প্রথমে রেগে ঘাড় ধাক্কা, পরে সেলফি-অটোগ্রাফ
ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে খুনসুটিতে যেমন মেতে ওঠেন, তেমনি প্রায় সময়ই মেজাজও হারিয়ে বসেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু কখন মেজাজ হারাবেন আর কখন ভালোবাসবেন, সেটাই যেন অনুমান করা দায়! এই যেমন সোমবার ফতুল্লায় প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ম্যাচ খেলতে গিয়ে এক ভক্তের ওপর মেজাজ হারিয়ে বসেন তিনি। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। লিগের শেষ ম্যাচে সাকিবের দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রীড়া চক্রের প্রতিপক্ষ ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সেই ম্যাচের আগে ঘটেছে এ ঘটনা। রাতের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় ম্যাচ শুরু হতে কিছুটা দেরি হচ্ছিল। তখন মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংক কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও শেখ জামালের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব। মূলত নিজের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। তিনজনের গুরুত্বপূর্ণ আলাপের ফাঁকেই হঠাৎ ফোন হাতে মাঠে প্রবেশ করেন এক সমর্থক। প্রথমে সাকিব নিষেধ করলেও সেটা উপেক্ষা করে দ্বিতীয়বার সেলফি তুলতে চলে যান সে ভক্ত। এ সময় মেজাজ হারিয়ে সেই ভক্তকে দূরে ঠেলে দেন সাকিব। পরে অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মেজাজ ঠান্ডা হলে সেলফি তোলেন ভক্তদের সঙ্গে। এমনকি বোনাস হিসেবে দিয়ে অটোগ্রাফও দিতে দেখা যায়। সোমবার লিগের শেষ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে শোচনীয় হেরে যায় সাকিবের দল শেখ জামাল। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন ব্যাট হাতে রান করতে পারেননি তিনি। তবে বল হাতে দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এতে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পর্শ করেন ৪০০ উইকেটের মাইলফলক। এদিকে ম্যাচ শেষে সাকিবের কাছে অটোগ্রাফ ও সেলফির আবদার করেন ভক্তরা। এবার ভক্তদের সেই আবদার পূরণ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফলে একই দিনে সাকিবের দুই রূপ দেখল ভক্তরা। দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব। কিন্তু বিতর্কের বাইরে থাকতে পারেননি কখনই। নিজের পারফরম্যান্সে বিশ্ব ক্রিকেটের সমীহ আদায় করলেও, বাজে আচরণে সমালোচিত হয়েছেন অনেকবার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট চলাকালে মাঠে ভক্ত-সমর্থকদের এমন অবাধ বিচরণে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সাকিবের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে ভক্তদের ওপর মেজাজ হারিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভক্তকে চড় মারার দৃশ্য ভাইরাল হয়।
০৭ মে, ২০২৪

মাত্র ২০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াই
চলতি বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার (৩ মে) শুরু হওয়া এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমের চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সাগরিকায় হওয়া সেই তিন ম্যাচের টিকিট মূল্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মাত্র ২০০ টাকা খরচ করেই উপভোগ করা যাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াই। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বের টিকিট মূল্য প্রকাশ করেছে বিসিবি। ২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে টিকিটের দাম। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পশ্চিম স্ট্যান্ডে মাত্র ২০০ টাকায় দেখা যাবে খেলা। পূর্ব স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে খরচ করতে হবে ১০০ টাকা বেশি। ক্লাব হাউসে বসে দেখতে আপনার খরচ করতে হবে ৫০০ টাকা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ১০০০ টাকা। সবচেয়ে দামি সিট হিসেবে ধরা হয়েছে রুফ টপ হসপিটালিটি ও গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকিট। এই দুই জায়গায় ১৫০০ টাকা খরচ করে টিকিট কেটে খেলা দেখতে হবে। সিরিজের টিকিটগুলো পাওয়া যাবে সাগরিকা টিকিট কাউন্টার (বিআইটিসি সার্কেলের কাছে) এবং এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারে। আগামী ২ মে থেকে সিরিজের টিকিট কেনা যাবে। নির্দিষ্ট দিনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচের দিনও কাঙ্ক্ষিত টিকিট কাটতে পারবে দর্শক-সমর্থকরা। সরাসরি টিকিট কাটার পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা থাকছে। ১ মে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টার থেকে ম্যাচের আগের দিন টিকিট সংগ্রহ করে নিতে হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

নতুন রূপে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম
ঘাসের পর ঘাস। সবুজের পর সবুজ। দূর থেকে দেখে মনে হবে কোনো সবুজ প্রান্তর। প্রাকৃতিক কোনো নয়নাভিরাম আঙিনা। কোনো সবুজ আঙিনা নয়, এটি নগরের প্রাণকেন্দ্র কাজির দেউড়ি মোড়ের আউটার স্টেডিয়াম। নতুন রূপ ধারণ করেছে মাঠটি। কিছুদিন আগেও যে মাঠটি দেখে মনে হতো পরিত্যক্ত কোনো মাঠ কিংবা ট্রাক টার্মিনাল। এটি এখন পুরোদমে সবুজ মাঠ, খেলার আঙিনা। ফলে খেলা মাঠে খেলাই ফিরছে। এখন আর হবে না মেলা। ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আউটার স্টেডিয়াম উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। জানা যায়, এক সময়ের পরিত্যক্ত ডোবা, বালুর মাঠ, গাড়ির গ্যারেজ, টং দোকানের আর অস্তিত্ব নেই। অবৈধ সব স্থাপনাও উচ্ছেদ হয়েছে। ছিল ট্রাক ও ভ্যানগাড়ি রাখার স্থান। কিন্তু এখন সেখানে দেওয়া হয়েছে নতুনত্ব। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১১ হাজার বর্গফুট আয়তনের মাঠের মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। এই মাঠকে খেলাধুলার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। ঘাস লাগানো হচ্ছে। ঘাসগুলো বড় করতে নিয়মিত পানি ছিটানো হচ্ছে। মাঠের সামান্য অংশের কাজ বাকি, সেখানেও কয়েকদিনের মধ্যে ঘাস লাগানোর কাজ শেষ হবে।  চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমরা চাই খেলার মাঠে খেলাই হোক। তাই আউটার স্টেডিয়ামে আর কোনো মেলা হতে পারবে না। নতুন আঙ্গিক দেওয়ার পর এখানে নিয়মিত খেলাই হবে। এর মাধ্যমে মাঠটির অতীত ঐতিহ্য ফিরে আনা হচ্ছে। জানা যায়, আউটার স্টেডিয়ামের নকশা করেছেন স্থপতি আশিক ইমরান। তবে অনুযায়ী গৃহীত পরিকল্পনার অনেক কাজই এখনো বাকি। নকশায় আছে- মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেওয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউস প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এ ছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিংরুম এবং বসার জায়গা থাকবে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আউটার স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে দুই ধাপে। মাঠের চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রথম ধাপের কাজ শুরু করেছে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান। আসন্ন বর্ষার আগেই বেশকিছু কাজের অগ্রগতি হবে। দীর্ঘদিন ধরে দখলদারদের হাতে থাকা এই স্টেডিয়াম খেলার উপযোগী করে নান্দনিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। সংস্কারের পর এই মাঠে খেলতে টাকা দিতে হবে না। তবে শৃঙ্খলার জন্য একটি সূচি অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় দুই পাশে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। খেলার মাঠ দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। এক সময় সারা বছরই আউটার স্টেডিয়াম দখলে থাকতো মেলাসহ বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনের জন্য। সেই মাঠের সংস্কার কার্যক্রমে খুশি ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ এই মাঠকে খেলার উপযুক্ত করতে আন্দোলন করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে সংস্কার হচ্ছে মাঠটি। ক্রীড়া সংগঠকরা বলছেন, চট্টগ্রামে একে একে অনেক খেলার মাঠ হারিয়ে গেছে। সেখানে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। আউটার স্টেডিয়াম থেকে গড়ে ওঠেছে দেশসেরা অনেক ক্রীড়াবিদ। খেলতে না পারলে খেলোয়াড় তৈরি হবে কীভাবে। অথচ সাবেক জাতীয় ফুটবলার আশীষ ভদ্র এ মাঠে খেলেছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ইকবাল খান, আকরাম খান, নুরুল আবেদীন নোবেল, ফজলে রাব্বী রুবেল, নাফিস ইকবাল, আফতাব আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটাররা এই মাঠে খেলে তাদের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন।  স্টার যুব টুর্নামেন্ট এবং স্টার সামার টুর্নামেন্টও এ মাঠে আয়োজন করা হতো। মাঠের চারদিকে প্রচুর দর্শক খেলা উপভোগ করতেন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গল টিমও খেলে গিয়েছিল এ মাঠে। চট্টগ্রামের ক্রীড়াপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু আউটার স্টেডিয়াম নতুন রূপে ফিরছে- এটা সুসংবাদ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

এবার চিপকেও ব্যর্থ মোস্তাফিজ
এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মোস্তাফিজের আইপিএল যাত্রাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। চেন্নাইয়ের হোমগ্রাউন্ড এম চিদাম্বরম (চিপক) স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচের আগে তিন ম্যাচ খেলে ফিজ নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। অন্যদিকে চেন্নাইয়ের বাইরে তার উইকেট সংখ্যা মাত্র ৩। তাই মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) লখনৌর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের ম্যাচে আবারও মোস্তাফিজের ভালো বোলিং দেখার আশা নিয়ে টিভির সামনে বসেছিলেন সবাই। তবে তাদের হতাশই করলেন ফিজ।   মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আইপিএলের ৩৯তম ম্যাচে চিপকে লখনৌর মুখোমুখি হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের শতকে লখনৌকে ২১১ রানের টার্গেট দেয় চেন্নাই। বড় টার্গেট এবং ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিল চেন্নাই দল। তার ওপর ঘরের মাঠে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ফর্মও আশা যোগাচ্ছিল ধোনি-রাহানেদের। কিন্তু লখনৌর অজি ব্যাটার মার্কাস স্টায়নিসের তাণ্ডবে মোস্তাফিজ-পাথিরানারা পাত্তা পায়নি। বিশেষ করে মোস্তাফিজের বোলিং হতাশ করেছে সবাইকে। ফলে ২১১ রানের টার্গেটেও ৬ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয়েছে চেন্নাইয়ের।  বড় রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় লখনৌ। কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান দীপক চাহার। পঞ্চম ওভারে প্রথম বল করতে আসেন মোস্তাফিজ। সেই ওভারে প্রথম বলে চার রান দিলেও ওভারের বাকি বলগুলোতে দুর্দান্ত বোলিং করে আর কোনো রান দেননি। উপরি পাওনা হিসেবে লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেট পান তিনি। ৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লখনৌকে পথ দেখায় স্টয়নিস। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন স্টয়নিস। দেবদূত পাড়িকেলের স্লো ব্যাটিংয়ে অনেকটা পিছিয়ে গেলেও দলকে কখনো লড়াই থেকে ছিটকে যেতে দেননি অজি এই ব্যাটার। ১৯ বলে ১৩ রান করা পাড়িকেলকে ফেরান মাথিশা পাথিরানা। তবে তাতে লাভই হয়েছে লখনৌয়ের। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বলে ৩৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। পাথিরানার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ব্যাটার। শেষ ৩ ওভারে ৪৭ রান দরকার ছিল লখনৌয়ের। তখন ১৮তম ওভারে এসে ১৫ রান দেন মোস্তাফিজ। দীপক হুডা এবং স্টয়নিস মিলে পাথিরানার পরের ওভারে নেন ১৫ রান। শেষ ওভারে লখনৌর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ বলে ১৭ রান। টি-টোয়েন্টির এই যুগে রানটা কঠিন না হলেও সহজ ছিল না। তবে কঠিন এই কাজটি সহজ করে দেন মোস্তাফিজ। প্রথম বলে ছক্কা এবং পরের দুই বলে খান দুটি চার। তিন নম্বর বলটি আবার হয়েছে নো বল। ফ্রি হিটে আবার ৪ মেরে লখনৌকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন স্টয়নিস।      এই হারে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে চেন্নাই। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে নেমেছে মোস্তাফিজের দল।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

মুসলিম দেশে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
২০৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দেশটিতে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পের মতো ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। এরপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। প্রায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা হতে ১ লাখ ১৫ হাজার দর্শক। পশ্চিমাদের নানা বিতর্কের পর কাতার বিশ্বকে উপহার দিয়েছে স্মরণকালের সেরা বিশ্বকাপ। আয়োজনটি নির্ভুল করতে কোনো ক্রুটি করেনি ফিফাও। কাঁড়িকাঁড়ি টাকা খরচ করে বিশ্বকাপের আয়োজনকে অন্যান উচ্চতায় নিয়ে গেছে এশিয়ার দেশ কাতার। সেই বেঞ্চমার্ক পার করা অন্যদেশগুলোর জন্য প্রায় অসম্ভব। ফুটবলের বিশ্ব আসরকে ঘিরে মেগা পরিকল্পনা নিয়েছে মরক্কো। তিন মহাদেশের ৬টি দেশে হতে পারে ২০৩০ বিশ্বকাপ। সে বছর ফুটবল বিশ্বকাপ পা দেবে শতবর্ষে। তাই উদ্বোধনী ম্যাচগুলো হবে প্রথম আসরের ভেন্যু দক্ষিণ আমেরিকায়। আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে মিলে আয়োজন করবে শুরুর দিকে কিছু ম্যাচ। তবে বিশ্বকাপের মূল অংশের আয়োজক থাকবে ইউরোপের স্পেন-পর্তুগাল ও আফ্রিকার মরক্কো। অতীতে বড় ইভেন্ট আয়োজন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্পেন-পর্তুগালের। তবে মরক্কোর জন্য এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তাই বেশ ভালো এবং বড় পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছেন মরক্কোর আয়োজকরা। যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি ২০৩০ বিশ্বকাপের সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু। তবে ফাইনাল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে মরক্কো ফুটবল ফেডারেশন। এ জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা। যাতে করে ফাইনাল আয়োজন করতে স্পেনের ঐতিহাসিক সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও ন্যু ক্যাম্পকে টেক্কা দেওয়া যায়। স্পেনের দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রুজ ও অর্তিজের সঙ্গে স্টেডিয়ামটির ডিজাইন ও নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচারাল ফার্ম পপুলাস। বেন্সলিমান প্রদেশের এল মানসুরিয়া শহরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে পূর্ণাঙ্গ ফুটবল কমপ্লেক্স করার ইচ্ছে মরক্কোর। গ্র্যান্ড স্তাদে দি কাসাব্লাঙ্কা নামের স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে দেশটির ঐতিহ্য মেনে। পূরণ করা হবে আলাদা অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, ইনডোর সুইমিংপুল, শপিং সেন্টার ও পাঁচ তারকা হোটেলসহ ফিফার সব শর্ত। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ের রুনগ্রাদো। মরক্কোর পরিকল্পনা সফল হলে ২০৩০ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে। মুসলিম দেশটিতে রচিত হবে নতুন এক ইতিহাস।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

