

গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৪২২টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চোরাই মোবাইল বেচাকেনা চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
এ সময় চোরাই মোবাইল বেচাকেনা চক্রের মূল হোতা দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জৈনপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুস শহিদসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অন্য তিনজন হলেন— আব্দুস শহিদের ভাই মো. আইয়ুব আলী, তার ভাতিজা আকরাম আলী (২১) ও মোমিনখলা এলাকার মো. সুজ্জাত (২৭)।
অভিযানকালে আটকদের কাছ থেকে মোবাইলের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম, পেনড্রাইভ ও ডিএসএলআর ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।
এসএমপি কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসএমপির ডিবি (দক্ষিণ) ইউনিটের একটি বিশেষ দল দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সুজ্জাতকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে শিববাড়ি জৈনপুর এলাকায় আব্দুস শহিদের বাড়িতে ভোর চারটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার বসত ঘরের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ২৮টি মোবাইল ফোন ও মোবাইল আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে আব্দুস শহিদ ও তার ভাতিজা আকরাম আলীকে আটক করা হয়।
কমিশনার আরও বলেন, আব্দুস শহিদকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে নগরীর সিটি হার্ট শপিং সেন্টারে তার ভাই মো. আইয়ুব আলীর মালিকানাধীন তোহা টেলিকম থেকে ২০৪টি ও করিম উল্লাহ মার্কেটের তৃতীয় তলার স্মার্ট গ্যালারি নামে একটি দোকান থেকে ১৫৪টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আব্দুস শহিদের ভাই মো. আইয়ুব আলীকেও আটক করা হয়েছে।
এসএমপি কমিশনার আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন রয়েছে। যেগুলোর অনেকগুলোই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনরায় বিক্রি করছিল। এসব চোরাই মোবাইল দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর প্রকৃত মালিকদের শনাক্ত করতে আইএমইআই নম্বর যাচাইসহ প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হয়েছে এবং চোরাই মোবাইল ফোন চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন