূঁইয়ার নির্দেশে বগুড়া শাখার ম্যানেজার মো. মিজানুল ইসলাম, ক্রেডিট ইনচার্জ দোস মোহাম্মদ ও শাখার রিলেশনশিপ অফিসার পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং ক্রেডিট রিপোর্ট প্রস্তুত করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে গ্রাহকের মর্টগেজ দেখানো সম্পদের তাৎক্ষণিক বাজারমূল্য ৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। এরপর তড়িঘড়ি করে প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রাহকের অনুকূলে সিসি ৪ কোটি, এলটিআর ২০ কোটি এবং ঋণপত্রের জন্য ২৫ কোটিসহ মোট ৪৯ কোটি টাকা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবনাটি বোর্ডসভায় পাস হলে সব চুক্তি ও মর্টগেজের জন্য উল্লিখিত সম্পত্তির রেজিস্ট্রি করে গ্রাহককে সমুদয় অর্থ দেয় ইউসিবি। শুধু তাই নয়, এই ঋণ অনুমোদনের মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ঋণসীমা ৫৮ কোটি টাকাতে বৃদ্ধি করা হয়। তথ্য বলছে, ইউসিবি থেকে ঋণ নেওয়ার মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে গ্রাহক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়। যদিও ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান ভূঁইয়ার কৃপায় খেলাপি এই গ্রাহক কয়েকবার ঋণের সুদ মওকুফের অবৈধ সুবিধা পেয়েছেন। এরপরও গ্রাহক ইউসিবির ঋণের কোনো অর্থই পরিশোধ করেনি। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন দল শাখাটি অডিট করার সময় মেসার্স দত্ত ট্রেডার্সের খেলাপি ঋণটি নজরে এলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তা মানা হয়নি। পরে এই খেলাপির বিষয়ে তথ্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্য ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি মির্জা মাহমুদ রফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইউসিবির বগুড়া শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাবনা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই গ্রাহককে ৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। পরে ঋণের সীমা ৫৮ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণটি স্থানান্তরের সময় ঋণের পুরো দায়সহ টেকওভার করেছেন, যা ব্যাংকবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রাহক ঋণের সুদ কমাতে কোনো আবেদন না করলেও হেড অফিস নিজেই ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারির মিটিংয়ে সুদ কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণের সুদের হার ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়। এমনকি এই সুদ অনুমোদনের ৩ মাস আগে থেকে কার্যকর করা হয়। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ওই গ্রাহকের মোট দায় ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৫ টাকা। মামলার এজাহারে এটিকে পরস্পর যোগসাজশ অসৎ উদ্দেশ্যে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ বলে উল্লেখ করা হয়। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ এবং দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৭ মে, ২০২৪

উখিয়ার অস্ত্রে মিয়ানমারে লুট হওয়া অস্ত্রের মিল!
কক্সবাজারের উখিয়ার দুর্গম লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। অভিযানে আরসার আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাংলাদেশে আরসার প্রধান সমন্বয়কসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো শাহনুর ওরফে মাস্টার সলিম (৩৮) ও মো. রিয়াজ (২৭)। গতকাল বুধবার ভোররাতে হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরের পশ্চিমে দুর্গম লাল পাহাড়ে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে আরসার আস্তানা থেকে ৫টি গ্রেনেড, ৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি ককটেল, একটি বিদেশি রিভলবার, ৯ রাউন্ড নাইন এমএম পিস্তলের অ্যামুনিশন, একটি এলজি এবং তিনটি ১২-বোর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরক, গ্রেনেড, আইইডি ও রকেট সেল নিষ্ক্রিয় করে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদের বিষয়ে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে লুট হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে আমাদের অভিযানে উদ্ধার অস্ত্রগুলোর মিল পাওয়া যায়। তবে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। র‍্যাব জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা ২০২৩ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮০ জনের প্রাণ নিয়েছে। র‍্যাব বিভিন্ন অভিযানে আরসার সামরিক কমান্ডার হাফেজ নূর মোহাম্মদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস, গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা, অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ অরফে নোমান চৌধুরী, আবু তৈয়ব, কিলার গ্রুপের প্রধান নূর কামাল অরফে সমিউদ্দিন, ইন্টেলিজেন্স সেলের কমান্ডার ওসমান গনি গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া লজিস্টিক শাখার প্রধান, গান গ্রুপের প্রধান, অর্থ শাখার প্রধান এবং আরসার প্রধান নেতা আতাউল্লাহর দেহরক্ষী আকিজসহ ১১০ জন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাল পাহাড় থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শাহনুর ওরফে মাস্টার সলিম বাংলাদেশে আরসার প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, মাস্টার সলিম ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং ক্যাম্প-১৫ এ বসবাস শুরু করে। সে আগে মিয়ানমারে আরসার জোন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিল। আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী হিসেবে দুই মাস দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে ২০১৭ সালে আসার পর মৌলভী আকিজের মাধ্যমে আরসায় ফের যোগ দেয়। আরসার হয়ে আধিপত্য বিস্তার কোন্দলসহ খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অস্ত্র চালনাসহ বিভিন্ন বিস্ফোরকের ওপর পারদর্শী মাস্টার সলিম। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার রিয়াজ ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। ২০১৮ সালে মৌলভী মো. ইব্রাহিমের মাধ্যমে আরসায় যোগ দেয় এবং প্রাথমিকভাবে আরসার হয়ে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করে। এ সময় সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আরসা বিরোধী সংগঠনের সদস্যদের গতিবিধি লক্ষ করত। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারে ফিরে যায় এবং সেখানে ৬ মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়। দেশে ফিরে রিয়াজ সলিমের সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

শিক্ষক দম্পতিকে বেধড়ক মারধর, ৯ লাখ টাকার মালামাল লুট
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গভীর রাতে জানালার গ্রীল কেটে এক শিক্ষক দম্পত্তির ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ৯ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে ডাকাতদল। এ সময় বেধড়ক মারধরে আহত হন ওই দুই শিক্ষক। বুধবার (৮ মে) দিবাগত ২টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ধুবিল মোমেনশাহী গ্রামের শিক্ষক আবু সাইদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আবু সাইদ (৫৯) আয়শা ফজলার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও তার স্ত্রী আমেনা খাতুন কেয়া (৪৮) ঝাটিবেলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তারা রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমেনা খাতুনের ছোট বোন সুমা খাতুন ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে ডাকাতদল বাড়ির পেছন দিকের জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে ঢোকে। ৪-৫ জন মিলে আবু সাইদের মুখের ভেতরে ওড়না ঢুকিয়ে দেয় এবং তাকে বেঁধে ফেলে। তার স্ত্রী আমেনা খাতুন কেয়াকে বেধড়ক মারপিট করে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ৬ লাখ টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। সুমা খাতুন জানান, আহত অবস্থায় আমেনা খাতুন তখন আত্মীয়-স্বজনদের ফোন দেন। রাতেই প্রতিবেশী ও স্বজনরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়েই ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, আবু সাইদ ও তার স্ত্রী দুজনেই শিক্ষক। তাদের বাড়িটাও সুরক্ষিত। রাতে এই দম্পতি ঘুমাতে গেলে পেছন দিকের জানালার গ্রীল কেটে একজন ডাকাত ভেতরে ঢুকে। পরে মেইন গেইট খুলে দিলে বাকি ডাকাতরাও ঢুকে শিক্ষক দম্পত্তিকে মারধর করে টাকা ও গয়না লুট করে পালিয়ে যায়। ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
০৯ মে, ২০২৪

লুট তখন, এখন ও আগামীকাল!
অতীতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দুর্বল দেশগুলোকে দখল করে সে সকল দেশ থেকে সম্পদ লুট করত, লেবার লুট করত। অনেক সময় দরিদ্র এবং মেহনতি মানুষদের কৃতদাস হিসেবে সারাজীবন ব্যবহার করত। পরের দেশে গিয়ে তাদের সম্পদ দখল করে এবং তাদেরকেই শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়ে, অনেক সময় জোরদখল করে সম্পদ লুট করে নিজ দেশে আমদানি করত। এ প্রথা (যাকে আমরা কলোনি বলি) বহু বছর ধরে চলেছে।  এ প্রথা আমরা নিজেরাও প্রয়োগ করেছি আমাদের সমাজে। যেমন হাট থেকে জোন বা কিষান কিনে তাকে কাজে লাগানোর প্রথা এখনও রয়েছে। বিনিময়ে এরা থাকা-খাওয়াসহ মজুরি পেয়ে থাকে। সময় এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানুষ কৃতদাসমুক্ত হতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে মুক্ত হয়। মূলত এ ধরনের শাসন ইউরোপিয়ানরা শুরু করে এবং এই প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় অর্থনীতি লুটপ্রথা। এখনও গরীব দেশের মানুষ রপ্তানি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলমান এবং তারা তাদের নিজ শ্রমকে বিক্রি করে জীবন নির্ধারণ করে চলেছে। যার ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশের থেকে মানুষ নামের পণ্যগুলো উন্নত দেশে গিয়ে কায়িক বা দৈহিক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করছে এবং নিজ দেশে শ্রমের অংশবিশেষ পাঠিয়ে দেশে থাকা পরিবারকে জীবনযাপনে সাহায্য করে চলেছে। যেমন সাউথ এশিয়া এবং মিডলইস্টে প্রচুর মানুষ গিয়ে শ্রম বিক্রি করে জীবনযাপন করছে। বর্তমানে এই দেহ লুট শুধু ইউরোপিয়ানরা না, এটা সব ধনী দেশগুলো করে চলেছে।  বিষয়টিকে আরো গভীরভাবে দেখলে যা পাই তা হল- আমাদের দেহ লুটের পাশাপাশি চলছে আমাদের অর্থ লুটও। আধুনিক লুটপ্রথা কিছুটা ভিন্ন, বেশিরভাগ দরিদ্র এবং দুর্নীতিযুক্ত দেশগুলোর ব্যাংক থেকে অর্থ লুট হয়ে যাচ্ছে, অনেক দুর্নীতিবাজ টাকা লুট করে সেগুলো বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এই লুটের সঙ্গে আমাদের দেশের প্রধান সম্পদ কৃষিও লুট হয়ে যাচ্ছে। যেমন ধরুন আমরা আমাদের দেশের যত সবজি আছে এগুলো বেশি মাত্রায় পেতে নিজ দেশের বীজ ধ্বংস করে বিদেশি হাইব্রিড বীজের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে মাত্র ৭ শতাংশ বীজ উৎপাদিত হয়। বাকি ৯৩ শতাংশই আমদানি করতে হচ্ছে। হাইব্রিড ফসল উৎপাদন বাড়াতে এই নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে, কিন্তু পুষ্টির মান বিচারে হাইব্রিড ফসল দেশি ফসলের মত পুষ্টি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে দিনে দিনে আমরা বীজের ব্যবসা অন্যের হাতে তুলে দিব এবং পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ব। তখন কীভাবে তার ব্যবহার হবে? শুধুই কি ব্যবসা হিসেবে নাকি অস্ত্র হিসেবে? বিদেশি অস্ত্র, বিদেশি টেকনোলজি থেকে শুরু করে সবকিছুই আমরা বাইরের থেকে আমদানি করে চলছি, বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে চলছি। এভাবে চলছে এখনকার লুট। আমি ২০১৭ সালের দিকে লিখেছিলাম আমরা মানুষ জাতি পরনির্ভরশীল হয়ে যাব, বেকারত্ব বেড়ে যাবে সত্ত্বেও সেটা মনে হবে না। কারণ আমরা বিনোদনমুখো টেকনোলজির সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত থাকব যে মনে হবে আমরা সারাক্ষণ ব্যস্ত। যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক, এআই (Artificial Intelligence) এসব ট্যুলগুলোর সঙ্গে নিজেদেরকে এমনভাবে জড়িত করতে শুরু করব তাতে মনেই হবে না যে আমরা বেকার বরং মনে হবে আমাদের প্রচুর কাজ। আমরা রান্নাবান্না বন্ধ করে দিব, দরকারে বাইরে খেয়ে নিব বা একটা মাল্টি ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ট্যাবলেট খেয়ে নিব।  আমরা ঘুরবো, যেখানে খুশি যাব, চলাচলে জটিলতা থাকবে না। শরীর অসুস্থ হলে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে না। সেন্ট্রাল ডিসপ্লের সামনে দাঁড়িয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং পুরো দেহ এক্সে মেশিন বা MR দ্বারা চেক হওয়ার পর আমার যে ওষুধ দরকার সেটা পেয়ে যাব। ডিজিটাল সম্পদে জড়িত থাকব, সব মিলে এআই-রিলেটেড হয়ে যাব। এমতাবস্থায় লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। তবে গরিবের জীবন বড়ই কঠিন হতে থাকবে। একসময় পৃথিবীর লোকসংখ্যার অর্ধেকের বেশি লোক মারা যাবে, যারা থাকবে তারা সময়ের সাথে ডিজিটাল মানবজাতি হয়ে যাবে ইত্যাদি।  