মাহবুব সরকার
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৩ এএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গণপূর্তের মাঠে ধান্দার আখড়া!

ধানমন্ডি ৪ নম্বর মাঠ। ছবি : কালবেলা
ধানমন্ডি ৪ নম্বর মাঠ। ছবি : কালবেলা

একপাশে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাইনবোর্ডে লেখা, ‘খেলার মাঠ। স্থানীয় বাসিন্দাদের খেলাধুলার জন্য, কোন প্রকার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাঠ ব্যবহার করা যাবে না।’ ধানমন্ডি ৪ নম্বর মাঠের এ ঘোষণা সাইনবোর্ডেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে নয়। গণপূর্ত অধিদপ্তর মাঠ উন্মুক্ত করে রেখেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের খেলাধুলার জন্য। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র এ মাঠ ভাড়া দিয়ে বছরে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রায় কোটি টাকা। মাঠের অভ্যন্তরে স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে, যা একাধিক ব্যক্তির বসবাসের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই স্থাপনায় মাদক সেবন ও নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগও আছে।

বিভিন্ন করপোরেট হাউজের ক্রীড়া উৎসব, বেসরকারি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও সামাজিক ইভেন্টের জন্য মাঠ ভাড়া দেওয়া হয়। নামসর্বস্ব এক প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগের ধানমন্ডি অঞ্চল থেকে কালবেলাকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ‘এ মাঠ স্থানীয় বাসিন্দাদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এটা ইজারা দেওয়া হয়নি। এ মাঠ ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী সম্প্রতি মাঠ ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন খানের সঙ্গে কথা বলছিলেন, যার অডিও এসেছে কালবেলার হাতে। মাঠ ভাড়া দেওয়ার ইস্যুতে শাহাদাৎ হোসেন বলছিলেন, ‘নির্দিষ্ট দিনে প্রতি ঘণ্টার জন্য ভাড়া হিসেবে ২ হতে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়। টাকার অঙ্কটা কত হবে—তা নির্ভর করছে কবে ও কখন তার ওপর।’ যদিও কালবেলার কাছে মাঠ ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই শাহাদাৎ হোসেন, ‘এটা সরকারি মাঠ। সবাই খেলাধুলার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন। আমরা শুধু সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছি। তবে হ্যাঁ, মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু ডোনেশন নেওয়া হয়ে থাকে।’ মাঠ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ভাড়ার অর্থ নেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমির নামে ছাপানো রসিদ দিয়ে।

রাজধানীতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে কমছে খেলার মাঠের সংখ্যা। এ কারণে ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকার কিশোর-তরুণরা এ মাঠে খেলতে এলেও স্থানীয় ওই চক্রের কারণে মাঠেই প্রবেশ করতে পারেন না। এ নিয়ে প্রায়ই নানা অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তেমনি একই ঘটনা সম্প্রতি আদালতে গড়িয়েছে, যার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।

ধানমন্ডির বাসিন্দা আরমান হোসেন অপু অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষ এ মাঠ ব্যবহার করতে পারছেন না। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাতে জিম্মি মাঠ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা আরমান হোসেন অপুর কথায়, ‘সকালে ধানমন্ডি ৪ নম্বর মাঠে বাচ্চা নিয়ে খেলতে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয় না। মাঠের অভ্যন্তরে কয়েকজন বসবাস করেন। তারা এ মাঠে খেলাধুলা করতে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ মাঠ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্প: প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ, ভাঙা হবে ২৪ ভবন

পর্তুগালের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ব্রাজিল

‘এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর নিয়ে কেবল নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে’

দেশের ৮১ সরকারি কলেজ স্থান পেল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে

স্ট্রোক করে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

১০

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

১১

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

১২

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

১৩

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

১৪

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

১৫

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৬

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

১৭

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৮

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

১৯

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২০
X