১০ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ!
প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর পাঁচ মিনিট-১০ মিনিটের ঝড়ে রীতিমতো উড়ে গেল বাংলাদেশ। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। এ নিয়ে ‘আই’ গ্রুপে দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে ১২ গোল হজম করল বাংলাদেশ! মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।  বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাতে কুয়েতে হার ৫-০ গোলে। তিন ম্যাচের আরেকটি লেবাননের সঙ্গে ড্র করেছে লাল-সবুজরা। কুয়েত সিটির জাবেদ আল-আহমাদ স্টেডিয়াম কিক-অফের আগেই লাল-সবুজ রঙ ধারণ করেছিল। প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় পতাকা হাতে প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন। বাংলাদেশ... বাংলাদেশ... স্লোগানে কিক-অফের পর থেকে উজ্জীবিত ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারাও। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা বাংলাদেশই তৈরি করেছিল। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন, বক্সে ফাঁকায় ছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বাংলাদেশের নম্বর-টেন ঠিক জায়গায় ক্রস ফেলতে পারেননি। সুযোগ এসেছিল ২৭ মিনিটেও। রাকিব হোসেনের ক্রস ধরে অহেতুক তাড়াহুড়া করে সোহেল রানা বাইরে মারলে নষ্ট হয় এ সুযোগও। মাঝে ফিলিস্তিন আক্রমণ করলেও আস্থার সঙ্গেই প্রতিরোধ করে আসছিল বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল সে প্রতিরোধ। বেলজিয়ান শীর্ষ লিগের ক্লাব স্পোর্টিং চারলেরই-এ খেলা ওদায় দাবাঘের গোলে লিড নেয় ফিলিস্তিন। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ের প্রথম মিনিটে স্কোর-লাইন দ্বিগুণ করেন শেহাব কুম্বর। বিরতির পর চতুর্থ মিনিটে কুম্বরই স্কোর-লাইন ৩-০ করেন। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফিলিস্তিনের চতুর্থ গোল করেন দাবাঘ। ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা দাবাঘ স্কোর-লাইন ৫-০ করেছেন। ম্যাচটা মুঠোয় ভরে নেওয়ার পর পাঁচ খেলোয়াড় বদল করে ফিরতি লেগের আগে নিয়মিত ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়ার পাশাপাশি বেঞ্চটাও ঝালিয়ে নিয়েছেন ফিলিস্তিনের তিউনিসিয়ান কোচ মাক্রাম দাব্বউব। ২৬ মার্চ ঢাকায় ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দেশ।
২২ মার্চ, ২০২৪

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টিকিটের চাহিদা ২০০ গুণ বেশি
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই দর্শকদের মাঝে বিরাজ করে বাড়তি উত্তেজনা। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রায় ১২ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। শুধু আইসিসি ও এসিসির ইভেন্টে একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত-পাকিস্তান। সঙ্গত কারণেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে ২০০ গুণ বেশি টিকিটের আবেদন করেছেন দর্শকরা।  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে, বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের ম্যাচে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। স্টেডিয়ামটির ধারন ক্ষমতা ৩৪ হাজারের মতো। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে ২০০ গুণ বেশি দর্শক টিকিট পেতে আবেদন করেছেন।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০০ দিন বাকি থাকতে ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতার অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে আরও আগে। মার্কিন মুল্লুকে হতে যাওয়া ১৬ ম্যাচের ৯টির টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে গতকালই।  এবারের আসরে পাবলিক ব্যালটের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল আইসিসি। সারা বিশ্বের ১৬১টি দেশ থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ টিকিটের আবেদন করেছেন। যার মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। তাদের ম্যাচের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে অগ্রিম টিকিট ছাড়ে সংস্থাটি। স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির টিকিটের দাম ধরা হয়েছিল ১৭৫ মার্কিন ডলার বা ১৯ হাজার ২০০ টাকা। স্ট্যান্ডার্ড প্লাস টিকিটের দাম ৩০০ ডলার বা ৩২ হাজার ৯০০ টাকা। আর সবচেয়ে দামী প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির টিকিটের দাম হাঁকানো হয় ৪০০ ডলার বা ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন উন্মাদনায় সন্তুষ্ট আইসিসি। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী ব্রেট জোন্স এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে আসছে, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। টিকিটের জন্য মানুষের আগ্রহ অসাধারণ। পাবলিক ব্যালটের মাধ্যমে দেখা গেছে ম্যাচটি ঘিরে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। আমার মনে হয়, এখানকার মানুষ ব্যাপারটা এরই মধ্যে উদ্‌যাপন করতে শুরু করেছে।’