আমি যখন এ ধরনের একটি লেখা ছেড়েছিলাম কোনো বড় সংবাদপত্র লেখাটি ছাড়েনি, কারণ কী জানেন? কারণ ছিল কেউ আমার এসব কথার গুরুত্ব দেয়নি তখন। অনেকের কাছে তখন অনেকটা গাঁজাখুরি গল্প মনে হয়েছে। হবেই বা না কেন? কে জানত সেদিন আমি যা লিখেছি এসব কথা সত্য হবে। যাইহোক কেন যেন তখন আমার ভাবনায় এসব চিন্তা এসেছিল যা আজ সত্য হয়েছে।  সামনের সময়ে যারা বেঁচে থাকবে তাদের জীবন দশা কেমন হবে? এটা এখন ভাববার বিষয়। তবে আমি এখন যেমন আছি তেমনভাবে থাকতে চাই, পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতি আমাকে লুট করুক সেটা আমি চাই না। আগামীর ডিজিটাল লুট কীভাবে হবে আসুন জানি সে বিষয়ে:  আমার মনে হচ্ছে আগামী প্রজন্মের জীবনধারা বর্তমানের তুলনায় একটি বিশাল পরিবর্তনের মুখোমুখি হবে। প্রযুক্তির ত্বরান্বিত উন্নয়ন ও সমাজের পরিবর্তনশীলতা প্রধানত এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তবে, আমাদের পৃথিবীতে মানুষের জীবনের নির্দিষ্ট দিক থাকবে যা অতীতের চেয়ে ভিন্ন। সমাজ এবং প্রযুক্তির এই পরিবর্তন অন্যরকম কিছু হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের প্রভাব থাকতে পারে। এবং অনেকে এই বিশাল পরিবর্তনের প্রতিটি দিক থেকে কিছুটা ক্ষমতা পাবে।  তারপরের জীবনধারায় প্রযুক্তির প্রভাব অনেকটাই দৃশ্যমান হবে। বিশেষ করে যে কোনো ধরনের যান্ত্রিক উন্নয়ন মানুষের জীবনে গভীরভাবে প্রভাবিত হবে। প্রযুক্তির সুবিধা সহজেই প্রয়োগ করা যাবে এবং মানুষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য পাবে। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত উন্নত ও সহজলভ্য হবে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, আগামী প্রজন্মের জীবনধারা অত্যন্ত প্রযুক্তিবিদ এবং সমাজবিদ হবে, এবং প্রযুক্তির সুবিধাগুলি ব্যবহার করে মানবজাতি নিজেদের জীবন সুবর্ণকুমারী করতে পারবে।  এআই বা Artificial Intelligence (AI) মানুষকে ডমিনেট করার চেষ্টা করবে না। বরং এটি মানুষের জীবনকে সুবিধাজনক এবং উন্নত করার জন্য কাজ করে যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। AI এক্সপার্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে এবং কঠিন সমস্যাগুলির সমাধানে মানুষকে সাহায্য করবে বলে মনে করি।  এআই যখন সকল কাজ সহজভাবে সম্পাদন করবে, তখন মানুষদের কাজের সময় ও শ্রম প্রয়োজন কমে যাবে। এটি মানুষকে নতুন কাজের সম্ভাবনার দিকে আগ্রহী করবে এবং মানুষ নতুন দিকের অন্বেষণ করতে উৎসাহিত হবে। এআই মানুষের কাছে কাজের ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এটি মানুষকে ক্রিয়াশীলতা এবং উৎসাহ দিবে যাতে মানুষ নতুন কিছু সম্পর্কে শিখতে পারে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এআই যখন মানুষের কাজ সহজ করবে, তখন মানুষ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কাজে অধিক সময় কাটানোর জন্য সুযোগ পাবে। এটি মানুষকে উপেক্ষিত কাজের দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য করবে এবং উপেক্ষিত ক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার ও নতুন ধারণার দিকে উন্নতি প্রদান করতে পারবে।  এআই এবং মেশিনলার্নিং প্রযুক্তি এখন একটি দ্রুত প্রগতি যা মানুষের কৌশল ও তার স্বস্থানে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। এই প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার মানুষকে নিজের কাজগুলি সহজ করতে এবং নতুন কৌশল গ্রহণে সাহায্য করবে। ইন্টারনেট অব থিংস প্রযুক্তির উন্নয়নে আরো প্রগতি হবে, এই প্রযুক্তি দ্বারা মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক সহজ হবে, যেমন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, স্মার্ট হোম সিস্টেম, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান ইত্যাদি। ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে মানুষ ডিজিটাল অর্থনীতি এবং তথ্য সুরক্ষা পরিবেশনে ভালো সাহায্য পাবে। এটি সুরক্ষিত ও ট্রান্সপারেন্ট লেজারের লেনদেন সম্পাদনে মানুষকে সুরক্ষিত করবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কাজে সাহায্য করতে পারবে।  নতুন পৃথিবীতে শিক্ষার পদ্ধতি সহজ এবং ব্যক্তিগত হবে। প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার প্রক্রিয়ায় মানুষ হবে অনুপ্রাণিত এবং মানুষের শিক্ষার প্রক্রিয়া ব্যক্তিগতভাবে পরিপূর্ণ হবে। শিক্ষার পথে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ব্যক্তিগত শিক্ষার পথ তৈরি করা হবে। নতুন পৃথিবীতে ব্যক্তিভিত্তিক শিক্ষার পদ্ধতি দেখা যাবে যা মানুষকে নিজের আস্থার উপর নির্ভর করতে সহায়তা করবে। প্রযুক্তিগত প্রশাসন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার পথ তৈরি করা হবে যাতে মানুষ নিজের পরিচয়ে গড়ে উঠতে পারে এবং নিজের আস্থার উপর নির্ভরশীল হতে পারে। প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে নতুন পৃথিবীর শিক্ষার ক্ষেত্রে। মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের প্রক্রিয়াগুলি সহজ ও প্রভাবশালী করা হবে।  ধর্ম ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে শান্তি এবং সহযোগিতা নির্মাণ করতে পারে। মানুষের মধ্যে সামাজিক এবং ধর্মানুসারী অভিব্যক্তির প্রতি সহযোগিতা ও বিচারের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য, ভবিষ্যতে ধর্ম সাইবার পরিবেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাবে। ধর্মীয় অভিব্যক্তি ও অনুসরণের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে, সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়াশীলতা প্রভাবিত করবে। ভবিষ্যতে ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে একটি আরও গভীরভাবে এবং ইন্টিগ্রেশন তৈরি হবে। ধর্ম ও বিজ্ঞানের অনুপ্রাণিত এবং সংগতিমূলক দিকগুলি মিশে যাবে যা মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। সহজলভ্য ভালোবাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো ভবিষ্যতে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা সহজলভ্য হবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে, ভালোবাসার প্রক্রিয়াগুলি সহজ ও সার্থক হবে। এই সব পরিবর্তনের মধ্যে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা একটি প্রভাবশালী বিশ্বাস, যা মানুষের জীবনে গভীরভাবে প্রভাবিত হবে। এটি সহযোগিতা, সহজলভ্যতা, এবং সামাজিক সমগ্রতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে ধনী এবং গরিবের ব্যবধানে একটি বিশাল পরিবর্তন হতে পারে যা কিছুটা নিম্নলিখিত দিক থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে: ভবিষ্যতে ধনী এবং গরিবের বিভাগটি সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে পরিণতি করতে পারে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনের ফলে, সমাজের মধ্যে বেতন ও অধিকার নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন দেখা যেতে পারে।  শিক্ষার সমতা উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে ধনী এবং গরিবের ব্যবধানে। প্রযুক্তিগত শিক্ষার পথে, সমাজের মধ্যে শিক্ষার সমতা বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে, ভবিষ্যতে সমাজের মধ্যে বেশি সহযোগিতা এবং সমগ্রতা দেখা যাবে। ধনী এবং গরীব পরিবর্তনশীল সম্প্রদায়ে উত্থান দেখা যেতে পারে।ভবিষ্যতে, প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়াগুলো ও প্রযুক্তিগত নয়া সুস্থিরতা পরিষ্কার ও সম্মত প্রশাসন গড়ে উঠতে সহায়ক হতে পারে। এটি সহযোগিতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিকূল প্রভাব মেটাতে সাহায্য করবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষার পথে, ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষার সম্মানযোগ্য পরিবেশ তৈরি করে সহায়তা করতে পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামগ্রিক প্রতিরোধে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা শক্তি সংহত হতে পারে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজের মধ্যে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিবেশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে অস্ত্রের সমর্থন এবং এ সম্পর্কিত নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করার জন্য নতুন প্রযুক্তিগত সমাধান প্রয়োজন হবে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে মজুদনীতি এবং নির্দেশিকা সমৃদ্ধ হতে হবে। এই নীতি এবং