

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন—নালিতাবাড়ী খিশাকুড়ি বাঘবের গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে রতন (৩৫) ও তার শিশু কন্যা নুরিয়া খাতুন (৭)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত রতনের স্ত্রী জুলেখা খাতুনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শ্বশুরবাড়ি আমিরখাকুড়া গ্রামে বেড়াতে গিয়ে ছিলেন রতন। শ্বশুরের ঘর থেকে তার এবং মেয়ের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রতনের স্ত্রীকেও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ভোর ৪টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় খাটের ওপর গলা কাটা অবস্থায় রতনের ও মেঝেতে তার মেয়ে নরিয়ার মরদেহ পড়ে ছিল। পাশ থেকে একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত রতনের স্ত্রীর গলাও কাটা ছিল। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড নাকি পারিবারিক বিরোধে নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তার তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হরেয়ছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। পুলিশের একাধিক দল ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন