রেজওয়ান রনি, রংপুর
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাকরি বাঁচাতে বেরোবি শিক্ষক গোলাম রব্বানীর গণস্বাক্ষর অভিযান

সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। ছবি : কালবেলা
সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। ছবি : কালবেলা

নামের মিলে অন্য একজনের চাকরি বাগিয়ে নেওয়া ও জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থানের অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কালবেলায় ‘মেধায় প্রথম হয়েও যেভাবে ভয়াবহ জালিয়াতির শিকার রব্বানী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর চাকরি বাঁচাতে তার বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন বিতর্কিত এ শিক্ষক।

গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জননেত্রী পরিষদের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ কেলেঙ্কারি, বিভাগের এক শিক্ষককে শিক্ষা ছুটিতে পাঠিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়োগ, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সব শিক্ষার্থীদের বিভাগে ডাকেন তিনি। কিন্তু এতে ১৬ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরা আসেন। এ সময় ওই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রতিবাদে সাদা কাগজে স্বাক্ষর এবং মোবাইল নম্বর দিতে বলেন। এ ছাড়া ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এলে তাদের কাছ থেকেও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ভিসির কাছে যাওয়ার অনুরোধও করেন।

এদিকে রব্বানীর গণস্বাক্ষর অভিযানের বিষয়ে জানতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন এ প্রতিবেদক। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তবে তাদের বক্তব্যের রেকর্ড কালবেলার কাছে সংরক্ষিত আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী জানান, ‘রব্বানী স্যারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরোধিতা করতে উনি আমাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর নিয়েছেন। এ ছাড়া বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে সবাইকে প্রতিবাদ জানানোর অনুরোধ করেন।’

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা সত্য যে, স্যার আমাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, তার উপর অভিযোগ ওটাই বিভাগের মানসম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা, আমরা যেন স্বাক্ষর দেই।’

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আরা তানজিয়া বলেন, ‘আমি তো পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম। শিক্ষার্থীরাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।’

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই বলবো না, আপনাদের যা ইচ্ছা লেখেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘আমিও বিষয়টা শুনলাম। এটা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক, বাণিজ্য বাড়ার আশা চারগুণ

আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান আইন বিভাগ

সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা / সাগরদাঁড়িকে সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে

‘তামাক সেবন বন্ধে করারোপ একমাত্র পদ্ধতি নয়’

ভুয়া ইস্ট এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

আরটিভির নতুন ধারাবাহিক ‘ইউনাইটডে স্টেট অব বরিশাল’

আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ 

ময়মনসিংহে পিস্তলসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

শ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

১০

বিয়েতে আর ট্যাক্স দিতে হবে না : আইন উপদেষ্টা

১১

কেন ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, কিছুদিন পর জানানো হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১২

‘ওসি শাহ আলম সম্ভবত পাশের দেশে পালিয়ে গেছেন’

১৩

নড়াইলে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

১৪

নাইমুর রহমান দুর্জয়ের ফ্ল্যাট-গাড়ি জব্দ

১৫

ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন : ডা. শফিকুর রহমান

১৬

আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ 

১৭

শপথ নিয়েই চারজনকে চাকরিচ্যুত, হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি

১৮

সৌদি আরব যেতে প্রবাসী শ্রমিকদের টিকার বাধ্যবাধকতা নেই

১৯

মতিউরের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে দুদক, শুনানি ২৭ জানুয়ারি

২০
X