নির্দেশিকা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে মিলিত হতে হবে এবং অস্ত্রের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড স্থাপন করতে হবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত আগামীর পৃথিবীতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে মানবজীবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। এটি সুবিধাজনক, কার্যকর ও পরিষেবার গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং পৃথিবীতে সমাজবদ্ধতা এবং ন্যায়বিচারের বৃদ্ধি হবে। সমগ্রতার অগ্রগতি এবং প্রতি ব্যক্তির অধিকারের সম্মান করা হবে। আগামীর পৃথিবীতে সম্প্রীতি এবং সহযোগিতার মাধ্যমে, ব্যক্তিগত এবং সমাজগত সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন হবে। আগামীর পৃথিবীতে সুস্থির এবং উৎসাহজনক বাসিন্দাদের জন্য বিনোদনের সহজলভ্য মাধ্যম সৃষ্টি করা হবে। প্রযুক্তিগত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে, বিনোদনের অবকাশ অধিক হবে। পৃথিবীতে সমাজগত প্রবৃদ্ধি এবং সমতার জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি হবে। আগামীর পৃথিবীতে মানুষের জীবনের সুবিধাজনক মাধ্যম ও সেবা সার্বিক হবে। প্রযুক্তিগত সুবিধা সহজলভ্য হবে এবং মানুষের জীবনযাপন সহজ হবে। আমার বর্ণনার ধারাবাহিকতার মাধ্যমে, আগামীর পৃথিবী একটি সুন্দর এবং সমৃদ্ধিশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আমি মনে করি। তবে প্রতিটি ব্যক্তির সুখ, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সকলকেই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। রহমান মৃধা: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন 
০৯ মে, ২০২৪

মৎস্য খামারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ফসলি জমির মাটি লুট
ফরিদপুরের সদরপুরের আকোটের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পদ্মা মৎস্য খামারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্তিতে ফেলে প্রকাশ্যে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কাটার জমজমাট ব্যবসা করছে একটি কুচক্রী মহল।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভেকু দিয়ে মাটি কেটে প্রকাশ্যে দেদার বিক্রি করছেন প্রভাবশালী কুদ্দুছ কাজী। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুছ কাজী বলছেন, আমি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছি, এখানে একটি মৎস্য খামার তৈরি করা হবে। কিন্তু প্রশাসন বলছে, এমন অনুমতি আমরা দেইনি। জানা যায়, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে গত মার্চ মাসে আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে জেলা প্রশাসক ঘোষণা দেন, ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে কোনো ফসলি জমি বিনষ্ট করে মাটির ব্যবসা করা যাবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পিয়াজখালি-আকোটের চর সড়কের আকোটের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার পশ্চিম পাশের কাঁচা সড়কের পাশে নাম সর্বস্ব মৎস্য হ্যাচারির সাইনবোর্ড টানিয়ে ভেকু দিয়ে উর্বর মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকে ভরা হচ্ছে। এসব মাটি বিক্রির জন্য ড্রাম ট্রাকের পাশাপাশি রাখা হয়েছে মাহেন্দ্র ট্রলিও। মাটিভর্তি এসব ভারী যানের ওভারলোডিংয়ে রাস্তাজুড়ে প্রায় ফুট পরিমাণ পাউডার মাটি জমে গেছে। গ্রামীণ রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে দেবে গেছে। এতে সাধারণ মানুষ যাতায়াতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমনই অভিযোগ করেছেন কৃষক শাহ আলম শেখ, মিলন, আজিজুল, মালেক ও রুবেলসহ অনেকে। তারা বলেন, ভেকু দিয়ে ফসলি জমি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এলাকার ফসলি জমি শেষ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে পাশের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে আসছে সদরপুরের ফসলি জমি। এ বিষয়ে কুদ্দুস কাজী বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতিতে মৎস্য প্রকল্পের মাধ্যমে আমি মাটি কাটছি।’  যে প্রকল্পের দোহাই দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ফসলি জমির মাটি লুট করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সেই দপ্তরের প্রধান সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, পদ্মা মৎস্য প্রকল্পের নামে আমাদের দপ্তর থেকে কোনো প্রকল্পের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। এটা সঠিক নয়। এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মোরাদ আলী জানান, ফসলি জমি বিনষ্টকারীদের সদরপুর উপজেলা প্রশাসন মাটি কাটার অনুমতি প্রদান করেন, করতেও পারে না। যারা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে ফসলি জমি বিনষ্ট করে মাটি কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪

