মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ০৭:৪৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হানি-মানি ট্র্যাপ-টোপে রাজনীতি

হানি-মানি ট্র্যাপ-টোপে রাজনীতি

সত্য-মিথ্যা পরে, তা বহু পরের বিষয়। ততক্ষণে ঢের বদনামের শিকার হয়ে যাচ্ছেন রাজনীতির অনেকে। নমুনা বলছে সামনে আরও হবেন, হতেই থাকবেন। আয়োজন বেশ পাকাপোক্ত। কনটেন্ট তৈরির মালসামানা প্রস্তুত। এআই দিয়ে ক্যারেক্টার তৈরির কারিগররা যারপরনাই কর্মতৎপর।

চাঁদাবাজি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার, সাংগঠনিক শক্তিতে আলোচিত, গুরু দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে নানা দুষ্কর্মের তথ্য ঘুরছে বাজারে। এসবের মধ্যে অর্থনৈতিকসহ নানা অনৈতিক খবর। সোশ্যাল মিডিয়া মাড়িয়ে এসবের কোনো কোনোটি মূলধারার গণমাধ্যমেও উঠে আসছে। কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন। কেউ কেউ গায়ে মাখছেন না। বলছেন, এসবে কিছু যায়-আসে না। পারলে নিজে পাল্টা কিছু একটা বানিয়ে-ছড়িয়ে শোধ নিচ্ছেন। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধেও কম নয়। অসহায় কোনো নারী বা শিশুকে বলাৎকারের তথ্যও বাদ যাচ্ছে না। একটির সত্য-মিথ্যা নির্ণয়ের আগেই আরেকটি। চব্বিশের আগস্ট বিপ্লবের ফ্রন্টলাইনারদের অবস্থা আরেকটু বেশি বেগতিক।

কানাঘুষা চলছিল, কেবল তুষার বা তাসনুভা নয়, তাদের সংগঠন এনসিপির বাদবাকি আরও কয়েক নেতা-নেত্রীর অডিও-ভিডিও বা চ্যাটিং মেলানো কাহিনি আসার অপেক্ষা। শিক্ষার্থীদের দলটি হারিয়ে যাবে, না কারও নিয়ন্ত্রণে বা অধীন হয়ে টিকে থাকবে; সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের টর্চার সেলের তথ্য-ফুটেজও ঘুরছে। এমন কদর্যতার মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মতো এত বড় রাজনৈতিক দলের নেতা তারেক রহমানের শ্রদ্ধা-সম্মান দেখানোর ধারা যেন তলিয়ে দিতেই হবে। এর চেয়ে কোনো দলের কোনো নেতার চরিত্র, ফোনালাপ, সম্ভব হলে তার স্ত্রী-সন্তানের চরিত্র হননের প্রবণতা বাতিকে রূপ নিচ্ছে। তা এসব খবরের দর্শক-শ্রোতা বেশি বলেই? না খবরের আকাল মনে করে? নাকি মানুষের চাহিদাদৃষ্টে জোগান দিতে?

হানি ট্র্যাপ (যৌনফাঁদ)-মানি ট্র্যাপ (অর্থফাঁদ) নিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বাজে বার্তা দিচ্ছে। হানি ট্র্যাপ শব্দটি শুনলে আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তি, ব্ল্যাকমেইল, কেলেঙ্কারি আর ধ্বংসের ক্যারিয়ারের কথা চলে আসে। পশ্চিমা দুনিয়ায় বহু আগে থেকেই এ শব্দ রাজনীতির পটভূমিতে পরিচিত। হালে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এটি একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে ভর করেছে। রাজনীতিতে নৈতিকতা আর প্রযুক্তিনির্ভর ব্ল্যাকমেইলের এ ছায়াযুদ্ধ গেল আমলে মাঝেমধ্যে সামনে এসেছে। আওয়ামী লীগ জমানার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদসহ কয়েকজনের অডিও-ভিডিও ফাঁসের ঘটনা স্মরণে আছে অনেকের। সাম্প্রতিক নমুনা ভয়াবহ। দেশের রাজনীতি যেন এখন শুধু জনসম্পৃক্ততা বা নীতিনির্ভর নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নয়। ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তাও এক ধরনের রাজনৈতিক মুদ্রা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ধারাবাহিকতা শুধু বিচ্ছিন্ন নয়, বরং এটি এক ধরনের ‘হানি ট্র্যাপ’ রাজনীতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে প্রেম বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ছদ্মবেশে কাউকে ফাঁদে ফেলে, তার দুর্বল মুহূর্ত ধারণ করে রাখা হয় এবং পরে তা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কে কাকে ট্র্যাপে ফেলে বা এ নিয়ে তৃতীয়-চতুর্থ ইন্টারেস্টেড গ্রুপের কারবার শেষতক অজানাই থেকে যায়। ততক্ষণে আক্রান্ত বা শিকারদের যা হওয়ার হয়ে যায়। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় সংগঠনটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবীনকে জড়িয়ে তোলপাড়ের মধ্যে জাবীন শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, তুষারের সঙ্গে ফোনের অন্যপ্রান্তে থাকা নারী তিনি নন। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী সেই নারী ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে নিজেই খোলাসা করেছেন বিষয়টি। নীলা ইস্রাফিল নামের ওই নারী নিজেকে একজন জুলাইযোদ্ধা এবং এনসিপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াত উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের সাবেক পুত্রবধূ। নীলা ইস্রাফিলের অভিযোগ, তুষার বিভিন্ন সময়ে তাকে শুধু ‘আপত্তিকর কথা’ এবং ‘খারাপ প্রস্তাব’ই দেননি, এনসিপি থেকে দূরে সরানোরও চেষ্টা করেন।

কয়েক দিন ধরে এ ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় তুঙ্গে। বেশিরভাগ নেটিজেন ঘটনার সঙ্গে ওই নারী চট্টগ্রামের মেয়ে ডা. তাসনুভা জাবীন ধারণা করছেন। কে কার পুত্র, কে বধূ, কে ঢাকার আর চট্টগ্রামের—তা এখন আর বিষয় নয়। তুষারকাণ্ডে তাসনুভা জাবীনকে জড়িয়ে চলমান প্রচারণায় এনসিপির সর্বনাশ যদ্দূর হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের অবস্থা আর নেই। এতে দলটিতে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে অধিক হারে নারীদের অংশগ্রহণ আপাতত রুখে গেছে। বাকিটা ভবিষ্যৎ। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা গৌরবগাথা ইতিহাস রচনা করেছে। জাতির এ সূর্যসন্তানরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এনসিপি গড়েছে। এখন শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-নিয়োগবাণিজ্য, হাসিনার অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগই নয়; নোংরা-কদাকার নানা অভিযোগও।

মাত্রাগতভাবে কম হলেও টানা ১৫-১৬ বছর চরম নির্যাতন-নিপীড়নে ভোগা বিএনপি-জামায়াত নেতাদেরও কি অভিযোগ থেকে রক্ষা মিলছে? সচরাচর এ ধরনের ট্র্যাপের বেশি শিকার বা ঘটনায় পড়ে ক্ষমতাসীনরা। এবারের চিত্রটি ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউইনস্কির ঘটনা একদা গোটা পৃথিবীকে কাঁপিয়েছিল। সাহিত্যে ‘হানি ট্র্যাপ’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৭৪ সালে বের হওয়া ‘টিঙ্কার, টেইলর, সোলজার, স্পাই’ নামে এক গোয়েন্দা উপন্যাসে। ব্রিটিশ-আইরিশ লেখক জন লে ক্যারের এই উপন্যাসে শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল বলে বিভিন্ন লেখাপত্রে পাওয়া যায়। হানি ট্র্যাপ একধরনের অপকৌশল। বাংলা অনুবাদে ‘ভালোবাসার ফাঁদ’। আরও সহজ কথায়, যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে বিপক্ষ শিবির থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি। যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে কাজ সমাধা করে নেওয়ার নামই হানি ট্র্যাপ। নিছক মজা করার জন্য এই ফাঁদ পাতা হয় না, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি—রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই থাকে এর উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং এর পরবর্তী সময়ে স্নায়ুযুদ্ধকালে হানি ট্র্যাপে ফেলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিমাদের কাছ থেকে গোপন তথ্য জানার চেষ্টা করেছে। মস্কোর কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নিতে একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে পশ্চিমারাও। হানি ট্র্যাপের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে এসেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নাম। পরমাণু শক্তিধর আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধেও হানি ট্র্যাপে ফেলে পরস্পরের তথ্য হস্তগত করার অভিযোগ আছে।

