নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ডিও লেটার না দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলি। তিনি কবির হাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
রোববার (৫ মে) মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ হুমকি দেন। শিউলি একরামের এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে শিউলি একরাম বলেন, ‘শুনেন যে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেতারে (তাকে) জিজ্ঞেস করিয়েন, তুই আগে কি একরাম চৌধুরীর বাইত যায় চেহারা এমনের তুন উপরে তুলতি না, ভাবি আরে বাঁচান ভাবি আরে বাঁচান। অনকা (এখন) হেই মহিউদ্দিন চৌধুরী জোট বাইনছে, বানদো আইজ্জা জোট বান্দি যদি জনগণের উন্নয়ন করতে পার, কর। তোর ডিও লেটারে তো আর উন্নয়ন আঁডি আইতো নোই (হেঁটে আসবে না)। তুই কোদদুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তুই শুধু সিলিভ এক্কান দিতা হাইরবা, আর জনগণের চাইল ৩০ কেজির তুন হোনরো কেজি মারতে হাইরবা।’
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি কখনো অন্যায় অপরাধ করিনি। কারো কাছে মাথা নামিয়ে কথাও বলি না। মাফও চাই না। কিছু ব্যক্তি নির্বাচন আসলে মাফ চাইবে, নির্বাচিত হলে নিজেকে খোদা মনে করবে। ঘৃণা করি মিথ্যাবাদি বেঈমানদের। ওনার পাশে (সাবাব চৌধুরী) দাঁড়ানো যারা তারা কী করে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন। চোর-ডাকাত, টাউট-বাটপার পাশে নিয়ে ৮ নং মোহম্মদপুর জনগণকে বোকা বানানো যাবে না। মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করেন। না হয় জনগণ মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে। আমি মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার।
জানা যায়, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মহিউদ্দিন চৌধুরী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর দোয়াত কলম মার্কার ভোট করছেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এক পথসভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
মন্তব্য করুন