ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আ.লীগ নেতা আটক 
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।  বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের কাটপোল এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটক শাখাওয়াত হোসেন উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, কাটাপোল গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনকে দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। তিনি নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন এবং আজ সাধারণ ভোটারের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, শাখাওয়াত হোসেনকে জীবননগর থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রার্থীদের হুমকি ধামকির অভিযোগ
লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অরুন পঞ্চায়েত বলেছেন, কি বুকের পাটারে ভাই, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে। এই নির্বাচন শুধু আওয়ামীলীগের নয়, সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নির্বাচন, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে ঘুঘু দেখেছেন ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এমন ভয়ভীতি আর কেন্দ্র ছাড়া করার হুমকি-ধামকি দেওয়ার মধ্য দিয়ে চলছে লালমোহন উপজেলার তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোলার লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতার হোসেনের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যে পথসভায় এমন হুংকার দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা আ. লীগের সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য শাওনের চাচাতো ভাই অরুন পঞ্চায়েত। তার এমন বক্তব্য ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রার্থী ও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা। ভোলা জেলা আ. লীগের সহসভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আখতারুজ্জামান টিটব নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এমন হুংকার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠে ক্ষমতার প্রয়োগ ও হুমকি ধামকির একটি ভিডিও ৪ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আখতারুজ্জামান টিটব বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাদ, নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহন মূলক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দলমত নির্বিশেষে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে প্রার্থীরা। অথচ এমপির চাচাতো ভাই অরুন পঞ্চায়েতের এমন বক্তব্যে লালমোহনে নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করবে। তাই সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।  অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগের জেলা সহসভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এমপির আত্মীয় স্বজন আ. লীগ সভানেত্রীর নির্দেশনাকে চেলেঞ্জ করেছেন। তিনি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীসহ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রভাবিত করে আমাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে ষড়যন্ত্র করছেন । এবং নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমি এ নির্বাচনে থাকবো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অরুন পঞ্চায়েতকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ কেননি। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কায়সার খসরু কালবেলাকে জানান, আমি ভিডিওর বক্তব্য দেখবো। এ ধরনের বক্তব্য আচরণ বিধি লঙ্ঘন। সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে।
০৭ মে, ২০২৪

কানাডার ওপর নিউটনের সূত্র প্রয়োগের হুমকি ভারতের
কানাডাকে দিল্লির জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাশাপাশি নিউটনের সূত্রের মতো প্রতিটি ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। রোববার সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ এজেন্সিকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের তিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করার এক দিন পর ভারতের পক্ষ থেকে এ ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো। জয়শঙ্কর বলেন, এ মুহূর্তে কানাডা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ আজ কানাডার ক্ষমতায় থাকা দল এবং অন্য দলগুলো এই ধরনের চরমপন্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সহিংসতার সমর্থকদের বাকস্বাধীনতার নামে একটি নির্দিষ্ট বৈধতা দিয়েছে। আপনি যখন তাদের কিছু বলেন, তাদের উত্তর হয়-না, আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এখানে বাকস্বাধীনতা আছে। তিনি বলেন, সেখানে (কানাডা) যা ঘটছে তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। নিউটনের সূত্র রাজনীতির জন্যও প্রযোজ্য হবে। তাদের এ বিষয়টা বুঝতে হবে যে, এটা আর এমন পৃথিবী নেই, যেটা একমুখী রাস্তার মতো চলে। সেখানে যদি কিছু ঘটতে থাকে, তাহলে এর প্রতিক্রিয়া হবে।
০৭ মে, ২০২৪

