রাজধানীর সদরঘাটে একটি লঞ্চের ছিঁড়ে আসা রশির আঘাতে পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রকিবুল হাসান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার আবদুর রউফ (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মোহাম্মদ সেলিম হাওলাদার (৫৪), লঞ্চের পরিচালক শাহরুখ খান (৭০), তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৭)।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদরঘাট নৌথানার উপপরিদর্শক নকীব অয়জুল হক তাদের কারাগারে আটকের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১২ এপ্রিল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেলের আদালত শুনানি শেষে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১১ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ নামে একটি লঞ্চ ও এমভি পূবালী-১ নামে আরও একটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর ওইদিন রাতে নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
মন্তব্য করুন