উপজেলা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই : সিপিবি
বাংলাদেশর কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জনগণের তথা মেহনতি শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন।  রোববার (৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দলটির নেতারা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের নির্বাচনী জামানত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের গণদাবিগুলো সরকার উপেক্ষা করল। যার ফলে জনগণের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ আরও সংকুচিত হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও ধনীমুখী হয়ে পড়েছে। নেতারা বলেন, এর মধ্য দিয়ে টাকার খেলা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আর এ অবস্থা বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে আরও পাকাপোক্ত করছে। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচন গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, অপরাধী, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত এবং মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ক্ষমতা দখলের পথ আরও প্রশস্ত করবে বলে মনে করে সিপিবি। বিবৃতিতে বলা হয়, তৃণমূলে টাকার খেলা, গোষ্ঠীতন্ত্র, অপরাধ, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সিপিবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন, দক্ষ ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
০৬ মে, ২০২৪

ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় সিপিবি
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এরপর গণপরিবহন রেলের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি মানুষের জীবনকে আরও অতিষ্ঠ করে তুলবে। পণ্যের পরিবহন ব্যয় বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের ওপর বর্তাবে। শুক্রবার (৩ মে) কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে সিপিবি আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তরা এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম। নেতৃবৃন্দ এই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, রেলের অপচয়, দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা দূর, এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি এবং রেলের বিভিন্ন প্রজেক্টের স্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, ও কাজী রুহুল আমিন। সমাবেশে মো. শাহ আলম বলেন, বড় বড় প্রকল্পের নামে রেলকে আধুনিকায়ন করার কথা বলা হচ্ছে। অথচ এই টাকার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। সরকার এদেরই পোষণ করে চলছে। সরকার শুধু সিন্ডিকেটের পাহারাদারই নয়, সিন্ডিকেটেরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করে, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এ সময় সরকার ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সারা দেশে এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দুর্নীতি অপচয় ও ব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে রেলকে আরও লাভজনক খাতে পরিণত করা যেত। এটি না করে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে দুর্নীতিবাজদেরই দায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্পের  ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। তিনি রেলের দখলকৃত জমি উদ্ধার ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবহারের দাবি জানিয়ে বলেন, পরিকল্পিতভাবে নৌখাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেলপথে খরচ বৃদ্ধি ও সংকুচিত করে রোড সিন্ডিকেট এবং বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। 
০৩ মে, ২০২৪

ট্রেনের কেবিন থেকে সিপিবি সভাপতির ব্যাগ চুরি
কিশোরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের কেবিন থেকে ব্যাগ চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। গতকাল শনিবার করা ওই অভিযোগে তিনি তার ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র, মুক্তিযোদ্ধা সনদ, টাকা ছিল বলে উল্লেখ করেন। মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করে। তিনি ট্রেনের সিঙ্গেল কেবিনের যাত্রী ছিলেন। কেবিনের দরজা দেওয়া ছিল। তবে লক করা ছিল না। ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার কাঁধের ব্যাগটি নেই। শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কেবিন অ্যাটেনডেন্টসহ কর্মচারীদের তিনি বিষয়টি জানান। তারা খোঁজাখুঁজি করে ব্যাগটি আর পাননি। শনিবার সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে শাহ আলম এ বিষয়ে রেলওয়ে থানায় অভিযোগ করেন। চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের অভিযোগ আমরা নিয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

ট্রেনের কেবিন থেকে সিপিবি সভাপতির ব্যাগ চুরি
কিশোরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেসের কেবিন থেকে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলমের ব্যাগ চুরি হয়েছে।  এ বিষয়ে তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। ওই ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুক্তিযোদ্ধা সনদ, নগদ টাকা ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে কিশোরগঞ্জ ছেড়ে আসা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটেছে। মোহাম্মদ শাহআলম জানান, কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে রাত ১২টা ২০ মিনিটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করে। তিনি ট্রেনের সিঙ্গেল কেবিনের যাত্রী ছিলেন। কেবিনের দরজা ভেজানো ছিল। তবে লক করা ছিল না। ভোর পৌনে ৪টার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে দেখেন, তার কাঁধের ব্যাগটি নেই। শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কেবিন এটেনডেন্টসহ কর্মচারীদের তিনি বিষয়টি জানান। তারা খোঁজাখুঁজি করে ব্যাগটি আর পাননি। এ বিষয়ে চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহআলমের অভিযোগ আমরা নিয়েছি। চলন্ত ট্রেনে তিনি দরজা ভেতর থেকে লক না করে ঘুমাচ্ছিলেন। সম্ভবত জানালাও খোলা ছিল। এই ফাঁকে কেউ সেটি নিয়ে যেতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হোতা: সিপিবি