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অজিদের বিপক্ষে রানের পাহাড়ে কিউইরা
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ের জোড়া ফিফটিতে ২১৫ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওয়েলিংটনের স্কাই স্টেডিয়ামে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ৬৩ এবং রবীন্দ্র ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।   ওয়েলিংটনে প্রথমে ব্যাটিং নেমে ঝড় তোলেন ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৬১ রান যোগ করেন দুজন। ১৭ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রানে বিদায় নেন অ্যালেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ১১৩ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন কনওয়ে-রবীন্দ্র। এ দুজনের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথে থাকে কিউইরা। ৩৫ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও খেলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ইনিংসটিতে ২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান রবীন্দ্র।  ওপেনার কনওয়ে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে ফেরেন। ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন কিউই ওপেনার। শেষ জুটিতে গ্লেন ফিলিপস ও মার্ক চাপম্যান অপরাজিত ৪১ রান যোগ করেন। তাদের ছোট দুই ইনিংসের সুবাদে ২১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।  
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ঢাকার সংগ্রহ ১২৪
বিপিএলে মাঠে নেমেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। প্রতিযোগিতায় উভয় দলই একটি করে ম্যাচে জয়লাভ করেছে। জয়ের খরা কাটানোর লড়াইয়ে সিলেটকে ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছে ঢাকা।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সাইফ হাসান। টস জিতে ঢাকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিলেটের অধিনায়ক মিঠুন। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির হোসেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল ৩২ বলে ৪১ রান করা সাইফকে বোল্ড করেন। ২ রানের ব্যবধানে আউট হন নাঈম শেখও। বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। দলীয় ৯১ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রস। মাত্র ৫ রানে সামিত প্যাটেলের বলে লেগ বিফোর হন তিনি। পাকিস্তানি তরুণ ব্যাটার সাইম আইয়ুব এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন। ১৩ বলে ১০ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার। মিডল অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সংগ্রহ বড় করতে পারেনি স্বাগতিক ঢাকা। শেষ ৫৯ বলে ৪২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় তাসকিন আহমেদের দল।  রেজাউর রেজা সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন।    
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ত্রিদেশীয় সিরিজ / শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বিপিএল চলাকালীন সময়ে কক্সবাজারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল নিয়ে শুরু হয়েছে তিন জাতির টি-টোয়েন্টি সিরিজ। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৯ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল।  ৯৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩১ রান তুলে ফেলে টিম টাইগ্রেসরা। এরপরই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত আফিয়া ইরা ও ইভার ব্যাটে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইরা। এর আগে নারিকেল জিঞ্জিরায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে ১৮ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। দলীয় পঞ্চাশ পূরণের আগে আরও ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানে থামে শ্রীলঙ্কা দল। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন রাশমি নেত্রাঞ্জলি। এছাড়া ভিশমি গুণারত্নার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। বাংলাদেশের নিশিতা আক্তার নিশি ও রাবেয়া খান ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।  
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X