ডেঙ্গু যদি ধরা পড়েই যায় তবে পরবর্তী কাজ হলো রোগীর প্রতি যত্নআত্তি বাড়িয়ে দেওয়া। গুরুতর লক্ষণ দেখা না গেলেও এ সময় ন্যূনতম খামখেয়ালির সুযোগ নেই। আর কিছু বিষয় মেনে চললে শরীরও দ্রুত ডেঙ্গুর প্রভাবমুক্ত হবে। পানি বিশুদ্ধ পানি পান বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রোগীকে ঘরে বানানো জুস খাওয়াতে হবে। তবে ওই জুসে যেন বাড়তি চিনি না থাকে। এ সময় চা-কফি ও কোমল পানীয় দূরে রাখতেই হবে। তরল হলেও ওসব কিন্তু আমাদের শরীরকে পানিশূন্য করে দেয়। রোগী মুখে খেতে না পারলে হাসপাতালে স্যালাইনের মাধ্যমেও তরল খাবার দেওয়া যায়। নজর রাখুন রোগীর জ্বর বা জয়েন্টের ব্যথা নজরে রাখুন। ব্যথা বেশি হলে বা কোনো অস্বস্তি বেড়ে গেলে সেটা যেন দ্রুত কমানো যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শক্রমে রোগীকে প্যারাসিটামল বা বমিরোধক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তবে রোগীর ব্যথা দেখে নিজে থেকে কিছুতেই কোনো ব্যথানাশক খাওয়াতে যাবেন না। ডেঙ্গুর ব্যথায় আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক বা ন্যাপ্রোক্সেন জাতীয় ওষুধ একপ্রকার নিষিদ্ধই বলে রায় দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাবধানে চলাফেরা খেয়াল রাখতে হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত থাকা অবস্থায় রোগী যেন কিছুতেই অন্য কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। এ সময় কোথাও কাটাছেঁড়া বা রক্তপাত হলে সেটা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। পাশাপাশি রোগীর শরীর থেকে কোনোভাবে রক্তপাত হচ্ছে কি না, সেটাও দেখতে হবে।
খাবার ডেঙ্গু হলে বিশেষ কিছু খেতে হবে বা খাওয়া যাবে না এমন কোনো নিয়ম নেই। তবে এ সময় শরীর যেহেতু বেশি ফিট রাখতে হয়, তাই দ্রুত সারতে চাইলে খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। এড়িয়ে চলতে হবে চর্বি, মসলাযুক্ত ভারী খাবার। কোনো খাবার সহজে হজম হচ্ছে কি না, সেটাও দেখতে হবে।
মন্তব্য করুন