শেরপুর স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ ঘোষণা
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের দিনসহ প্রতিদিন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। শ‌নিবার (৬ এপ্রিল) বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও লোড-আনলোডসহ সকল কার্যক্রম ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ দিন বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে এ বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম শুরু হবে। নাকুগাঁও স্থলবন্দরের অতিরিক্ত পরিচালক (এডি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি বন্ধ ৩ দিন থাকলেও ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ থাকবে। ভারত বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ঈদের দিনসহ প্রতিদিন খোলা থাকবে। এতে যাত্রী পারাপারে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘প্রেমের নামে ইভটিজিং আমি মানব না’
শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, তোমরা আমাকে ভোট দাও বা না দাও, আমাকে গালাগাল করো তবুও কলেজে আমি প্রেমের নামে ইভটিজিং মেনে নেব না। যারা এসব করবে তাদের প্রকাশ্যে বিচার হবে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে শেরপুর সরকারি কলেজের আয়োজনে কলেজ মাঠে তার সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের শেরপুর উন্নয়নের দিক থেকে অনেক জেলার চেয়েও পিছিয়ে আছে। তাই তোমাদের আগামী দিনের শেরপুরের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। তোমাদের লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে কাজ করতে হবে।  কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, কলেজের সাবেক ভিপি বায়োজিদ হাসান, যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সদর থানার ওসি এমদাদুল হক প্রমুখ। সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে কলেজের শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
১০ মার্চ, ২০২৪

শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৮
নির্বাচন ঠেকাতে নাশকতার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীসহ সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপির নেতারা। এ ছাড়া গ্রামের নেতাদের একত্রিত করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন তারা; এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে অনেকে পালিয়ে গেলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীসহ আটজনকে আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, তারা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ করছিলেন এবং নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এমন খবর পাওয়ার সঙ্গেই পুলিশ অভিযান চালায়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় আটজনকে আটক করা হয়।  এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে বাকিদের নাম-ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয় সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই রাস্তায় আমাদের নেতা সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ককটেল বিস্ফোরণ তো দূরের কথা আমাদের হাতে লিফলেট ছাড়া কোনো কিছুই ছিল না। আমাদের কাজ হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে নির্বাচন বিমুখ করা। কোনো সহিংসতা করা আমাদের কাজ নয়। পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করছে।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

শেরপুর স্থলবন্দরে ৩ মাস বন্ধ ভারতীয় পণ্য আমদানি
ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে সড়ক পথ সংস্কার কাজের অযুহাত দেখিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত ৯ জুলাই অলিখিত এই ঘোষণাতে বলা হয় ১০ দিনের মধ্যে রাস্তা সংস্কার শেষে ফের চালু হবে আমদানি-রপ্তানি। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও চালুর উদ্যোগ নেয়নি দুই দেশের কর্তৃপক্ষ।  তবে ভুটান থেকে অল্প কিছু পাথর আমদানি করলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। এ ছাড়া দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে। পাথর ও পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় বন্দরের প্রায় চার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীনবযাপন করছেন। শত কোটি টাকার লোকশানের মুখে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের এলসি করা প্রায় শত কোটি টাকা আটকে আছে ভারতে। এতে সরকারও হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্যই বন্ধ রয়েছে পাথরসহ পণ্য রপ্তানি। ঘোষণার পর গত ১১ জুলাই থেকে রাস্তা সংস্কারের অযুহাতে এক গাড়ি পাথরও পাঠায়নি তারা। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কারণ জানতে পারলেও মূল ঘটনার বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ভারত তাদের লাভের চিন্তা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। শত কোটি টাকা লস হলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠক না হওয়ায় চলছে এই স্থবিরতা।  বন্দরের এই শংকটময় সময়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ। এই সময় নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি সম্ভবনাময় বলে উল্লেখ করলেও চালুর ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি তিনি। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির, আইবিসিসিআইর এডমিন অফিসার সঞ্জিব কুমার বালাসহ শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নেতারা। স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ডিপোগুলোতে পাথর শেষ হয়ে গেছে। নতুন পাথর আনতে না পারায় পাথরের বাজার অস্থির হয়ে গেছে। এ ছাড়াও আমাদের অনেক ব্যবসায়ীর এলসি করা পাথর আমরা আনতে না পারায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে তারা। এ বিষয়ে নাকুগাঁও স্থলবন্দর কর্মকর্তা পার্থ ঘোষ জানায়, সরকারিভাবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ না হলেও ভারতীয় অংশে সড়ক সংস্কারের কাজ চলায় সেদেশের ব্যাবসায়ীরা আপাতত কিছুদিন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা শুনেছিলাম। এর বেশি কিছু আমি জানি না। তবে যাত্রী পারাপার ও বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।  তিনি আরও বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে আমরা প্রস্তুত। ভারতীয় অংশের বিষয়ে অফিসিয়ালি আমরা কিছু জানি না। তারা  কেনো পাথর পাঠাচ্ছে না এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

শেরপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারে মানিক মিয়া (৩০) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। শেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, মানিক ‍মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের ডোবারচর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হায়দর আলীর ছেলে। জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় কারা অভ্যন্তরে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মানিক। পরে বিকেলে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ কামাল কেয়া বলেন, তিনি দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ থাকলে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। জেল সুপার আরও বলেন, তিনি নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) এবং ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)/৮(৭) এর মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X