দেশে অর্থনৈতিক সংকট ঘণীভূত হচ্ছে: খেলাফত মজলিস
দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন ঘণীভূত হচ্ছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লুটপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এই লুটপাটের অর্থ বিদেশে পাচারের কারণে জনগণের আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার অবমূল্যায়ন বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য এখনো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তীব্র গরমের মধ্যেও লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের এই সংকট মেনে নেওয়া যায় না। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বোরকা-নেকাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি)’র কর্তৃপক্ষ। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এই অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক খুরশিদ আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ডা. আবদুর রাজ্জাক, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ডা. বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা আফতাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মুফতি সাইয়েদুর রহমান, হাজী নুর হোসেন, মাওলানা নুরুল হক, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঘানা থেকে লুট করা ধনরত্ন ঘানাকেই ধার দিল যুক্তরাজ্য
আসান্ত সাম্রাজ্য (বর্তমান ঘানা) থেকে লুট করা স্বর্ণ-রৌপ্যের ৩২টি দামি নিদর্শন ফেরত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে এসব নিদর্শন ঘানাকে ফেরত নয় বরং ধার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে এসব ধনরত্ন ঘানা থেকে লুট করেছিল ব্রিটিশ সৈন্যরা।  ঘানার মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ৬ মাসের জন্য এসব সম্পদ ঘানাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ শতকের দিকে আসান্ত সাম্রাজ্যের সাথে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধচলাকালীন সময়ে এসব নিদর্শন লুট করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) ঘানার একদল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এসব নিদর্শন ৬ মাসের জন্য ধার দেওয়া হয় দেশটিকে। ৩২টি নিদর্শনের মধ্যে ১৫টি রাখা ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আর বাকিগুলো ছিল অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে। তবে এগুলো ফেরত পেতে বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়েছে ঘানার কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত এসব নিদর্শন একেবারের জন্য না পেলেও ৬ মাসের জন্য ধারে পাচ্ছে দেশটি।  মূলত আসান্তে রাজার রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আশান্তি অঞ্চলের রাজধানী কুমাসির মানহিয়া প্রাসাদ জাদুঘরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। নিদর্শনগুলো ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্যস্থতাকারীদের প্রধান আলোচক আইভর অ্যাগিয়েমান-ডুয়া শনিবার সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য ঘানাকে স্বর্ণ-রৌপ্যের ৩২টি দামি নিদর্শন ফেরত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এদিকে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তির কাছ থেকে আফ্রিকান প্রত্নবস্তু ফিরিয়ে আনার জন্য জাদুঘর এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক গতি এবং প্রচার বেড়েছে।  প্রদর্শনীটি আগামী ১ মে থেকে শুরু হবে বলে জানান আইভর। ঘানায় ফেরত আসা নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি ৩০০ বছরের পুরোনো তলোয়ার আছে, যা শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো।  যুক্তরাজ্যের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়াম যে ১৭টি নিদর্শন ঘানার জাদুঘরে ধার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মধ্যে আছে একটি সোনার শান্তি পাইপ ও সোনার একাধিক চাকতি। রাজার আত্মা পরিচ্ছন্ন করার জন্য দায়িত্বরত রাজ কর্মকর্তারা এগুলো পরতেন। 
