মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ১৮টি নৌযান। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সরেজমিনে নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি মালিকানাধীন এই সংস্থার বহরে নতুন প্রযুক্তিনির্ভর জলযান সংযোজনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিছু কারিগরি সমস্যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ শুরু করা যায়নি, তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় বিআইডব্লিউটিসির জন্য যেসব নৌযান তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ছয়টি ফেরি, দুটি অগ্নিনির্বাপক টাগবোট, দুটি উপকূলীয় তেলবাহী জাহাজ, চারটি দ্রুতগতির সি-ট্রাক, তিনটি যাত্রী পরিবহন যান এবং একটি বিশেষায়িত পরিদর্শন বোট।
সরকারি এই প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকলেও শেষ ধাপে আমরা দ্রুতগতিতে এগোচ্ছি। আশা করছি নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ধাপে ধাপে নৌযানগুলো বুঝিয়ে দিতে পারব।
এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে সফরসঙ্গী ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সলিম উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা।
প্রসঙ্গত, বিআইডব্লিউটিসির জন্য দীর্ঘদিন পর এমন বড় পরিসরে নৌযান নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নৌপথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আরও গতিশীল হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
মন্তব্য করুন