বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
শাল্লায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জের শাল্লায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রে ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রে ঢুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী নেতা অবনি মোহন দাসের সমর্থকরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা গণেন্দ্র চন্দ্র সরকারের এক সমর্থক কেন্দ্রে একাধিকবার ঢুকে জালভোট দিয়েছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সজীব হাওলাদার বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। এরপর তারা কেন্দ্র থেকে বের হলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সজীব হাওলাদার বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে নয়, বাইরে ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে কিছু সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলাউদ্দিন বলেন, সামান্য সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
১১ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়। তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি। আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।  বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
০৩ মে, ২০২৪

পড়ার টেবিল নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পড়ার টেবিল দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৮জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করেছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষকালে কলেজ ছাত্রাবাসের সাতটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনা খতিয়ে দেখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শজিমেক শিক্ষার্থীরা জানান, তৃতীয় বর্ষের (৩১তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার একটি পড়ার টেবিল দখলকে কেন্দ্র করে একই ব্যাচের আলী হাসানের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বুধবার রাত ১০টার দিকে ফুয়াদ ও আলী হাসানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অধ্যক্ষ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক মিনহাজুলসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ শজিমেকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।  পরে অধ্যক্ষের নির্দেশে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে আলী হাসান, সীমান্ত, ইসলাম, অর্পণ নিলয়, রিদওয়ান হক, তালহা, নাদিম ও আরিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, সংঘর্ষে আলী হাসানের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মেহেদী হাসান, যুগ্মসম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম। তারা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ফুয়াদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান বর্তমান কমিটির সহসভাপতি অর্ঘ্য রায়, তানভির আহমেদ সাকি, যুগ্মসম্পাদক তোফায়েল তুষার ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন। তারা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শৈশব রায়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শজিমেক কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বর্তমান সভাপতি শৈশব রায়ের অনুসারী ছাত্রলীগের একাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা কলেজের ছাত্রাবাসের পাঁচটি কক্ষের পড়ার টেবিল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সহসভাপতি অর্ঘ্য রায় দাবি করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। হোস্টেলে একটি পড়ার টেবিল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়েছে। কলেজ প্রশাসনের তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, বুধবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনিসুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষকালে যাদের আটক করা হয়েছিলো অধ্যক্ষের নির্দেশে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

সিলেট আদালত চত্বরে আইনজীবী-পুলিশের সংঘর্ষ
সিলেট জজ কোর্টে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের ন্যায়কুঞ্জে আদালত ও অফিস ভবনের জিআরও অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। এসময় আদালতপাড়ায় নারী পুলিশ ও মহিলা আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ২ নারী পুলিশ আহত হয়। আহতরা হলেন, নারী পুলিশ সদস্য বিউটি পুরকায়স্থ ও এস আই শামীম আক্তার। জানা গেছে, আদালতের শাহপরান (র.) থানা জিআরও’র দায়িত্বরত এসআই শামীমা বেগম ও কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থ এর কাছে একটি মামলার নথি দেখতে চান অ্যাড. কাজি সেবা। এই বিষয়ের জেরেই শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে শুরু হয় পুলিশ ও নারী আইনজীবিদের মধ্যে হাতাহাতি। পুলিশের দাবি আদালতে নারী আইনজীবী কাজী সেবা এসএমপি প্রসিকিউশন বিভাগের জিআরও অফিস কক্ষে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে জিআরও শাহপরাণ সেরেস্তায় কর্মরত নারী উপ-পরিদর্শক শামীমা খাতুন ও নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে মারধর করে। তবে আইনজীবীদের দাবি একটি মামলা সংক্রান্ত নথি চাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছে অ্যাড. কাজি সেবা জিআরও কক্ষে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে পেছন থেকে নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে চুলের মুঠি ধরে চর থাপ্পর মেরে হাতে, মুখে, পিঠে জখম করে বেরিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনজীবী কাজী সেবাকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, জখমি উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবলকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আদালত ও আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলোচনা সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ মে) একটি মার্কিন গণমাধ্যমের লাইভ ভিডিওতে এ চিত্র দেখা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ডেইলি ব্রুইন বলেছে, ইসরায়েলের সমর্থকরা ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল। এসময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে লস এঞ্জেলেস ডেপুটি মেয়র অব কমিউনিকেশনস জ্যাচ সিডল বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবশে করেছে। ইউসিএলএ চ্যান্সেলর জিন ব্লকের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যান তারা।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি এর একটি সহযোগী সম্প্রচারকারী কেএবিসি এর লাইভ ফুটেজে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করার জন্য কিছু মানুষকে লাঠি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আরও কয়েকজনকে প্ল্যাকার্ড ও ছাতা হাতেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের রক্ষার জন্য কাঠের বোর্ড দিয়ে একটি অস্থায়ী ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যারিকেডের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইসরায়েলপন্থি প্রতিবাদকারীরা। প্রতিবেদনে ওই সংঘর্ষের বিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তাও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবন থেকে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। তখন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আইভি লিগ স্কুলটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা প্রতিবাদকারীদের একটি ক্যাম্পকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দেন তারা। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  ইসরায়েলের নৃশংসতা ও ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। ফিলিস্তিন মুক্তির স্লোগানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
০১ মে, ২০২৪

কারাগারে দুগ্রুপের সংঘর্ষ
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুগ্রুপের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন হাজতিসহ দুজন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। আহতরা কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার নিউ জেল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  পুরোনো কোন্দলের জেরে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। জানা গেছে, সকাল থেকেই হাজতিদের সঙ্গে দেখা করতে স্বজনরা যশোরে কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ কারাগারের হুইসেল বেজে ওঠে। হাজতিদের দেখতে আসা দর্শনার্থীদের দ্রুত কারাগার এলাকা থেকে বাইরে যেতে বলা হয়। সূত্র জানিয়েছে, কারা অভ্যন্তরে নিউ জেল এলাকার সামনে সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। দুগ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। পরে হুইসেল বাজিয়ে কারারক্ষীরা ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দুই কারারক্ষী আহত হন।  আহতদের কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছেন। কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। অন্যদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই কারারক্ষী ও ৫/৬ জন হাজতিকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, ঘটনাটি সামান্য। তবে, আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়। তিনি বলেন, মূলত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগি কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দুটি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেও কোন্দল ছিল। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, কারারক্ষীদের ওপর হামলা চালানো হয়নি। তারা তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

প্রথম দিনেই পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষ
জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম দফায় এ ভোট নেওয়া হয়। এ দফায় গতকাল দেশটির ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ১০২টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। বেশিরভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে তিন আসনে প্রথম দফার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক সংঘর্ষের পরও সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই ভোট প্রদানের হার সবচেয়ে বেশি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ রাজ্যে ভোট প্রদানের হার ছিল ৭৭.৫৭ শতাংশ। আর সারা দেশে এ হার ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ। মোট সাত দফায় আগামী ১ জুন পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে। এদিকে ভোট শুরুর আগে দেশবাসীকে রেকর্ডসংখ্যক ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইনের। গতকাল প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি আসনে ভোট নেওয়া হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর, লাক্ষাদ্বীপ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পুদুচেরিতেও ভোট নেওয়া হয়। শুক্রবার মোট ১৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দেন। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। যদিও ভোটাররা তার আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে লাইন করে দাঁড়িয়ে যান। ভোটকেন্দ্রগুলো ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বয়স্ক ভোটারদের বাড়ি বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি লোকসভা কেন্দ্র-আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে গতকাল প্রথম দফায় ভোট নেওয়া হয়। এর মধ্যে সকাল থেকে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কোচবিহারের দিনহাটা, চান্দামারি, আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জের হরিহরহাট ও শীতলখুচির শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপির একটি বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার তুফানগঞ্জের তৃণমূলের নির্বাচন অফিসও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটের আগের জনমত জরিপ অনুযায়ী, সহজ জয় পেয়ে তৃতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি এবার এককভাবে ৩৭০টি আসনে জয়লাভের প্রত্যাশা করছে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের লক্ষ্য মোট ৪০০টি আসনে জয়লাভ করা। গতবারের নির্বাচনে এনডিএ জোট ৩৫৩টি আসন পায়। তার আগের নির্বাচনে (২০১৪ সাল) বিজেপি ৩০৩ আসন পেয়েছিল। মোদিকে টেক্কা দিতে এবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারতের বিরোধীদলগুলো ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করেছে। তবে জোট গঠনের পর থেকে অন্তর্কলহের কারণেই তারা খবরের শিরোনাম বেশি হয়েছে। এদিকে ভোট শুরুর ঠিক আগেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দেশবাসীকে রেকর্ডসংখ্যক ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, মারাঠি ও অসমিয়া—মোট ছয় ভাষায় পোস্ট করেন তিনি। মোদি তার পোস্টে লেখেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আবেদন রেকর্ডসংখ্যক ভোটদানের। বিশেষ করে তরুণ ও প্রথমবারের মতো ভোটদাতাদের আমি বিপুল সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান জানাই। সর্বোপরি, প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব আছে আর প্রতিটি কণ্ঠস্বরই গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে ভোট গ্রহণ শুরু হতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্যে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভারতের গণতন্ত্র এবং পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে আপনার ভোট। তাই বেরিয়ে আসুন এবং গত ১০ বছরে দেশের আত্মায় যে ক্ষত লেগেছে, তাতে আপনার ভোটের মলম লাগিয়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করুন। ঘৃণাকে হারিয়ে দিন।’ মমতার দাবি ২০০ আসনও পাবে না বিজেপি: লোকসভা নির্বাচনের যে সমীক্ষাগুলোতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে, সেগুলোকে ভুয়া বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘দেশে ২০০টি আসনও পাবে না বিজেপি। সব সমীক্ষা ভুয়া। লাখ লাখ টাকা ঢেলে সমীক্ষা করেছে। ওতে কান দেবেন না। মানুষের চোখ বলছে, বিজেপি জিতবে না।’
২০ এপ্রিল, ২০২৪

