এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মোস্তাফিজের আইপিএল যাত্রাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। চেন্নাইয়ের হোমগ্রাউন্ড এম চিদাম্বরম (চিপক) স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচের আগে তিন ম্যাচ খেলে ফিজ নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। অন্যদিকে চেন্নাইয়ের বাইরে তার উইকেট সংখ্যা মাত্র ৩। তাই মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) লখনৌর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের ম্যাচে আবারও মোস্তাফিজের ভালো বোলিং দেখার আশা নিয়ে টিভির সামনে বসেছিলেন সবাই। তবে তাদের হতাশই করলেন ফিজ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আইপিএলের ৩৯তম ম্যাচে চিপকে লখনৌর মুখোমুখি হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের শতকে লখনৌকে ২১১ রানের টার্গেট দেয় চেন্নাই। বড় টার্গেট এবং ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিল চেন্নাই দল। তার ওপর ঘরের মাঠে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ফর্মও আশা যোগাচ্ছিল ধোনি-রাহানেদের। কিন্তু লখনৌর অজি ব্যাটার মার্কাস স্টায়নিসের তাণ্ডবে মোস্তাফিজ-পাথিরানারা পাত্তা পায়নি। বিশেষ করে মোস্তাফিজের বোলিং হতাশ করেছে সবাইকে। ফলে ২১১ রানের টার্গেটেও ৬ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয়েছে চেন্নাইয়ের।
বড় রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় লখনৌ। কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান দীপক চাহার। পঞ্চম ওভারে প্রথম বল করতে আসেন মোস্তাফিজ। সেই ওভারে প্রথম বলে চার রান দিলেও ওভারের বাকি বলগুলোতে দুর্দান্ত বোলিং করে আর কোনো রান দেননি। উপরি পাওনা হিসেবে লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেট পান তিনি। ৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লখনৌকে পথ দেখায় স্টয়নিস।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন স্টয়নিস। দেবদূত পাড়িকেলের স্লো ব্যাটিংয়ে অনেকটা পিছিয়ে গেলেও দলকে কখনো লড়াই থেকে ছিটকে যেতে দেননি অজি এই ব্যাটার। ১৯ বলে ১৩ রান করা পাড়িকেলকে ফেরান মাথিশা পাথিরানা।
তবে তাতে লাভই হয়েছে লখনৌয়ের। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বলে ৩৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। পাথিরানার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ব্যাটার।
শেষ ৩ ওভারে ৪৭ রান দরকার ছিল লখনৌয়ের। তখন ১৮তম ওভারে এসে ১৫ রান দেন মোস্তাফিজ। দীপক হুডা এবং স্টয়নিস মিলে পাথিরানার পরের ওভারে নেন ১৫ রান। শেষ ওভারে লখনৌর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ বলে ১৭ রান।
টি-টোয়েন্টির এই যুগে রানটা কঠিন না হলেও সহজ ছিল না। তবে কঠিন এই কাজটি সহজ করে দেন মোস্তাফিজ। প্রথম বলে ছক্কা এবং পরের দুই বলে খান দুটি চার। তিন নম্বর বলটি আবার হয়েছে নো বল। ফ্রি হিটে আবার ৪ মেরে লখনৌকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন স্টয়নিস।
এই হারে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে চেন্নাই। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে নেমেছে মোস্তাফিজের দল।
মন্তব্য করুন