নির্বাচন ঠেকাতে নাশকতার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীসহ সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপির নেতারা। এ ছাড়া গ্রামের নেতাদের একত্রিত করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন তারা; এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে অনেকে পালিয়ে গেলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীসহ আটজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, তারা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ করছিলেন এবং নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এমন খবর পাওয়ার সঙ্গেই পুলিশ অভিযান চালায়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় আটজনকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে বাকিদের নাম-ঠিকানা এখনও জানা যায়নি।
শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয় সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার আগেই রাস্তায় আমাদের নেতা সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ককটেল বিস্ফোরণ তো দূরের কথা আমাদের হাতে লিফলেট ছাড়া কোনো কিছুই ছিল না। আমাদের কাজ হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে নির্বাচন বিমুখ করা। কোনো সহিংসতা করা আমাদের কাজ নয়। পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করছে।
মন্তব্য করুন