দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও এমপিদের শপথ গ্রহণ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল নতুন সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা। কারা হচ্ছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ ছিল না। কে কে মন্ত্রিসভার সদস্য হচ্ছেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসে নানা তথ্য। কোনো কোনো নেতাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতেও দেখা গেছে। তবে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর একদিকে যেমন আনন্দ-উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় মুষড়ে পড়েন মন্ত্রিত্ববঞ্চিত এলাকার নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। মন্ত্রিত্ব না পেয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছে অনেক অঞ্চলের মানুষ।
৭ জানুয়ারি ভোটের পর ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। পরদিন ১১ জানুয়ারি শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এতে ঢাকা, ফরিদপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের প্রাধান্য দেখা যায়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৫ মন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জনকে নেওয়া হয়েছে এই তিন বৃহত্তর জেলা থেকে। ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে আছেন ঢাকা ও গাজীপুরের চার সংসদ সদস্য। বিদায়ী সরকারে গুরুত্ব পাওয়া সিলেট অঞ্চল এবার মন্ত্রী পেয়েছে বেশ কম। বৃহত্তর বরিশাল কোনো পূর্ণ মন্ত্রী পায়নি। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগও তুলনামূলক কম গুরুত্ব পেয়েছে। বিভাগওয়ারি হিসাব করলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগই মন্ত্রী পেয়েছে বেশি। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন পূর্ণ মন্ত্রীর পাশাপাশি রয়েছেন দুজন প্রতিমন্ত্রী। এর বাইরে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ দুটি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ একটি করে মোট ১০টি পূর্ণ মন্ত্রী পেয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে বৃহত্তর কুমিল্লায় চারটি, নোয়াখালীতে একটি এবং চট্টগ্রাম জেলায় দুটিসহ মন্ত্রিত্ব মিলেছে সাতটি। এর বাইরে রংপুর, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ দুটি করে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে। একটিও পায়নি বরিশাল বিভাগ। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও ঢাকা বিভাগের প্রাধান্য বেশি। ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরে আছেন দুজন এবং টাঙ্গাইলে একজন মিলে ঢাকা বিভাগেরই আছেন ৫ জন। বাকি ছয়জনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর ও নাটোর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বরিশাল ও পটুয়াখালীতে একজন করে এবং সিলেট ও খাগড়াছড়িতে আছেন একজন করে। এবার মন্ত্রী পায়নি রংপুর অঞ্চল, বৃহত্তর বগুড়া, বৃহত্তর যশোর ও ঝিনাইদহ।
২০১৪ ও ২০১৮ সালে রাজশাহী থেকে শাহরিয়ার আলম দুই দফায় প্রতিমন্ত্রী হলেও এবার বাদ পড়েছেন। রাজশাহীর ছয় আসনের মধ্যে ৫টিতে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বগুড়ার সাত আসনের মধ্যে ৫টিতে নৌকা জিতলেও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি কারও। দিনাজপুর ও নওগাঁ থেকে একজন করে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন এবার। যদিও তারা আগেও বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া নাটোর থেকে একজনকে করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী। গতবার পঞ্চগড় থেকে নূরুল ইসলাম সুজন রেলমন্ত্রী এবং রংপুর থেকে টিপু মুনশি বাণিজ্যমন্ত্রী হলেও এবার দুজনই বাদ পড়েছেন। বৃহত্তর রংপুর থেকে দুজন পূর্ণ মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বৃহত্তর পাবনা জেলা থেকেও কেউ ডাক পাননি। ২০১৪ সালে পাবনার শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সিরাজগঞ্জ থেকেও কেউ ডাক পাননি। যদিও ২০০৮ সালে জেলাটি থেকে একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছিল।
গেল সরকারের আমলে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় দুজন পূর্ণমন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠন করা নতুন সরকারে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি রংপুরের পাঁচ জেলার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের। এই অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় জায়গা না থাকায় দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষুব্ধ। পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন কালবেলাকে বলেন, টিপু মুনশি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ায় আমরা খুবই মর্মাহত। তিনি পাঁচ বছর বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেত। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপক মোরশেদ হোসেন বলেন, এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রী প্রয়োজন। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের জন্য। কিন্তু এবার কেউ নেই। জানি না সরকারের কী সিদ্ধান্ত আছে। তবে বাজেটে এই অঞ্চলে অধিক বরাদ্দ আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
