রোমান সানা-দিয়া সিদ্দিকীর প্রনয় ক্রীড়াঙ্গণে অজানা নয়। সম্পর্কটা মাঝেমধ্যে অম্ল-মধুর হয়েছে বটে, প্রনয়ের পথে এ জুটি পা হড়কায়নি। প্রেমের সম্পর্কে গতকাল দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নীত করেছে রোমান-দিয়া।
এ জন্য মঙ্গলবারই দিয়া সিদ্দিকীর জেলা নীলফামারতে অবস্থান নিয়েছিলেন রোমান সানা ও পরিবারের সদস্যরা। জেলা শহরের আশা কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার আড়ম্বরপূর্ণ হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বধূ নিয়ে রোমান সানা খুলার বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হন। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় আরচারি প্রতিযোগিতার মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে জুটি বেধেছিলেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। তীর-ধনুকে মাঠের সঙ্গী এবার সংসারেরও জুটি বাধলেন। দুপুরে অর্ধশত বরযাত্রী নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন রোমান সানা। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার মা বিউটি বেগম, বড় ভাই বিপ্লব সানা, বোন লুবনা আক্তার, চাচা রোকন সানা। উপস্থিত ছিলেন আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, জাতীয় দলের প্রধান কোচ মার্টিন ফেডারিকসহ ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময় বরযাত্রী এবং অতিথিদের অভার্থনা জানান নীলফামারী পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, দিয়া সিদ্দিকীর বাবা নূর আলম সিদ্দিকী ও মা শাহানাজ বেগম।
‘বিয়ে করলে বরকত বাড়ে। সে হিসাবে ডুয়েল পেয়ারে কাজ হবে। আমরা দুইজন একসাথে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবো। আল্লাহ যদি চান তাহলে আমাদের হাত দিয়ে অলিম্পিকে গোল্ড আসবে’— বিয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলছিলেন দিয়া সিদ্দিকী। রোমান সানা বলেছেন, ‘আমাদের একটা সম্পর্ক ছিল, সেটা আজকে পরিপূর্ণতা পেল। আল্লাহ পাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা দুইজন মিলে চেষ্টা করবো যেন সেটারা দিয়ে বাংলাদেশকে আরচারিতে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি।’ অন্যতম দেশসেরা আরচার আরও বলেন, ‘সব সময় আমরা চেষ্টা করেছি, দিয়ার ডেডিকেশন সব সময় বেশি থাকে। আমি যতটুকু সাপোর্ট দিতে না পেরেছি, দিয়া সবসময় বেশি সাপোর্ট দিয়েছে আমাকে।’
মন্তব্য করুন