রহমান মৃধা
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লুট তখন, এখন ও আগামীকাল!

ছবি : প্রতীকী
ছবি : প্রতীকী

অতীতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দুর্বল দেশগুলোকে দখল করে সে সকল দেশ থেকে সম্পদ লুট করত, লেবার লুট করত। অনেক সময় দরিদ্র এবং মেহনতি মানুষদের কৃতদাস হিসেবে সারাজীবন ব্যবহার করত। পরের দেশে গিয়ে তাদের সম্পদ দখল করে এবং তাদেরকেই শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়ে, অনেক সময় জোরদখল করে সম্পদ লুট করে নিজ দেশে আমদানি করত। এ প্রথা (যাকে আমরা কলোনি বলি) বহু বছর ধরে চলেছে।

এ প্রথা আমরা নিজেরাও প্রয়োগ করেছি আমাদের সমাজে। যেমন হাট থেকে জোন বা কিষান কিনে তাকে কাজে লাগানোর প্রথা এখনও রয়েছে। বিনিময়ে এরা থাকা-খাওয়াসহ মজুরি পেয়ে থাকে। সময় এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানুষ কৃতদাসমুক্ত হতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে মুক্ত হয়। মূলত এ ধরনের শাসন ইউরোপিয়ানরা শুরু করে এবং এই প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় অর্থনীতি লুটপ্রথা।

এখনও গরীব দেশের মানুষ রপ্তানি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলমান এবং তারা তাদের নিজ শ্রমকে বিক্রি করে জীবন নির্ধারণ করে চলেছে। যার ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশের থেকে মানুষ নামের পণ্যগুলো উন্নত দেশে গিয়ে কায়িক বা দৈহিক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করছে এবং নিজ দেশে শ্রমের অংশবিশেষ পাঠিয়ে দেশে থাকা পরিবারকে জীবনযাপনে সাহায্য করে চলেছে। যেমন সাউথ এশিয়া এবং মিডলইস্টে প্রচুর মানুষ গিয়ে শ্রম বিক্রি করে জীবনযাপন করছে। বর্তমানে এই দেহ লুট শুধু ইউরোপিয়ানরা না, এটা সব ধনী দেশগুলো করে চলেছে।

বিষয়টিকে আরো গভীরভাবে দেখলে যা পাই তা হল- আমাদের দেহ লুটের পাশাপাশি চলছে আমাদের অর্থ লুটও। আধুনিক লুটপ্রথা কিছুটা ভিন্ন, বেশিরভাগ দরিদ্র এবং দুর্নীতিযুক্ত দেশগুলোর ব্যাংক থেকে অর্থ লুট হয়ে যাচ্ছে, অনেক দুর্নীতিবাজ টাকা লুট করে সেগুলো বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এই লুটের সঙ্গে আমাদের দেশের প্রধান সম্পদ কৃষিও লুট হয়ে যাচ্ছে। যেমন ধরুন আমরা আমাদের দেশের যত সবজি আছে এগুলো বেশি মাত্রায় পেতে নিজ দেশের বীজ ধ্বংস করে বিদেশি হাইব্রিড বীজের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে মাত্র ৭ শতাংশ বীজ উৎপাদিত হয়। বাকি ৯৩ শতাংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

হাইব্রিড ফসল উৎপাদন বাড়াতে এই নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে, কিন্তু পুষ্টির মান বিচারে হাইব্রিড ফসল দেশি ফসলের মত পুষ্টি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে দিনে দিনে আমরা বীজের ব্যবসা অন্যের হাতে তুলে দিব এবং পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ব। তখন কীভাবে তার ব্যবহার হবে? শুধুই কি ব্যবসা হিসেবে নাকি অস্ত্র হিসেবে? বিদেশি অস্ত্র, বিদেশি টেকনোলজি থেকে শুরু করে সবকিছুই আমরা বাইরের থেকে আমদানি করে চলছি, বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে চলছি। এভাবে চলছে এখনকার লুট।

আমি ২০১৭ সালের দিকে লিখেছিলাম আমরা মানুষ জাতি পরনির্ভরশীল হয়ে যাব, বেকারত্ব বেড়ে যাবে সত্ত্বেও সেটা মনে হবে না। কারণ আমরা বিনোদনমুখো টেকনোলজির সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত থাকব যে মনে হবে আমরা সারাক্ষণ ব্যস্ত। যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক, এআই (Artificial Intelligence) এসব ট্যুলগুলোর সঙ্গে নিজেদেরকে এমনভাবে জড়িত করতে শুরু করব তাতে মনেই হবে না যে আমরা বেকার বরং মনে হবে আমাদের প্রচুর কাজ। আমরা রান্নাবান্না বন্ধ করে দিব, দরকারে বাইরে খেয়ে নিব বা একটা মাল্টি ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ট্যাবলেট খেয়ে নিব।