সরকারই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হোতা মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা বলেছেন, ব্যাংক ডাকাত, লুটেরা মাফিয়া ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের পৃষ্ঠপোষক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে ধর্ষণের মতো ঘটনায় প্রতিবাদকারীদের দমন করতে সিদ্ধহস্ত। গতকাল মঙ্গলবার সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি বন্ধ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকার দায়ে ছাত্রনেতা অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বহিষ্কারাদেশ এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় দলটি। বক্তারা বলেন, রমজান সামনে রেখে এখন থেকেই মজুতদার ও বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। সরকার এ বিষয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কার্যত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অচল করে দেওয়া হয়েছে। সরকার মূল্যবৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে চরম বাজার নৈরাজ্য, সীমাহীন লুটপাট-অর্থ পাচারের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। যার ফলে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই আর সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে নেই। নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব চরিত্র হারিয়ে লুটেরাদের অর্থের জোগানদাতায় পরিণত হয়েছে। বক্তারা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাষ্ট্রের ক্ষমতা কেন্দ্রের চরিত্রকে অনুকরণ করে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা লোমহর্ষক ধর্ষণকাণ্ড ঘটিয়েছে। ধর্ষকদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ খোদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এমনকি শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব অবহেলার দায়ে প্রশাসনকে অভিযুক্ত করছে শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু উন্মাদনা তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও কারান্তরীণ করার নীলনকশা এঁকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাইফুল ইসলাম সমীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মঞ্জুর মঈন, জেলা কমিটির সদস্য আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মনজুরুল আহসান খানকে উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দিল সিপিবি
দলে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমরেড মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলের সাবেক এই সভাপতির সদস্য পদ আগামী ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সদস্য পদ স্থগিত থাকাকালীন তার কার্যকলাপ সম্পর্কে নতুন কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সেক্ষেত্রে পুনরায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  বৈঠক শেষে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের শৃঙ্খলা, রীতিনীতি ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার যে কোনো পদক্ষেপ ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে সারা দেশের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, মোতালেব মোল্লা, পরেশ কর, কেন্দ্রীয় সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য মাহবুব আলম, ডা. এম এ সাঈদ, আবু হোসেন, কাজী সোহরাব হোসেন, সুজাত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, রফিকুজ্জামান লায়েক, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, আবদুল্লাহ ক্বাফি রতন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, আহসান হাবীব লাবলু, ডা. দিবালোক সিংহ, অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত, জলি তালুকদার, অ্যাড. মন্টু ঘোষ, মনিরা বেগম অনু, অ্যাড. সোহেল আহমেদ, অ্যাড. মাকছুদা আক্তার লাইলী, এস.এ রশিদ, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী প্রমুখ।  
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানের অন্তরালে চলছে স্মার্ট দুর্নীতি : সিপিবি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানের অন্তরালে দেশে চলছে স্মার্ট দুর্নীতি এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দালালি আর ভয়ের রাজত্ব সবখানেই। ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক মত ও পথকে সহ্য করা হচ্ছে না। এ ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে লোভ আর ভয়কে উপেক্ষা করে সর্বত্র অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়াতে হবে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাফরুলের ভিশন ফ্যাক্টরির মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে নেতারা এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর আয়োজিত এই সমাবেশে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।  সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিজেদের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি, লুটপাটকারী আর তাদের পাহারাদারের দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।  