পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না সড়ক সংস্কারের কাজ, ধীরগতির কারণে চলাচলে বিড়ম্বনা আর ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
পৌরসভার চৌরাস্তা থেকে এলএসডি মোড় পর্যন্ত সড়কের মাত্র ২০০ মিটার অংশ সংস্কারের মেয়াদ এক দফা বাড়িয়েও শেষ করা যায়নি কাজ। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কবে শেষ হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে দেবীগঞ্জ বাজার থেকে দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ সড়কের ১ দশমিক ৩৮৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজটি শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রূপালী এন্টারপ্রাইজ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় কাজের সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে দেবীগঞ্জ পৌর শহরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে সবুজপাড়া মোড় পর্যন্ত ২০০ মিটারের বেশি সড়কে ইটের খোয়া ফেলে রোলিং করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন এভাবে ফেলে রাখায় এবং ভারী যানবাহন চলাচল করায় আশপাশের বাড়িতে ধুলার আস্তরণ পড়েছে। ধুলা থেকে বাঁচতে সড়কের দুপাশের বাসিন্দারা প্রায় ২শ মিটার রাস্তায় তিন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে ভারী যানচলাচল বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়াও সড়কের দুপাশে থাকা দোকান মালিকরা ধুলা থেকে বাঁচতে দোকানের অর্ধেক শাটার খুলে ব্যবসা চালাচ্ছেন। বন্ধ রাখা হচ্ছে বসতবাড়ির জানালা।
এদিকে এলজিইডির গাফিলতির কারণে ঠিকাদার কালক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে চুক্তি বাতিলের জন্য এলজিইডি নোটিশের পর নোটিশ দিলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করছেন না। স্থানীয়দের দাবি, উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঠিকাদার ইচ্ছেমতো কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এই বিষয়ে জানতে ঠিকাদার রফিকুল ইসলামকে বারবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি ইউপি সদস্য জুয়েল পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে দিয়ে কল রিসিভ করান। তিনি জানান, ঠিকাদার মিটিংয়ে আছেন, তিনি আরও জানান ঠিকাদার একজন চেয়ারম্যান। দেবীগঞ্জ থেকে সড়কের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজটা তাড়াতাড়িই করা হবে।
এই বিষয়ে জানতে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিলের মুঠোফোনে চারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন