চার বছর বয়সে মা মারা যাওয়ার পর বাবা মো. ফারুক আরেকটা বিয়ে করে। কিছুদিন পর ওই সংসার ছেড়ে তৃতীয় বিয়ে করে বাবা চলে যায় অন্য স্থানে। সৎমায়ের কাছে বড় হতে থাকে মা-বাবাহারা শিশু মিজবাহ আক্তার (৭)।
মঙ্গলবার রাতে পাশের ভাড়া বাসা থেকে মিজবাহর কাঁঠাল খাওয়া দেখে ফেলে সৎমা। পরে ঘরে এনে চুলার আগুনে চামচ গরম করে মিজবাহের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দেয়। এ সময় শিশু মিজবাহর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে সৎমায়ের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করে। পরে শিশুটির নানা মো. সিরাজ পুলিশকে খবর দিলে বুধবার রাতে পুলিশ সৎমাকে আটক করে এবং শিশু মিজবাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মাঝের পাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। অভিযুক্ত শিশুটির সৎমা নাহিদ সুলতানা অনিকার (২১) বাড়ি পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন এলাকায়। তারা বেশ কিছুদিন ধরে আনোয়ারা বটতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছে।
নির্যাতনের শিকার শিশু মিজবাহ জানায়, পাশের ঘর থেকে কাঁঠাল খাওয়ার অপরাধে তাকে চামচ গরম করে তার সৎ মা আগুনের ছ্যাঁকা দেয়। তার মা-বাবা কেউ নেই বলেও জানায় শিশুটি।
আনোয়ারা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার শিশুটির নানা মো. সিরাজ ঘটনা জানিয়ে আনোয়ারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ বুধবার রাতে নাহিদ সুলতানা অনিকাকে (২১) গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য করুন