আমরা ঘুরবো, যেখানে খুশি যাব, চলাচলে জটিলতা থাকবে না। শরীর অসুস্থ হলে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে না। সেন্ট্রাল ডিসপ্লের সামনে দাঁড়িয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং পুরো দেহ এক্সে মেশিন বা MR দ্বারা চেক হওয়ার পর আমার যে ওষুধ দরকার সেটা পেয়ে যাব। ডিজিটাল সম্পদে জড়িত থাকব, সব মিলে এআই-রিলেটেড হয়ে যাব। এমতাবস্থায় লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। তবে গরিবের জীবন বড়ই কঠিন হতে থাকবে। একসময় পৃথিবীর লোকসংখ্যার অর্ধেকের বেশি লোক মারা যাবে, যারা থাকবে তারা সময়ের সাথে ডিজিটাল মানবজাতি হয়ে যাবে ইত্যাদি।

আমি যখন এ ধরনের একটি লেখা ছেড়েছিলাম কোনো বড় সংবাদপত্র লেখাটি ছাড়েনি, কারণ কী জানেন? কারণ ছিল কেউ আমার এসব কথার গুরুত্ব দেয়নি তখন। অনেকের কাছে তখন অনেকটা গাঁজাখুরি গল্প মনে হয়েছে। হবেই বা না কেন? কে জানত সেদিন আমি যা লিখেছি এসব কথা সত্য হবে। যাইহোক কেন যেন তখন আমার ভাবনায় এসব চিন্তা এসেছিল যা আজ সত্য হয়েছে।

সামনের সময়ে যারা বেঁচে থাকবে তাদের জীবন দশা কেমন হবে? এটা এখন ভাববার বিষয়। তবে আমি এখন যেমন আছি তেমনভাবে থাকতে চাই, পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতি আমাকে লুট করুক সেটা আমি চাই না।

আগামীর ডিজিটাল লুট কীভাবে হবে আসুন জানি সে বিষয়ে: আমার মনে হচ্ছে আগামী প্রজন্মের জীবনধারা বর্তমানের তুলনায় একটি বিশাল পরিবর্তনের মুখোমুখি হবে। প্রযুক্তির ত্বরান্বিত উন্নয়ন ও সমাজের পরিবর্তনশীলতা প্রধানত এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তবে, আমাদের পৃথিবীতে মানুষের জীবনের নির্দিষ্ট দিক থাকবে যা অতীতের চেয়ে ভিন্ন। সমাজ এবং প্রযুক্তির এই পরিবর্তন অন্যরকম কিছু হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের প্রভাব থাকতে পারে। এবং অনেকে এই বিশাল পরিবর্তনের প্রতিটি দিক থেকে কিছুটা ক্ষমতা পাবে।

তারপরের জীবনধারায় প্রযুক্তির প্রভাব অনেকটাই দৃশ্যমান হবে। বিশেষ করে যে কোনো ধরনের যান্ত্রিক উন্নয়ন মানুষের জীবনে গভীরভাবে প্রভাবিত হবে। প্রযুক্তির সুবিধা সহজেই প্রয়োগ করা যাবে এবং মানুষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য পাবে। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত উন্নত ও সহজলভ্য হবে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, আগামী প্রজন্মের জীবনধারা অত্যন্ত প্রযুক্তিবিদ এবং সমাজবিদ হবে, এবং প্রযুক্তির সুবিধাগুলি ব্যবহার করে মানবজাতি নিজেদের জীবন সুবর্ণকুমারী করতে পারবে।

এআই বা Artificial Intelligence (AI) মানুষকে ডমিনেট করার চেষ্টা করবে না। বরং এটি মানুষের জীবনকে সুবিধাজনক এবং উন্নত করার জন্য কাজ করে যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। AI এক্সপার্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে এবং কঠিন সমস্যাগুলির সমাধানে মানুষকে সাহায্য করবে বলে মনে করি।