আওয়ামী লীগ ২০০৮ সাল থেকে টানা চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসলেও বৃহত্তর বগুড়ায় কোনো মন্ত্রিত্ব পায়নি। বরাবরের মতো এবারও বঞ্চিত হলো বগুড়ার মানুষ। মন্ত্রী না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অভিমান ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, এমনিতেই রাজনৈতিক রোষানলের শিকার বগুড়া জেলা। বড় কোনো অর্জন নেই। তারপর মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব না থাকায় আগামী দিনের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, একসময় বগুড়াকে বলা হতে বিএনপির ঘাঁটি; কিন্তু ধীরে ধীরে সে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকছে, যার কারণে নির্বাচনে আসন বাড়ছে; কিন্তু তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক বলেন, বগুড়ায় যোগ্য সংসদ সদস্য থাকলেও তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। মন্ত্রিসভায় আমাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় দলমত নির্বিশেষে বগুড়ার সব মানুষ কষ্ট পেয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম মাস্টার বলেন, বগুড়ার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে মন্ত্রিসভায় বগুড়ার একজন প্রতিনিধি রাখা প্রয়োজন। তাতে দলের ভাবমূর্তি বাড়ত ও এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত হতো। একই কথা বলেছেন সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) সাধারণ সম্পাদক কে জি এম ফারুক। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন ঝুনু বলেন, বগুড়ার নির্বাচিত অনেক সংসদ সদস্যই যোগ্য ছিলেন; কিন্তু কাউকে মন্ত্রী করা হয়নি, যা খুব বেদনাদায়ক।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় সরকারের মন্ত্রিসভায় বরাবরই এগিয়ে থাকে বৃহত্তর যশোরাঞ্চল (যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইল)। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন টানা তিনটি সরকারে মন্ত্রিসভাতেও স্থান মিলেছিল যশোরাঞ্চলের সংসদ সদস্যদের। তবে চতুর্থবার সরকার গঠনের পর চারটি জেলার কোনো প্রতিনিধিত্ব মন্ত্রিসভায় নেই। এতে এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে যশোর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের স্ত্রী ইসমাত আরা সাদেককে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবং মাগুরা-২ আসন থেকে নির্বাচিত বীরেন শিকদারকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যশোর-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্যকে করা হয় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী; কিন্তু এবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ বৃহত্তর যশোরের চারটি জেলায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ কোনো ধরনের প্রতিনিধিত্ব নেই মন্ত্রিসভায়।
এ প্রসঙ্গে যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান বুলু বলেন, যশোর সবসময়ই বঞ্চিত। এবার বৃহত্তর যশোরের চারটি জেলা মন্ত্রীশূন্য। আওয়ামী লীগ প্রতিবারই যশোর থেকে বেশিরভাগ সংসদ সদস্য পায়। সে বিবেচনায় এ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রাখা প্রয়োজন। সচেতন নাগরিক কমিটি যশোরের সভাপতি শাহীন ইকবাল বলেন, আমাদের যশোর অঞ্চল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা মনে করি, সরকার বিষয়টির দিকে সুদৃষ্টি দেবে।
জনউদ্যোগ যশোরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমেদ বলেন, যশোর থেকে আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবকটি আসন পেয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের অনেক দাবি এখনো পূরণ হয়নি। আমরা একজন পূর্ণ মন্ত্রী চাই, যিনি এ অঞ্চলকে গড়ে তুলবেন।
গত ৪টি সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করার পরও মন্ত্রিসভায় কারও ঠাঁই না হওয়ায় জেলাবাসী হতাশ। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব সালাহ্ উদ্দীন মিয়াজী একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তার বাবা মঈন উদ্দীন মিয়াজীও এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। সে বিবেচনায় আমরা ঝিনাইদহবাসী তার মন্ত্রিত্ব পাওয়ার অন্যতম দাবিদার। সমাজকর্মী কামারুজ্জামান পিন্টু বলেন, ঝিনাইদহ থেকে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সবাই মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন; কিন্তু এক দশকেও গুরুত্বপূর্ণ এ জেলা থেকে কেউ মন্ত্রী হননি।
খুলনা বিভাগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় চারজন করে থাকলেও এবার স্থান পেয়েছেন দুজন। তারা হলেন খুলনা-৫ থেকে নির্বাচিত নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও মেহেরপুর-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন ফরহাদ হোসেন। তবে বাদ পড়েছেন বাগেরহাটের হাবিবুন নাহার, খুলনার বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও যশোরের স্বপন ভট্টাচার্য্য।
বরিশাল বিভাগে ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় তিন পূর্ণমন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন ছিলেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভার শুরুতে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব হতাশার হলেও শেষদিকে সম্প্রসারিত পরিষদে আলোকিত হয়েছিল। তবে এবার বিভাগ একজন পূর্ণ মন্ত্রী না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এবার দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছেন বরিশাল-৫ আসনের জাহিদ ফারুক ও পটুয়াখালী-৪ আসনের মুহিবুর রহমান। জাহিদ ফারুক বিগত সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মুহিবুর রহমান প্রথম জায়গা পেলেন।
সিলেট বিভাগ এক প্রতিমন্ত্রী ও দুজন মন্ত্রী পেয়েছে এবার। মৌলভীবাজার-৪ থেকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। আর সিলেটের বিশ্বনাথের সন্তান চিকিৎসক সামন্তলাল সেন টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হয়েছেন। সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত শফিকুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। বিপরীতে ঠাঁই হয়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের। এ ছাড়া নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
ময়মনসিংহ-৯ থেকে নবনির্বাচিত এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে পদোন্নতি দিয়ে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে। ২০১৯ সালের সংসদে টেকনোক্র্যাট কোটায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নেত্রকোণার মোস্তাফা জব্বার। এবার তিনি বাদ পড়েছেন।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন রংপুর থেকে রফিকুল ইসলাম, যশোর থেকে উত্তম ঘোষ, ঝিনাইদহ থেকে মাহমুদ হাসান টিপু, বগুড়া থেকে প্রদীপ মোহন্ত ও জয়পুরহাট থেকে আছাদুল ইসলাম।