হানি ট্র্যাপের মধ্য দিয়ে কখনো কখনো সত্য বেরিয়ে আসে, আবার নিরপরাধ লোক ক্ষণিকের ভুলে ফেঁসেও যেতে পারে। এ ট্র্যাপ এড়ানো বড় কঠিন। আর কঠিন বলেই ডোনাল্ড ট্রাম্প, সিলভিও বারলুসকোনির মতো প্রভাবশালী নেতারাও এ ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তফাত হলো, উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ অভিযোগগুলো তদন্ত, বিচার ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গন্তব্য পায়। বাংলাদেশে তা হয় জনদৃষ্টিতে অপমানজনক থিয়েটার এবং সাময়িক বিতর্কের হেডলাইন। কখনো শাস্তি হয় না, কখনো সত্যটাই অনির্ধারিত থেকে যায়। সংঘবদ্ধ অপরাধীরা সাধারণত এমন প্রতারণার ফাঁদ বেশি পাতে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি তাদের পেছনে কাজ করে। যাদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম, তারাই এ ধরনের প্রতারণার শিকার বেশি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ধরনের ফাঁদ পাতলে সেটা নৈতিক ও আইনগতভাবে সিদ্ধ নয়। হালে রাজনৈতিক নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ফোন, ভিডিও কল—সবই সম্ভাব্য নজরদারির প্ল্যাটফর্ম। অনেক ক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে নারী প্ররোচনার মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলা হয়। এরপর সেই সম্পর্ক ব্যবহৃত হয় ক্যারিয়ার ধ্বংস বা ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হিসেবে। হানি ট্র্যাপের স্রোতে মানি ট্র্যাপও প্রচলিত শব্দ। কোনো প্রতারণাপূর্ণ স্কিমের জালে জড়িয়ে পড়া, যেখানে অর্থ হারানোর শঙ্কা থাকে। মানি ট্র্যাপ নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সিনেমা বা গল্পে আর্থিক লেনদেন বা প্রতারণার বিষয় উঠে এসেছে।

দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে হানি আর মানি এখন কাছাকাছি। ট্র্যাপের ধরনও প্রায় অভিন্ন। প্রশ্ন আছে, রাজনৈতিক দলগুলো কি তাদের প্রার্থীদের ব্যক্তিজীবনের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা যাচাই করে? এখনো বহু দল প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও ক্ষমতার নিকটতা দেখেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। ফলে ব্যক্তিজীবনের অনিয়ন্ত্রিত দিকগুলো রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে পড়া হয়ে ওঠে সময়ের ব্যাপার। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অ্যাডাল্ট ডেটিং সাইটগুলো হয়ে উঠেছে হানি ট্র্যাপের মোক্ষম জায়গা। বড় ব্যবসায়ী, পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সাংবাদিক কিংবা শিল্পীদের সঙ্গে অ্যাডাল্ট সাইটের প্রেমিক-প্রেমিকারা অন্তরঙ্গ, কিংবা নগ্ন ভিডিও চ্যাট করে পরে তা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করছেন। কিংবা কখনো তারা কোনো পক্ষের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে টার্গেট ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে হানি ট্র্যাপ এখন আর গল্প নয়, এটা গোপন বাস্তবতা। যেখানে নৈতিকতা, প্রযুক্তি আর প্ররোচনা মিলেমিশে রাজনীতিকে দুর্বল করছে। আইন ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আধুনিক পদক্ষেপের চেয়ে এখানে সবচেয়ে বড় দরকার—নেতৃত্বে মানবিকতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়া জেলা আ.লীগ নেতা নবাব ঢাকায় গ্রেপ্তার

বিদেশে অর্থ পাঠানোর নিয়ম শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক

শক্তিশালী বিস্ফোরণে কাঁপল ইরান (ভিডিও)

এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী হাসপাতালে

বৃষ্টি না এলে আগে ইনিংস ঘোষণা দিতাম: শান্ত

এখন পর্যন্ত কতজন ইরানি নিহত হয়েছে জানাল ইরান

‘ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে’

দেরিতে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশের আফসোসের ড্র

৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

বিএসপি মহাসচিব আব্দুল আজিজের দাফন সম্পন্ন

১০

অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

১১

যুদ্ধের মধ্যে এবার মাখোঁ-পেজেশকিয়ান ফোনালাপ

১২

নেতানিয়াহুকে নিয়ে বিল ক্লিনটনের বিস্ফোরক মন্তব্য

১৩

ঝিনাইদহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু 

১৪

বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

১৫

আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির : প্রধান উপদেষ্টা

১৬

বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

১৭

কারাগারে বিয়ে করলেন নোবেল, প্রতিবাদে সরব পারশা মাহজাবীন

১৮

এক দিনেই ইরানের ৪০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইসরায়েল

১৯

বিএনপি নেতার গুদামে মিলল ৩০৪ বস্তা সরকারি চাল

২০
X