এআই যখন সকল কাজ সহজভাবে সম্পাদন করবে, তখন মানুষদের কাজের সময় ও শ্রম প্রয়োজন কমে যাবে। এটি মানুষকে নতুন কাজের সম্ভাবনার দিকে আগ্রহী করবে এবং মানুষ নতুন দিকের অন্বেষণ করতে উৎসাহিত হবে। এআই মানুষের কাছে কাজের ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এটি মানুষকে ক্রিয়াশীলতা এবং উৎসাহ দিবে যাতে মানুষ নতুন কিছু সম্পর্কে শিখতে পারে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এআই যখন মানুষের কাজ সহজ করবে, তখন মানুষ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কাজে অধিক সময় কাটানোর জন্য সুযোগ পাবে। এটি মানুষকে উপেক্ষিত কাজের দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য করবে এবং উপেক্ষিত ক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার ও নতুন ধারণার দিকে উন্নতি প্রদান করতে পারবে।

এআই এবং মেশিনলার্নিং প্রযুক্তি এখন একটি দ্রুত প্রগতি যা মানুষের কৌশল ও তার স্বস্থানে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। এই প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার মানুষকে নিজের কাজগুলি সহজ করতে এবং নতুন কৌশল গ্রহণে সাহায্য করবে। ইন্টারনেট অব থিংস প্রযুক্তির উন্নয়নে আরো প্রগতি হবে, এই প্রযুক্তি দ্বারা মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক সহজ হবে, যেমন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, স্মার্ট হোম সিস্টেম, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান ইত্যাদি।

ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে মানুষ ডিজিটাল অর্থনীতি এবং তথ্য সুরক্ষা পরিবেশনে ভালো সাহায্য পাবে। এটি সুরক্ষিত ও ট্রান্সপারেন্ট লেজারের লেনদেন সম্পাদনে মানুষকে সুরক্ষিত করবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কাজে সাহায্য করতে পারবে।

নতুন পৃথিবীতে শিক্ষার পদ্ধতি সহজ এবং ব্যক্তিগত হবে। প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার প্রক্রিয়ায় মানুষ হবে অনুপ্রাণিত এবং মানুষের শিক্ষার প্রক্রিয়া ব্যক্তিগতভাবে পরিপূর্ণ হবে। শিক্ষার পথে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ব্যক্তিগত শিক্ষার পথ তৈরি করা হবে। নতুন পৃথিবীতে ব্যক্তিভিত্তিক শিক্ষার পদ্ধতি দেখা যাবে যা মানুষকে নিজের আস্থার উপর নির্ভর করতে সহায়তা করবে। প্রযুক্তিগত প্রশাসন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার পথ তৈরি করা হবে যাতে মানুষ নিজের পরিচয়ে গড়ে উঠতে পারে এবং নিজের আস্থার উপর নির্ভরশীল হতে পারে। প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে নতুন পৃথিবীর শিক্ষার ক্ষেত্রে। মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের প্রক্রিয়াগুলি সহজ ও প্রভাবশালী করা হবে।

ধর্ম ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে শান্তি এবং সহযোগিতা নির্মাণ করতে পারে। মানুষের মধ্যে সামাজিক এবং ধর্মানুসারী অভিব্যক্তির প্রতি সহযোগিতা ও বিচারের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য, ভবিষ্যতে ধর্ম সাইবার পরিবেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাবে। ধর্মীয় অভিব্যক্তি ও অনুসরণের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে, সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়াশীলতা প্রভাবিত করবে। ভবিষ্যতে ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে একটি আরও গভীরভাবে এবং ইন্টিগ্রেশন তৈরি হবে। ধর্ম ও বিজ্ঞানের অনুপ্রাণিত এবং সংগতিমূলক দিকগুলি মিশে যাবে যা মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।

সহজলভ্য ভালোবাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো ভবিষ্যতে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা সহজলভ্য হবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে, ভালোবাসার প্রক্রিয়াগুলি সহজ ও সার্থক হবে। এই সব পরিবর্তনের মধ্যে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা একটি প্রভাবশালী বিশ্বাস, যা মানুষের জীবনে গভীরভাবে প্রভাবিত হবে। এটি সহযোগিতা, সহজলভ্যতা, এবং সামাজিক সমগ্রতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

ভবিষ্যতে ধনী এবং গরিবের ব্যবধানে একটি বিশাল পরিবর্তন হতে পারে যা কিছুটা নিম্নলিখিত দিক থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে: ভবিষ্যতে ধনী এবং গরিবের বিভাগটি সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে পরিণতি করতে পারে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনের ফলে, সমাজের মধ্যে বেতন ও অধিকার নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন দেখা যেতে পারে।

