ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সাঁকো দিয়ে সেতু পার, ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের বাসিন্দা

একাংশ ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পার হতে হয় সেতৃু। ছবি : কালবেলা
একাংশ ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পার হতে হয় সেতৃু। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে সেতুর একাংশ। তবে চার বছর আগে ভেঙে যাওয়া সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সেতুটি উঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে সাঁকো। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ।

জানা গেছে, সেতুটি উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের খলিফাপাড়ার চান্দনা-চরেরপাথর সড়কে অবস্থিত। ওই সেতু উপজেলা সদরের সঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ওই সেতু। খলিফাপাড়ার খালটির ওপর নির্মিত সেতুটি ভাঙা থাকায় বর্তমানে দুই পাড়ের যোগাযোগে অনেকটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একযুগ আগে চান্দলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফাপাড়া এলাকায় মিয়া বাড়িসংলগ্ন সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খননের কাজ করে। সে সময় ওই সেতুর নিচের মাটিও খনন করে। পরে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে সেতুর খুঁটির নিচের মাটি সরে গিয়ে সেতুর একপাশের অংশ ভেঙে পড়ে। এতে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী চরের পাথর, খলিফাপাড়া, নোয়াপাড়া, লালখার, মিয়া বাড়ি শান্তিনগরসহ ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে ভাঙা অংশে সাঁকো নির্মাণ করে গত কয়েক বছর হেঁটে পার হচ্ছেন। তবে এ সাঁকো দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন পারাপার হতে পারছে না। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষ ও ওই এলাকায় প্রয়োজনের তাগিদে যাওয়া মানুষ।

খলিফাপাড়ার কলেজ পড়ুয়া রনি আহমেদ বলেন, এ সেতুটি দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছে কিন্তু কোনো প্রকারের যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তির শেষ নেই আমাদের।

খলিফাপাড়ার কৃষক মতি মিয়া বলেন, আমাদের প্রায় অধিকাংশ জমি দেউস বিলে। পাকাধান ও সার বীজ নিয়ে ও অন্যান ফলফলাদি আনা-নেওয়ায় আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। ভাঙা অংশে নির্মিত সাঁকোটির অবস্থাও দিনে দিনে নড়বড়ে হয়ে উঠেছে।

চান্দলা গ্রামের পিন্টু মিয়া জানান, বাঁশ দিয়ে তৈরি করা সাঁকোটিতে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে উঠলে কখনো ডানে কখনো বামে কাত হয়ে যায়। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর ধরে শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।

এ ব্যাপারে চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, খলিফাপাড়া গ্রামের পাশে অবস্থিত খালের ওপর এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই এ সমস্যার সমাধান করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের নিকট আলোচনা করেছি। সেতুটি সংস্কার হলে এই এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির ব্রাহ্মণপাড়া উপব্জেলা প্রকৌশলী আবদুল রহিম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির অবস্থা খুবই বেহাল। আমার আগে যিনি এখানে দায়িত্বে ছিলেন তিনিও সেতুটির সংস্কার চেয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। আমিও একাধিকবার এই সেতুটিসহ ১০০ মিটারের আরও কতগুলো সেতুর সংস্কার চেয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। সরেজমিনে পরিদর্শন করে পুনর্নির্মাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৮ বছরের ক্রিকেট ইতিহাস নতুন করে লিখলেন ভারতীয় ওপেনার

হামাস-ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

‘আইয়া দেখি মা-বাবাকে মাইরা খাটের ওপর বইসা রইছে’

নওগাঁর সাবেক এমপি ওমর ফারুক কারাগারে

হামজাদের খেলা দেখতে গেট ভেঙে স্টেডিয়ামে ঢুকলেন দর্শক

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানিকালে ৭৫ হাজার কেজি সুতা জব্দ

মায়ের লাশ আটকে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা, ২০ ঘণ্টা পর দাফন

ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশে নতুন করে দমন-পীড়ন : এইচআরডব্লিউ

রাকসু নির্বাচন / ১৬ দফার ইশতেহার দিল গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ

১০

ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, তিন দিন পরও হয়নি মামলা

১১

হঠাৎ খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, বিপাকে রোগীরা

১২

‘মবোক্রেসি আমাদের ব্যর্থতা, সামাল দেওয়া যায়নি’

১৩

‘চন্দন কাঠ’ ভেবে উৎসুক জনতার ভিড়, না বুঝেই চলছে কেনাবেচা

১৪

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে গণসমাবেশ ও মিছিল

১৫

ফেসবুকে যে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা

১৬

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

১৭

বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা

১৮

দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি

১৯

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হবে ১৫ অক্টোবর

২০
X