কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে মোতায়েন সেনাদের ওপর হামলার হুমকি

গাজায় ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমের জন্য মার্কিন সেনারা নির্মাণ করছে অস্থায়ী বন্দর। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমের জন্য মার্কিন সেনারা নির্মাণ করছে অস্থায়ী বন্দর। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপকূলে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের ভাসমান বন্দর নির্মাণ করছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সেখানে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তায় ব্রিটিশ সেনাও মোতায়েন হতে পারে। এবার এসব সেনার ওপর হামলার হুমকি এসেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অস্থায়ী ওই বন্দর নির্মাণের পর সেখানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মার্কিন সেনাসদস্য। এর সঙ্গে যোগ দেবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এমন অবস্থায় এসব সেনারা যদি গাজার মাটিতে পা রাখে তাহলে তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে গাজার যোদ্ধারা।

তবে এমন হুমকির মুখেই মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, হামাস গাজা উপত্যকায় মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে এমন কোনো ইঙ্গিত তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিয়েও অস্বীকৃতি জানান মার্কিন এ কর্মকর্তা।

মার্কিন সেনাদের আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত না থাকলেও যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে বলে জানান অস্টিন। জানান, সেনাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে দেখা হবে। এ সময় বন্দরে নিয়োজিত সেনাদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা একসঙ্গে কাজ করে যাবে বলেও জানান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এর আগে গাজায় সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। এ সময় গাজা উপত্যকায় ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করা হলে তাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন।

পিএফএলপি এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা উপত্যকার ভূমি অথবা উপকূলজুড়ে ব্রিটেন কিংবা যে কোনো দেশকে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। গাজা উপত্যকায় ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা নেওয়ার কারণ হচ্ছে তাদের ঔপনিবেশবাদী চিন্তা-ভাবনা এবং দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা দেওয়া।

সংগঠনটি জানায়, যেসব দেশ ফিলিস্তিনের জনগণকে সাহায্য করতে চায় তাদের প্রথমে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা থামানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে, অবরোধ ভাঙতে হবে এবং গাজার লোকজনের তত্ত্বাবধানে সমগ্র গাজা উপত্যকায় ত্রাণসামগ্রীর অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : আমিনুল হক

ঢাকায় উদযাপিত হলো রাশিয়ান পতাকা দিবস

একাদশে ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থী পায়নি ৩৭৮ কলেজ

৫০ হাজারে শ্লীলতাহানির রফাদফা করলেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষক

কে বেশি টাকা দেয়, ফেসবুক নাকি ইউটিউব

অর্ধ বিলিয়ন জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে থানায় জিডি মহানগর বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের

চাকরির নামে প্রতারণা, আমেরিকা প্রবাসী আটক 

শর্ত না মানলে ধ্বংস হবে গাজা সিটি : ইসরায়েল

১০

নতুন করিডোর প্রকল্প শুরু করতে চায় চীন-পাকিস্তান

১১

থানা হাজতে যুবকের মৃত্যু, এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

১২

চবিতে নিলস-সিইউ পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা শনিবার

১৩

জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন হয়নি, কারণ জানাল পুলিশ

১৪

বাদশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি মেয়র শাহাদাতের 

১৫

ঘুমাতে যাওয়ার কত আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন

১৬

ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ছাত্রসমাজ রুখে দেবে : আ স ম রব

১৭

চমেকে ১০ চর্ম রোগ নিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ 

১৮

বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে : মাওলানা হালিম

১৯

আপনার শখের গাছের জন্য প্রাকৃতিক টনিক

২০
X