প্রতিবেশী ভারত সরকার বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের আস্থা ও শক্তির ওপর আস্থা রাখি। ভারত দেখবে বাংলাদেশের মানুষ কী চায়? বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি তারা (ভারত) কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেটি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
সেটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য এবং এ অঞ্চলের মানুষের জন্যও শুভ হবে না। গতকাল শনিবার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ভারতের কূটনৈতিক বার্তা’র বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনটির সভাপতি এসএম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, নাজমুল হাসানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে গতকাল সকালে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পত্রিকায় দেখলাম, এটি সত্য হয়ে থাকলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের প্রত্যাশা, ভারত বাংলাদেশের মানুষের যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেবে। এ দেশে সত্যিকার অর্থেই সব দলের অংশগ্রহণে, সবার সদিচ্ছায় একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে তারা পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করবে। এ কথাটা আমরা কখনোই বলতাম না, বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমরা দেখতে পারছি—যদি নিউজটা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে বাংলাদেশে রাজনীতির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তারা হস্তক্ষেপ করছে।
মৌলবাদীদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব স্পষ্টভাষায় বলছি—বাংলাদেশের কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে, কখনোই কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বরং তাদের যে শক্তি, সেই শক্তি ক্ষীয়মাণ হয়ে এসেছে।
একদফার লড়াইয়ে জনগণ জয়ী হবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে এবং এখন বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে তারা একটা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে; কিন্তু দেশের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দল আজ এক হয়েছে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য। এ একদফার লড়াইয়ে নিশ্চয় জনগণ জয়ী হবে।
মন্তব্য করুন