ফাহমিদা ফাতিমা
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রোজায় নারীদের জরুরি মাসআলা

রোজায় নারীদের জরুরি মাসআলা

রোজা পুরুষের জন্য যেমন ফরজ, তেমনি নারীর জন্যও ফরজ। হাদিসে এসেছে, ‘যদি কোনো নারী ঠিকমতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা রাখে, পর্দার সঙ্গে নিজ ইজ্জত হেফাজতে রাখে, স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে সেই নারীর জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতের আটটি দরজাই খোলা রাখবেন, ওই নারী যে দরজা দিয়ে খুশি, সেই দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন।’ (তিরমিজি)। রমজানে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ইবাদতের বসন্তকালে নারীদের নিবেদিত মনোভাবের কারণেই সম্ভব হয় রোজাকে যথাযথ পালন করা। নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি ঘরের ব্যবস্থাপনা, রান্নাবান্না, সন্তানের যত্ন, কর্মস্থলের দায়িত্ব—সব মিলিয়ে নারীর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রমের মাস রমজান। তবে নারীদের বিষয়টি পুরুষদের মতো নয়। কিছু বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়, যা জেনে রাখা খুবই জরুরি।

অন্তঃসত্ত্বা নারীর রোজা: অন্তঃসত্ত্বা নারীকে যদি কোনো মুসলমান অভিজ্ঞ ডাক্তার বলেন, রোজা রাখলে তার নিজের বা গর্ভের বাচ্চার প্রাণনাশের বা মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাহলে সেই নারী রোজা নাও রাখতে পারেন। পরে শুধু কাজা করে নিলেই হবে। (হেদায়া: ১/২২২)

স্তন্যদানকারিণীর রোজা: স্তন্যদানকারিণীর রোজার বিষয়টিও অনেকটাই অন্তঃসত্ত্বার রোজার মতো। অর্থাৎ স্তন্যদানকারিণী নিজে রোজা রাখলে যদি দুগ্ধপোষ্য শিশুর প্রাণনাশ বা অন্য কোনো মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, তাহলে তিনি রোজা নাও রাখতে পারেন। তবে পরে কাজা করে নিতে হবে।

ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ করে রোজা: নারীদের পিরিয়ড হওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আল্লাহতায়ালা তাদের এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। এতে তাদের কোনো দোষত্রুটি নেই। পিরিয়ড অবস্থায় নামাজ মাফ। আর রোজা পিরিয়ড অবস্থায় রাখা নিষেধ। তবে এ রোজা না রাখায় তাদের কোনো গুনাহ নেই। তবে পরে তা কাজা করতে হয়। এজন্য রমজান মাসে পিরিয়ড হলে তা নিয়ে মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তবে কেউ যদি পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগেই ওষুধ খেয়ে তা বন্ধ রেখে রোজা রাখেন তবে সে রোজা সহিহ হয়ে যাবে। ফলে তা আর পরে কাজা করতে হবে না। (ফাতওয়া শামি: ১/৫০৮; ফাতহুল কাদির: ১/১৪৫)

লিপস্টিক বা লিপজেল: রোজা অবস্থায় নারীরা লিপস্টিক বা লিপজেল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন মুখে চলে না যায়। যদি মুখে চলে যায় তবে রোজা মাকরুহ হবে। গলায় স্বাদ অনুভব হলে রোজা ভেঙে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া: ৩/৩৯৮)

তরকারির লবণ চাখা: নারীরা রান্না করার সময় তরকারির লবণ ও বিভিন্ন অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য জিহ্বার মাধ্যমে তরকারির স্বাদ নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (আল ফিকুল মুয়াসসার, বেহেশতি জেওর)

লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষিকা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধামরাই ওসির মানবিক উদ্যোগ

অঙ্কুশকে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ল নারী ভক্তরা

পড়ে আছে খোলা বই, প্রথম শ্রেণির ছাত্রকে নিয়ে গেল চিতাবাঘ

বেনজেমাদের হারিয়ে শীর্ষে রোনালদোর আল নাসর

মাথা কি ঢেকে ঘুমান, জেনে নিন ঠিক কি না

চামচ-ব্রাশ খাওয়ার নেশায় আসক্ত যুবক

ভারত / নারীকে যে মেসেজ পাঠিয়ে সাসপেন্ড হলেন কনস্টেবল

এবি পার্টি ছাড়লেন সোলায়মান চৌধুরী

ফাইনালের আগে দুঃসংবাদটি আইসিসি থেকেই পেল ভারত

রাজধানীতে ব্যাংক কর্মকর্তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

১০

খাগড়াছড়িতে চলছে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ

১১

ও যা বলবে,আমি তাই করব: আমিশা প্যাটেল

১২

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৩

ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

১৪

ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূস ও তার মেয়ের ছবি প্রকাশ

১৫

প্রতিদিন সকালে ভেজানো কিশমিশ খেলে মিলবে যেসব দারুণ উপকার

১৬

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে নয়ছয়

১৭

মিসরের প্রস্তাব কেন ফিরিয়ে দিলেন আরব নেতারা

১৮

আদালতের পথেই হাঁটবেন শিল্পা শেঠি

১৯

ঢাকার বায়ুমানের কী পরিস্থিতি

২০
X