প্রহসনের এই ডামি নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। মহানগর উত্তরের সভাপতি কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কমরেড লূনা নূর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোতালেব হোসেন, জয়নাল আবেদিন, আলী কাউসার মামুন প্রমুখ। প্রিন্স বলেন, সংসদে যাওয়া অধিকাংশ রাজনীতিক বিনাপুঁজির লাভজনক ব্যবসায়ী। কারণ তারা বিনাভোটে নির্বাচিত। আর বর্তমান সংসদ তো পুরোই ব্যবসায়ীদের দখলে। সাজানো ভোটের এই একদলীয় সংসদ চলতে থাকলে আরও আইন প্রণীত হবে লুটেরা ব্যবসায়ী আর কর্তৃত্ববাদী শাসনের স্বার্থে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ হবে উপেক্ষিত।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচন থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে: সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা বলেছেন, মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। নীতিহীন-আদর্শহীন লুটেরা রাজনীতি দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের বর্তমান সংকট কাটাতে কমরেড মণি সিংহের পথে অগ্রসর হতে হবে বলে মনে করেন সিপিবি নেতারা। বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী উল্লেখ করে দলটির নেতারা বলেন, সরকারের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে, যা সংবিধানবিরোধী মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। গতকাল শনিবার ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামী, টঙ্ক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা কমরেড মণি সিংহের ৩৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সিপিবির আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মুক্তিভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভোটাধিকার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত না করে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার মধ্যে দিয়ে মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তারা বলেন, সিপিবির সাবেক সভাপতি মণি সিংহের মতো আদর্শবাদী নীতিনিষ্ঠ নেতার জীবনাদর্শ চর্চা, মানুষের জন্য রাজনীতি করার মধ্যে দিয়ে বর্তমান সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। সিপিবি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা লক্ষ্মী চক্রবর্ত্তী, পরেশ কর, এস এম এ সবুর, ডা. ফজলুর রহমান, অমিত রঞ্জন দে, রুহুল আমিন, জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, দীপক শীল প্রমুখ।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে : সিপিবি
দেশের বর্তমান সংকট কাটাতে কমরেড মণি সিংহের পথে অগ্রসর হতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা। বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী উল্লেখ করে দলটির নেতারা বলছেন, স্বৈরাচারী সরকারের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যা সংবিধান বিরোধী মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।  শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামী, টঙ্ক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা কমরেড মণি সিংহের ৩৩তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে সিপিবি আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।    বক্তারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত না করে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার মধ্যে দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। নীতিহীন আদর্শহীন লুটেরা রাজনীতি দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সিপিবি সাবেক সভাপতি মণিসিংহের মতো আদর্শবাদী নীতিনিষ্ট নেতার জীবনাদর্শ চর্চা, মানুষের জন্য রাজনীতি করার মধ্যে দিয়ে এ সংকট থেকে মোকাবিলা করা সম্ভব বলেও মনে করেন তারা।  নেতারা বলেন, কমরেড মণি সিংহ সৎ ও ত্যাগী আদর্শের প্রতীক। শোষণমুক্তির সংগ্রাম, আদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা, সততা, আত্মত্যাগ, শোষিত নির্যাতিত মেহনতি মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা এবং গভীর দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতিক তিনি। বাংলাদেশের জনগণের সামনে তিনি আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন। সিপিবি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন দলেরর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা লক্ষী চক্রবর্ত্তী, পরেশ কর, এস এম এ সবুর, ডা. ফজলুর রহমান, অমিত রঞ্জন দে, রুহুল আমিন, জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, দীপক শীল প্রমুখ।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফের একতরফা নির্বাচনের পথে সরকার: সিপিবি
গণদাবি ও জনমত উপেক্ষা করে সরকার ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা। তাদের অভিযোগ, একতরফা তকমা ঘোচাতে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়াতে নানা অপকৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সেসব অপকর্ম যে কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে, তা গোপন থাকছে না। এ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করবে না। তাতে সরকারের স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হবে। সে সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের ওপর হস্তক্ষেপ বাড়াবে। গতকাল শুক্রবার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের সামনে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, টাকা, পেশিশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িকতার প্রভাবমুক্ত না হলে নির্বাচনে সমসুযোগ থাকে না। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ভুয়া, অবৈধ, প্রহসনের নির্বাচন চাই না। শাহ আলম বলেন, সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভোটে জিতবে না জেনে নানা বাহানা তৈরি করে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩
X