বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাটির নিচের গোলকধাঁধায় বেতাল ইসরায়েলি সেনারা 

ছবি: ‍সংগৃহীত
ছবি: ‍সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার পর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বর্তমানে গাজার ভূগর্ভে হামাসের বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার দিকে নজর দিয়েছে বাহিনীটি। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলের সেনারা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে সেগুলো ধ্বংস করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। কারণ হামাসের এসব টানেল মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরো গাজা অঞ্চলজুড়ে। গোলকধাঁধার মতো এসব টানেলে একবার প্রবেশ করলে পথ চিনে বের হওয়াটা একরকম অসম্ভবই বটে। ফলে হামাস সদস্যদের ওপর আক্রমণ করতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

তেলআবিব বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাসপাতাল, গির্জা, স্কুলের মতো মানবিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে বেছে নিয়েছে হামাস। এসব স্থাপনার নিচেই নিজেদের টানেল ব্যবস্থাপনার হেডকোয়ার্টার তৈরি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি। দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে হলে হাসপাতাল, গির্জা কিংবা স্কুলে নিয়মিত অভিযান চালাবে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। আর এই অভিযান শেষ করতে লেগে যেতে পারে এক মাসেরও বেশি সময়।

২০০৭ সালে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গত দেড় দশকে উপত্যকাটির মাটির নিচে সুদীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে হামাস। গাজার সীমানা ছাড়িয়ে এসব সুড়ঙ্গ পৌঁছে গেছে ইসরায়েলের সীমান্ত পর্যন্ত। এসব সুড়ঙ্গ পথ দিয়েই হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেয় অস্ত্র চোরাকারবারীরা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ছোট একটি অংশই কেবল ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরায়েল।

গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ককে ‘গাজা মেট্রো’ নাম দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে প্রকাশ্যে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সুড়ঙ্গগুলো চলাফেরা করার মতো যথেষ্ট প্রশস্ত। এর ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখার জন্য গোপন নানা স্থান। এগুলোর ভেতরে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করা কিংবা টিকে থাকার ব্যবস্থা। হামাস নেতারা এসব সুড়ঙ্গের ভেতরেই অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা ও নেতৃত্ব দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১০

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১১

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১২

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৩

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৪

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৫

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৬

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৭

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৮

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৯

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

২০
X