ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রধানতম কারণ মুনাফা। এ ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষের দ্বিমত না থাকলেও এই মুনাফার প্রক্রিয়া, পরিমাণ এবং মুনাফার হার নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত।
রোববার (১১ জুন) রাজধানীর আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এথিক্স এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (ইটুএসডি) ও দ্য স্কুল অব বিজনেস, আউস্ট’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইমপোরটেন্ট অব বিজনেস এথিক্স: পারসপেক্টিভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক ড. মেলিটা মেহজাবিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানউল্লা ইউনির্ভাসিটির ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলি ইলাহী, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক ড. সালেহ মো. মাসেদুল ইসলাম, ইটুএসডি’র সিইও কাজী আলী রেজা, এক্সপার্ট অব আইএলও লেবার স্ট্যান্ডার্ড নুরুন্নবী খান, ড. জাহাঙ্গীর সুলতান ও হজ ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লকিয়ত উল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুনাফার আরও নানা ধরনের কারসাজি লক্ষ্য করা যায়। যেমন- ওজনে কম দেওয়া, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, পচা-বাসি খাবার, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার, ফল-শাক-সবজিতে নানা ধরনের জীবন-ধারণের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশানো নিত্যদিনকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসায়িক মুনাফা জনগণের জীবনমানে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তারা বলেন, নৈতিকতার মানদণ্ড মেনে চলে ব্যবসা করা দরকার। ব্যবসা শুধুই নিজের কল্যাণের জন্য নয় বরং জনকল্যাণও ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা যদি এগুলো নিয়ে ভেবেচিন্তে ব্যবসা পরিচালনা করেন, সেক্ষেত্রে তার কর্মীবাহিনী যেমন নৈতিক মানদণ্ড মেনে চলার চেষ্টা করবেন- তেমনি গোটা জাতি উপকৃত হবে এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
মন্তব্য করুন