প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর পাঁচ মিনিট-১০ মিনিটের ঝড়ে রীতিমতো উড়ে গেল বাংলাদেশ। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল।
এ নিয়ে ‘আই’ গ্রুপে দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে ১২ গোল হজম করল বাংলাদেশ! মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাতে কুয়েতে হার ৫-০ গোলে। তিন ম্যাচের আরেকটি লেবাননের সঙ্গে ড্র করেছে লাল-সবুজরা।
কুয়েত সিটির জাবেদ আল-আহমাদ স্টেডিয়াম কিক-অফের আগেই লাল-সবুজ রঙ ধারণ করেছিল। প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় পতাকা হাতে প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন। বাংলাদেশ... বাংলাদেশ... স্লোগানে কিক-অফের পর থেকে উজ্জীবিত ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারাও। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা বাংলাদেশই তৈরি করেছিল। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন, বক্সে ফাঁকায় ছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বাংলাদেশের নম্বর-টেন ঠিক জায়গায় ক্রস ফেলতে পারেননি। সুযোগ এসেছিল ২৭ মিনিটেও। রাকিব হোসেনের ক্রস ধরে অহেতুক তাড়াহুড়া করে সোহেল রানা বাইরে মারলে নষ্ট হয় এ সুযোগও। মাঝে ফিলিস্তিন আক্রমণ করলেও আস্থার সঙ্গেই প্রতিরোধ করে আসছিল বাংলাদেশ।
৪২ মিনিটে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল সে প্রতিরোধ। বেলজিয়ান শীর্ষ লিগের ক্লাব স্পোর্টিং চারলেরই-এ খেলা ওদায় দাবাঘের গোলে লিড নেয় ফিলিস্তিন। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ের প্রথম মিনিটে স্কোর-লাইন দ্বিগুণ করেন শেহাব কুম্বর। বিরতির পর চতুর্থ মিনিটে কুম্বরই স্কোর-লাইন ৩-০ করেন। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফিলিস্তিনের চতুর্থ গোল করেন দাবাঘ। ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা দাবাঘ স্কোর-লাইন ৫-০ করেছেন।
ম্যাচটা মুঠোয় ভরে নেওয়ার পর পাঁচ খেলোয়াড় বদল করে ফিরতি লেগের আগে নিয়মিত ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়ার পাশাপাশি বেঞ্চটাও ঝালিয়ে নিয়েছেন ফিলিস্তিনের তিউনিসিয়ান কোচ মাক্রাম দাব্বউব। ২৬ মার্চ ঢাকায় ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দেশ।
মন্তব্য করুন