ছেলের ভোট না করায় ডিও লেটার বন্ধের হুমকি এমপিপত্নীর
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছেলে সাবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোট করায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ডিও লেটার বন্ধের হুমকি দিয়েছেন কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি। তিনি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী। গত রোববার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীকে তিনি এ হুমকি দেন। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে কামরুন নাহারকে বলতে শোনা যায়, ‘শুনেন, যে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেতারে (তাকে) জিজ্ঞেস করিয়েন, বোলে তুই আগে কি একরাম চৌধুরীর বাড়িত যাই চেহারা এমনের তুন (মাথা নিচু করে) ওপরে তুলতি না, বলতি ভাবি আঁরে বাঁচান। অনগা (এখন) হেই মহিউদ্দিন জোট বাইনছে। বান্দক, আজ্জা জোট বান্দি যদি জনগণের উন্নয়ন কইত্তে পারো, করো। কাঁচা রাস্তা দি আঁড়ি আইছি। তোর ডিও লেটারে তো আর এ রাস্তার উন্নয়ন অইতো নয়। তুই কোদ্দুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, তুই শুধু সিলিপ (স্লিপ) এক্কান দিতা হাইরবা, আর জনগণের চাইল ৩০ কেজির তুন হোনরো (১৫) কেজি কাড়ি রাইকতা হাইরবা। এসব ষড়যন্ত্র পাকানোকারীদের আপনারা চিহ্নিত করে রাখেন।’ এ বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম চৌধুরীর পক্ষে ভোট করছি। কখনো অন্যায় করিনি। কিছু ব্যক্তি নির্বাচন এলে মাফ চাইবে, নির্বাচিত হলে নিজেকে প্রভু মনে করবে। ঘৃণাভরে তাদের প্রত্যাখ্যান করায় আবোল-তাবোল বকছে। এর আগে ছেলে সাবাব চৌধুরীকে ভোট না দিলে এলাকায় উন্নয়ন না করার হুমকি দেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরীও। এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকায় কোনো উন্নয়নে হাত দেব না। সরাসরি কথা, গিভ অ্যান্ড টেক। আমাকে দেবেন, আমি আপনাদের দেব।’ সুবর্ণচরে প্রথম ধাপে আগামীকাল ভোট অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন একরামুল করিম চৌধুরী ও কামরুন নাহার শিউলির একমাত্র ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী (আনারস) এবং জেলা আওয়ামী লীগের তিনবারের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম চৌধুরী (দোয়াত কলম)।
০৭ মে, ২০২৪

ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করায় ডিও লেটার না দেওয়ার হুমকি এমপির স্ত্রীর
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ডিও লেটার না দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলি। তিনি কবির হাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।  রোববার (৫ মে) মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ হুমকি দেন। শিউলি একরামের এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে শিউলি একরাম বলেন, ‘শুনেন যে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেতারে (তাকে) জিজ্ঞেস করিয়েন, তুই আগে কি একরাম চৌধুরীর বাইত যায় চেহারা এমনের তুন উপরে তুলতি না, ভাবি আরে বাঁচান ভাবি আরে বাঁচান। অনকা (এখন) হেই মহিউদ্দিন চৌধুরী জোট বাইনছে, বানদো আইজ্জা জোট বান্দি যদি জনগণের উন্নয়ন করতে পার, কর। তোর ডিও লেটারে তো আর উন্নয়ন আঁডি আইতো নোই (হেঁটে আসবে না)। তুই কোদদুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তুই শুধু সিলিভ এক্কান দিতা হাইরবা, আর জনগণের চাইল ৩০ কেজির তুন হোনরো কেজি মারতে হাইরবা।’ এ বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি কখনো অন্যায় অপরাধ করিনি। কারো কাছে মাথা নামিয়ে কথাও বলি না। মাফও চাই না। কিছু ব্যক্তি নির্বাচন আসলে মাফ চাইবে, নির্বাচিত হলে নিজেকে খোদা মনে করবে। ঘৃণা করি মিথ্যাবাদি বেঈমানদের। ওনার পাশে (সাবাব চৌধুরী) দাঁড়ানো যারা তারা কী করে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন। চোর-ডাকাত, টাউট-বাটপার পাশে নিয়ে ৮ নং মোহম্মদপুর জনগণকে বোকা বানানো যাবে না। মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করেন। না হয় জনগণ মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে। আমি মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। জানা যায়, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মহিউদ্দিন চৌধুরী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর দোয়াত কলম মার্কার ভোট করছেন। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এক পথসভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
০৬ মে, ২০২৪

গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে মোতায়েন সেনাদের ওপর হামলার হুমকি
যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপকূলে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের ভাসমান বন্দর নির্মাণ করছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সেখানে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তায় ব্রিটিশ সেনাও মোতায়েন হতে পারে। এবার এসব সেনার ওপর হামলার হুমকি এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অস্থায়ী ওই বন্দর নির্মাণের পর সেখানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মার্কিন সেনাসদস্য। এর সঙ্গে যোগ দেবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এমন অবস্থায় এসব সেনারা যদি গাজার মাটিতে পা রাখে তাহলে তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে গাজার যোদ্ধারা। তবে এমন হুমকির মুখেই মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, হামাস গাজা উপত্যকায় মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে এমন কোনো ইঙ্গিত তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিয়েও অস্বীকৃতি জানান মার্কিন এ কর্মকর্তা। মার্কিন সেনাদের আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত না থাকলেও যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে বলে জানান অস্টিন। জানান, সেনাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে দেখা হবে। এ সময় বন্দরে নিয়োজিত সেনাদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা একসঙ্গে কাজ করে যাবে বলেও জানান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর আগে গাজায় সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। এ সময় গাজা উপত্যকায় ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করা হলে তাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন। পিএফএলপি এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা উপত্যকার ভূমি অথবা উপকূলজুড়ে ব্রিটেন কিংবা যে কোনো দেশকে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। গাজা উপত্যকায় ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা নেওয়ার কারণ হচ্ছে তাদের ঔপনিবেশবাদী চিন্তা-ভাবনা এবং দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা দেওয়া। সংগঠনটি জানায়, যেসব দেশ ফিলিস্তিনের জনগণকে সাহায্য করতে চায় তাদের প্রথমে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা থামানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে, অবরোধ ভাঙতে হবে এবং গাজার লোকজনের তত্ত্বাবধানে সমগ্র গাজা উপত্যকায় ত্রাণসামগ্রীর অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
০৫ মে, ২০২৪

কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি
নির্বাচনী এক সভায় প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীকে গাছে বেঁধে বিচার করার হুমকি ও জীবননাশের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মানববন্ধন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার (৪ মে) দুপুর ২টার দিকে রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি মাববন্ধনের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দিতে চাই, যে কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ অন্যায়ভাবে হুমকি দিলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব। আমরা নির্বাচন আচরণবিধির ওপর বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. আব্দুল কাদের, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমানসহ সব মুক্তিযোদ্ধা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত নির্বাচনি সভায় তিনি প্রতিপক্ষের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীকে উদ্দেশ করে এ হুমকি দেন। তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটের দিন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি রৌমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন। প্রথম ধাপের এ নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী রৌমারী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শালুর নির্বাচনি প্রতীক কাপ-পিরিচের পক্ষে কাজ করছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচনী সভায় এভাবে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনী সভায় এভাবে বক্তব্য দেওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
০৫ মে, ২০২৪

বনের গাছ কাটছেন কর্মকর্তারা, বাধা দিলেই মামলার হুমকি
মৌলভীবাজারের সাতগাঁও বন বিটের কোটি টাকা মূল্যের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর ধরে এ রকম গাছ চুরির ঘটনা ঘটছে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চলে। কেউ বাধা দিলে তাদেরকে মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।   সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার তীর ঘেষে অবস্থিত সাতগাঁও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রায় চল্লিশ হেক্টর উঁচু-নিচু টিলা আর পাহাড়ে ঘেরা এই বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ঔষধী গাছ। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় এসব গাছ রোপণ করা হয়েছে। সব গাছেই বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে নম্বর দেওয়া রয়েছে।  কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে এই বনের গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার কারণে পড়ে আছে শত শত কাটা গাছে গুঁড়ি ও ডালপালা। এসব গাছের মূল্য প্রায় কোটি টাকা। জানা যায়, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সামাজিক বনায়নের জন্য স্থানীয় উপকারভোগীদের নিয়ে এই বাগান গড়ে তোলা হয়। সাতগাঁও বন বিটের আওতায় এই বাগানে দ্রুত বর্ধনশীল আকাশমনি, বেলজিয়াম ও ক্রস গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু এসব গাছ বড় হতে না হতেই নজর পড়ে বন কর্তাদের। দিনে দুপুরে এসব গাছ কেটে নিয়ে যান বন বিভাগের বিট কর্মকর্তারাই, এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।  সাতগাওঁ বনবিটের এলাকায় বসবাস করা বাগানের উপকারভোগী শাহজাহান মিয়া বলেন, ২০০৭ সালে শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে আমরা এই বাগানের উপকারভোগী হই। এই গাছগুলো রোপণ করার পর এখন বড় হয়েছে। বিগত কিছুদিন আগে নিলাম হয়। নিলামের পর সাতগাঁও বিট অফিসার ও শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জার অবাধে গাছগুলো কেটে বিক্রি করছে। গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাধা দিলে তারা গাছ চুরির মামলা দেয়।  বনের পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের রুবেল মিয়া বলেন, আমি এখানে গরু রাখতে আসি। প্রায় সময়ই দেখি বনের কর্মকর্তারা গাছ কাটে। বড় বড় গাড়ি দিয়ে গাছ নিয়ে যায়। বাধা দিলে মামলা দিয়ে দেয়।  বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতগাঁও বন বিটের এই সামজিক বনায়নটি ১২ ফেব্রুয়ারি নিলামের টেন্ডার হয়। এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এই বাগানে মোট গাছের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৪৪টি। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে আকাশমনি, বেলজিয়াম ও ক্রস গাছ। ৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ২০০৫-৬ সালে এই বনায়ন করা হয়। স্থানীয় উপকারভোগী ৪০ জনকে নিয়ে এই বনায়ন গড়ে তোলা হয়।  এ বিষয়ে বন বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মজনু প্রাং. বলেন, বনের গাছ কাটা হলে এই দায় শুধু বিট অফিসারের নয়। এই দায় উপকারভোগীরাও এড়াতে পারেন না। চুক্তি অনুযায়ী তাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। আর মামলা দেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। বরং তাদের হাতেনাতে ধরেই মামলা দেওয়া হয়।
০৪ মে, ২০২৪

রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব ফেসবুকে এ অভিযোগ করে পোস্ট দেন। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুল ইসলাম ও শাহ মখদুম হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিঠু। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি পারিবারিক কারণে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তাকে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহীতে এলে তার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অভিযোগ অস্বীকার করে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অপূর্বকে কোনো ধরনের হুমকি দিইনি। তার সঙ্গে স্বাভাবিক কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টা একটু আগে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০৩ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতাকে হুমকি / ‘রাজশাহী এলে লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ্ মখদুম আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্বকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় হল ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার (১ মে) রাতে অপূর্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে এ হুমকির কথা জানান। ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুল ইসলাম ও শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিঠু। তারা দুজনই বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।  অপূর্ব ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, আমি খাঁটি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। শেষ ৩/৪ মাস কিছু কিছু কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত আছি। দীর্ঘ সময় রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলেও নোংরা রাজনীতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তার মাস্টার্সের দুটো বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে, আরও ৩টা বিষয়ের পরীক্ষা এখনো বাকি। পারিবারিক কারণে ঢাকায় এসেছি। পরীক্ষা শেষ হলে এমনিতেই হল ছেড়ে দিতাম। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই আমার কক্ষ দখল হয়ে গেছে। হত্যার হুমকির বিষয়ে তিনি লিখেছেন, আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি রাজশাহী পরীক্ষা দিতে এলে না কি আমার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিষয়টা দুঃখজনক। আমি বর্তমানে শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সভাপতি, তারপরও ছাত্রলীগ নেতাদের এমন আচরণ আশা করিনি। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করব আমি।  এ বিষয়ে তাজবিউল হাসান অপূর্ব কালবেলাকে বলেন, আমার মাস্টার্স শেষ হয়নি। আমি একটা কাজে বাড়িতে এসেছি। আসার আগে রুমের বাকিদের মজা করে বলেছি ভালো থাকিস তোরা। কিন্তু আজকে মিনহাজ এবং মিঠু আমার কক্ষে গিয়ে আমার রুমমেটকে আজকেই হল ছাড়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এটা জানার পর মিনহাজ ভাইকে কল দেই এবং বলি আমি তো এখনও হলের সভাপতির দায়িত্বে আছি। তা ছাড়া আমার মাস্টার্সও শেষ হয়নি। কিন্তু সে আমায় গালাগাল করতে করতে থাকে আর বলে তুই আজকেই হল থেকে বের হয়ে যাবি।  অভিযোগ অস্বীকার করে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অপূর্বকে কোনো ধরনের হুমকি দেইনি। তার সঙ্গে স্বাভাবিক কথা হয়েছে। কিন্তু তাকে কক্ষ থেকে নেমে দেওয়া বা মৃত্যুর হুমকি এমন কোনো কথা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু কালবেলাকে বলেন, বিষয়টা একটু আগে শুনেছি। ঘটনার বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা পেলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 
০২ মে, ২০২৪
X