বগুড়ায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে খালা ও ভাগ্নিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির এক সপ্তাহ পর পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৩ জুলাই রাত সোয়া ৮টার দিকে কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামের বড়পুকুর ব্রিজ এলাকায় গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো কাহালু উপজেলার কুশলিহার পূর্বপাড়ার আবুল কাশেম মানিক (৩৫) ও হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫), বাগইল দক্ষিণপাড়ার রাকিব হাসান (২৩), উত্তরপাড়ার শাকিল হোসেন (২৩) ও আতিক রহমান প্রান্ত (২২)। গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে ক্লিনার হিসেবে কর্মরত এক নারী স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে গত ১২ জুলাই রংপুরে আত্মীয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তিনি তার বোনের মেয়ে (ভাগ্নি) ও রব্বানী নামের এক সহকর্মীকে সঙ্গে নেন। রাত ২টার দিকে তাদের বহনকারী বাসটি বগুড়ায় পৌঁছার পর বিকল হয়ে যায়। এ সময় তারা রব্বানীর পূর্ব পরিচিত বন্ধু কাহালু উপজেলার কুশলিহার গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে যান। সেখানে রাত যাপনের পরদিন (১৩ জুলাই) সন্ধ্যার পর রাজ্জাকের ভ্যানযোগে রংপুরের বাসে ওঠার জন্য বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে বাগইল গ্রামের বড়পুকুর সেতুর কাছে তাদের ভ্যানটি পৌঁছলে অন্তত ১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে ভ্যানচালক রাজ্জাক ও যাত্রী রব্বানীকে মারধর করে ভ্যান যাত্রীদের কাছ থেকে ৭২ হাজার টাকা, কানের দুল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর খালা ও ভাগ্নিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাদের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বগুড়া শহরের সাতমাথায় এনে নারায়ণগঞ্জগামী একটি বাসে তুলে দেয়।
মন্তব্য করুন