

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রংপুর নগরীতে ‘সর্বাত্মক’ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় নগরীর শহীদ ওসমান হাদি চত্বরে (ডিসি মোড়) অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘হাদি মানে আজাদি, হাদি মানে ইনসাফ’, ‘এক হাদির রক্ত থেকে, লক্ষ হাদি জন্ম নেবে’, ‘তুমি কে আমি কে হাদি হাদি’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আপোষ না হাদি, হাদি’, ‘আওয়ামী লীগের চামড়া, তুলে নেব আমরা’ ও ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’সহ নানা স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চের রংপুর মহানগর ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জাতীয় ছাত্রশক্তি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং নানা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিকেল চারটার দিকে কর্মসূচি শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা আন্দোলনকারীরা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন সংগঠককে গুলি করে হত্যার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের বক্তব্যে আশানুরূপ কিছু পাওয়া যাচ্ছে না।
তারা দ্রুত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, শহীদ হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত না হলে রাজপথে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জাহিদ হাসান জয় বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে, যারা বা যে গোষ্ঠী হাদি ভাইয়ের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে। ইনকিলাব মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচি অনুযায়ী রংপুরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলার দুই আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়েছেন। তাদের পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে ভারতীয় দুই নাগরিক পূর্তি ও সামীকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় পুলিশ।
মন্তব্য করুন