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
বান্দরবানের রুমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা মামলায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের জাদিপাই পাড়ার লাল রৌবত বম প্রা. আপেল (২৭), বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চিনলুং পাড়ার লাল লম থার বম প্রা. আলম (৩১), রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউপির মুননুয়াম পাড়ার মিথুসেল বম প্র. আমং (২৫) ও বান্দরবান সদর উপজেলার কানা পাড়ার লাল রুয়াত লিয়ান বম (৩৮)। পুলিশ জানায়, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা ৫টি মামলার প্রেক্ষিতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ১৩ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলা এবং বান্দরবানের সদর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের রোববার দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পরে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরানের আদালত আসামি চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বান্দরবান জেলা পুলিশের তথ্যমতে, বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ঘটনার পর এই পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে (রুমা ৫ ও থানচি ৪) এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এই পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কারাগারে ৫২
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ নারীসহ ৫২ জনকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোছাইন এ আদেশ দেন। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মহতুল হোসেন যত্ন বলেন, আসামিদের পক্ষে জামিনের কোনো আবেদন না থাকায় তাদের সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী হিসেবে আমি ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিয়েছি। ঈদের পরে কাগজপত্র দেখে জামিনের দরখাস্ত হবে। বান্দরবান সদর পুলিশ পরিদর্শক একে ফজলুল হক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সোমবার (৮ এপ্রিল) কেএনএফ এর এই ঘটনায় আরও দুজনকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিন শাখায় সশস্ত্র হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনার পর বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আমর্ড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে অপারেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে।  জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি সাজোয়া যান এপিসি, এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। 
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংক ও অস্ত্র লুট জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বান্দরবানে কেএনএফের সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও ব্যাংক লুটের ঘটনা জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। তিনি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ বলেন, ওই ঘটনায় পুলিশ ও আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে তো পারেইনি; বরং নিজেদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি সন্ত্রাসীদের হাতে সমর্পণ করেছে। অথচ এই পুলিশ ও আনসার বাহিনী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করতে খুবই পারদর্শী। প্রশাসনও কেন এত তাড়াতাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছে আত্মসমর্পণ করল তা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। এই সশস্ত্র হামলার সম্পূর্ণ দায় সরকারের। কারণ তারা আগে বলেছিল, পাহাড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কেএনএফের সঙ্গে তাদের একটা সমঝোতা আলোচনা চলছে। কিন্তু থানচি, রুমা ও আলীকদমে যা ঘটেছে, এতে পরিষ্কার, জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪
X