শিক্ষার সমতা উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে ধনী এবং গরিবের ব্যবধানে। প্রযুক্তিগত শিক্ষার পথে, সমাজের মধ্যে শিক্ষার সমতা বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে, ভবিষ্যতে সমাজের মধ্যে বেশি সহযোগিতা এবং সমগ্রতা দেখা যাবে। ধনী এবং গরীব পরিবর্তনশীল সম্প্রদায়ে উত্থান দেখা যেতে পারে।ভবিষ্যতে, প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়াগুলো ও প্রযুক্তিগত নয়া সুস্থিরতা পরিষ্কার ও সম্মত প্রশাসন গড়ে উঠতে সহায়ক হতে পারে। এটি সহযোগিতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিকূল প্রভাব মেটাতে সাহায্য করবে।

প্রযুক্তিগত শিক্ষার পথে, ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষার সম্মানযোগ্য পরিবেশ তৈরি করে সহায়তা করতে পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামগ্রিক প্রতিরোধে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা শক্তি সংহত হতে পারে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজের মধ্যে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে।

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিবেশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে অস্ত্রের সমর্থন এবং এ সম্পর্কিত নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করার জন্য নতুন প্রযুক্তিগত সমাধান প্রয়োজন হবে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে মজুদনীতি এবং নির্দেশিকা সমৃদ্ধ হতে হবে। এই নীতি এবং নির্দেশিকা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে মিলিত হতে হবে এবং অস্ত্রের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড স্থাপন করতে হবে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত আগামীর পৃথিবীতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে মানবজীবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। এটি সুবিধাজনক, কার্যকর ও পরিষেবার গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং পৃথিবীতে সমাজবদ্ধতা এবং ন্যায়বিচারের বৃদ্ধি হবে। সমগ্রতার অগ্রগতি এবং প্রতি ব্যক্তির অধিকারের সম্মান করা হবে। আগামীর পৃথিবীতে সম্প্রীতি এবং সহযোগিতার মাধ্যমে, ব্যক্তিগত এবং সমাজগত সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন হবে।

আগামীর পৃথিবীতে সুস্থির এবং উৎসাহজনক বাসিন্দাদের জন্য বিনোদনের সহজলভ্য মাধ্যম সৃষ্টি করা হবে। প্রযুক্তিগত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে, বিনোদনের অবকাশ অধিক হবে। পৃথিবীতে সমাজগত প্রবৃদ্ধি এবং সমতার জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি হবে। আগামীর পৃথিবীতে মানুষের জীবনের সুবিধাজনক মাধ্যম ও সেবা সার্বিক হবে। প্রযুক্তিগত সুবিধা সহজলভ্য হবে এবং মানুষের জীবনযাপন সহজ হবে।

আমার বর্ণনার ধারাবাহিকতার মাধ্যমে, আগামীর পৃথিবী একটি সুন্দর এবং সমৃদ্ধিশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আমি মনে করি। তবে প্রতিটি ব্যক্তির সুখ, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সকলকেই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

রহমান মৃধা: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লিচু চাষে বিপর্যয়, হতাশায় বাগান মালিকরা

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

ডিপজলের শিল্পী সমিতির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা

রাইসিকে কেন ভয় পেতেন ইসরায়েলের নেতারা

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের পাশে ভারত

রাইসির মৃত্যুতে বদলে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি?

রাইসির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার হলো কোরআনের তিন আয়াত 

রাইসিকে কি হত্যা করা হয়েছে?

ড্রোন ফুটেজে উঠে এলো রাইসির হেলিকপ্টারের করুণ পরিণতির দৃশ্য

রাইসির মৃত্যুতে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আবেগঘন স্ট্যাটাস

১০

ইব্রাহিম রাইসি নিহত, জরুরি বৈঠকে ইরান

১১

বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

১২

রাইসির জন্য প্রার্থনায় বসেছিল গোটা দেশ

১৩

মেঠোপথে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বুনো ফুল ‘পটপটি’

১৪

ব্রাজিলের কোপার স্কোয়াডে নতুন চার মুখ

১৫

রাইসির হেলিকপ্টারের যা ঘটেছিল

১৬

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

১৭

বিচারক থেকে প্রেসিডেন্ট, কে এই রাইসি

১৮

ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন

১৯

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

২০
X