কাতারের রাজধানী দোহাতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দোহা। ইসরায়েলি একটি সূত্র জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয, কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গাজার জন্য সর্বশেষ মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে জড়ো হয়েছিলেন। ওই সময় শহরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, কাটারা জেলায় ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তারা কাতারের নাম উল্লেখ করেনি। আইডিএফ বলেছে, ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এ হামলার জন্য দায়ী, এমন বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার ওপর বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বৈঠকটিতে হামাসের অন্যতম প্রধান নেতা খালেদ মাশাল উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জর্ডানে একবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি আন্দোলনের আলোচক প্রতিনিধি দলকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মূল মধ্যস্থতাকারী কাতারে ইসরায়েলের এটিই প্রথম আক্রমণ।
দখলদার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক শাখার কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে আবাসিক ভবনে চালানো হয়েছে। এ ধরনের অপরাধমূলক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাতার নিশ্চিত করে যে, তারা ইসরায়েলের এই বেপরোয়া আচরণ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার সাথে তাদের অব্যাহত হস্তক্ষেপ ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে কোন ধরনের পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না। এ হামলার সর্বোচ্চ স্তরে তদন্ত চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলেই তা জানানো হবে।
মন্তব্য করুন