সংঘর্ষ ঠেকাতে আ.লীগ নেতাসহ আটক ৪
জায়গা নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র দুপক্ষের লোকজনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঠেকাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় রামদা ও বল্লমসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রাদিও জব্দ করা হয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক অন্য ৩ জন হলেন হাফিজুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক নাড়ু মিয়া ও হাসান মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে- জায়গা নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমতলা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক নাড়ু মিয়া এবং তার লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে সংঘর্ষ লিপ্ত হওয়ার লক্ষ্যে রোববার রাত থেকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র মজুদসহ প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সংবাদ পাওয়ার পর সংঘর্ষ ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই ওই গ্রামে ছুটে যান ওসি মো. এনামুল হক। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় একপক্ষের অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, তার ভাই হাফিজুর রহমান, ভাতিজা হাসান মিয়া ও অপর পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক নাড়ু মিয়াকে আটক করে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিরোধ মীমাংসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ায় স্বজনদের জিম্মায় আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশার আব্দুল হাশিম ওরফে কটকা মিয়া ও জমিরাহাটি গ্রামের আরক মিয়ার লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে একপক্ষের বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে মাধবপাশা গ্রামের আব্দুল হাশিম ওরফে কটকা মিয়ার গ্রুপের মুজাই মিয়ার পুত্র ফাহিম (১২)-এর সঙ্গে জমিরাহাটির আরক মিয়ার স্বজন আমিরুল মিয়ার পুত্র আবিদুর ১৩-এর সঙ্গে কবরস্থানে জুতা পরা অবস্থায় ওঠাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় মুজাই মিয়ার পুত্র ফাহিম এবং তার স্বজনরা আমিরুল মিয়ার পুত্র আবিদুরকে মারপিট করে। এরই জের ধরে বিকালে আরক মিয়ার লোকজন মাধবপাশা গ্রামে হামলা চালালে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মাধবপাশা গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসী সাবুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা ও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ দায়ের করেননি। পরে কোনো ঝামেলা যেন সৃষ্টি না হয় এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘বাঙালিত্বের সঙ্গে ধর্মের কোনো সংঘর্ষ নেই’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাঙালিত্বের সঙ্গে ধর্মের কোনো সংঘর্ষ নেই। ইসলাম ধর্মের সঙ্গে আমাদের শাড়ি পরা, টিপ পরার কোনো সংঘর্ষ নেই। এ বিষয়গুলো অনেক আগেই মীমাংসিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বাঙালি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ইতিহাস রয়েছে। এই বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করে লাভ নেই। বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দ্বার করাতে যারা চায় তারাই দেশের শত্রু। ওই পেঁচা, ওই বাঘমামা সবই আমাদের লোকসংস্কৃতির অনুষঙ্গ। সংস্কৃতির পূর্ণজাগরণ ঘটাতে এই মেলা ভূমিকা রাখবে। চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে ও সাবেক সভাপতি রহিম বাদশার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ। এ সময় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনসহ সাংবাদিক, সুধীমহল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
১২ এপ্রিল, ২০২৪
X