ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো রাষ্ট্র সংস্কার করা; যাতে করে আর কখনোই কোনো স্বৈরাচার জন্ম নিতে না পারে। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি ইতোমধ্যে সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। এখন এই কমিশনগুলোকে গতিশীল ও জনসম্পৃক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে চরমোনাই পীর বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করুন। কারণ, তারাই দীর্ঘমেয়াদে জনমত ধারণ করেছে এবং আগামীতেও করবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চালানো গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে খুলনা মহানগর ও জেলা ইসলামী আন্দোলন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
রেজাউল করীম বলেন, জনগণের প্রত্যাশা, ৫৩ বছরে যারা বারবার আমাদের বোকা বানিয়ে মাথায় নুন রেখে বরই খাওয়ার প্রবণতা দেখিয়েছে; তাদের পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে কল্যাণকর সুন্দর রাষ্ট্র। দুর্নীতিবাজ, খুনি, স্বার্থান্বেষী মহলকে আমরা আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন একবারও সংসদে যায়নি। তার মানে কি ইসলামী আন্দোলন দুর্বল। আসলে ইসলামী আন্দোলন ওদের ধোঁকা, খুন, টাকা পাচারের সহযোগী শক্তি হতে চায়নি। পরগাছা হতে চাইনি। আমরা পরগাছা কেন হব। এ দেশ আমার। এ দেশ স্বাধীন করেছে ওলামায়ে কেরাম।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির ও খুলনা মহানগর সভাপতি আব্দুল আউয়াল। মহানগর সহসভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারি ইমরান হুসাইন, জেলা সেক্রেটারি আসাদুল্লাহ আল গালিবের যৌথ সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়াইব হুসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি মানসুর আহমেদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নুরুল বশর আজিজী প্রমুখ।
ইউনুস আহমাদ বলেন, যারা দেশের টাকা পাচার করেছে, মানুষ হত্যা করেছে; তাদের বিচার করতে হবে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদের বিচার করতে হবে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিতদের প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।