ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ এবং সহায়ক কমিটির সভায় পরিচালকদের ভিন্নমত বা ‘ডিসেন্ট নোট’ লিপিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (৪ আগস্ট) জারি করা এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এখন থেকে কোনো পরিচালক দ্বিমত পোষণ করলে বা ব্যতিক্রমী মতামত দিলে, তা সভার কার্যবিবরণীতে বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুধু পরিচালকদের নয়—পর্ষদ সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষকের কোনো মতামত বা পর্যবেক্ষণ থাকলেও সেটিও যথাযথভাবে কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রতিটি ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার নং-০২-এ পর্ষদ সভাসংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেক ব্যাংক তা মানছে না। ফলে পরিচালকদের মতামত ও আলোচনা সঠিকভাবে নথিভুক্ত না হওয়ায় পর্ষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বিঘ্নিত হচ্ছে।
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পর্ষদ বা কমিটির সভায় উত্থাপিত এজেন্ডার আলোকে পরিচালকদের আলোচনা, পর্যবেক্ষণ, সুপারিশ এবং মতপার্থক্য বা ‘ডিসেন্ট নোট’ কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক। পাশাপাশি, বিআরপিডি সার্কুলার নং-০২-এর অন্যান্য নির্দেশনাগুলো বহাল থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী জারি করা এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এই উদ্যোগ ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, পরিচালনা পর্ষদের দায়বদ্ধতা ও কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন