নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছেলে সাবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোট করায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ডিও লেটার বন্ধের হুমকি দিয়েছেন কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি। তিনি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী। গত রোববার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠকে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীকে তিনি এ হুমকি দেন। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে কামরুন নাহারকে বলতে শোনা যায়, ‘শুনেন, যে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেতারে (তাকে) জিজ্ঞেস করিয়েন, বোলে তুই আগে কি একরাম চৌধুরীর বাড়িত যাই চেহারা এমনের তুন (মাথা নিচু করে) ওপরে তুলতি না, বলতি ভাবি আঁরে বাঁচান। অনগা (এখন) হেই মহিউদ্দিন জোট বাইনছে। বান্দক, আজ্জা জোট বান্দি যদি জনগণের উন্নয়ন কইত্তে পারো, করো। কাঁচা রাস্তা দি আঁড়ি আইছি। তোর ডিও লেটারে তো আর এ রাস্তার উন্নয়ন অইতো নয়। তুই কোদ্দুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, তুই শুধু সিলিপ (স্লিপ) এক্কান দিতা হাইরবা, আর জনগণের চাইল ৩০ কেজির তুন হোনরো (১৫) কেজি কাড়ি রাইকতা হাইরবা। এসব ষড়যন্ত্র পাকানোকারীদের আপনারা চিহ্নিত করে রাখেন।’
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম চৌধুরীর পক্ষে ভোট করছি। কখনো অন্যায় করিনি। কিছু ব্যক্তি নির্বাচন এলে মাফ চাইবে, নির্বাচিত হলে নিজেকে প্রভু মনে করবে। ঘৃণাভরে তাদের প্রত্যাখ্যান করায় আবোল-তাবোল বকছে।
এর আগে ছেলে সাবাব চৌধুরীকে ভোট না দিলে এলাকায় উন্নয়ন না করার হুমকি দেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরীও। এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকায় কোনো উন্নয়নে হাত দেব না। সরাসরি কথা, গিভ অ্যান্ড টেক। আমাকে দেবেন, আমি আপনাদের দেব।’
সুবর্ণচরে প্রথম ধাপে আগামীকাল ভোট অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন একরামুল করিম চৌধুরী ও কামরুন নাহার
শিউলির একমাত্র ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী (আনারস) এবং জেলা আওয়ামী লীগের তিনবারের সভাপতি
ও সুবর্ণচর উপজেলার
বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম চৌধুরী (দোয়াত কলম)।