বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘এ দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। আর তা দূর করতে যুবকদের জন্য আগামী দিনে আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে দেশনায়ক তারেক রহমান।’
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের আশিকপুর এলাকাবাসীর আয়োজনে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণসংযোগমূলক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন, ‘৩১ দফা জাতির সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উত্থাপন করেছেন। এর মধ্যে একটি দফা আছে সেটিতে নারীদের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, যা আমার মায়েদের নামে থাকবে। যাতে করে মা-বোনেরা সে কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে একটি টাকা অথবা সমপরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘নারীদের উন্নয়নের সবচাইতে বেশি ভূমিকা পালন করেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকে স্কুল-কলেজে মেয়েরা বেশি এগিয়ে। এর মূল কারণ হচ্ছে অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কাজেই জনগণের জন্য আমাদের আদর্শের জনক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের স্বার্থে সব কাজ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাল খনন কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করলে আজকে অতি বন্যায় আমরা ভুগতাম না। আবার অতি খরায় ফসল নষ্ট হতো না। এছাড়াও বর্তমানে খাবারের জন্য কিন্তু বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না। সেজন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে ইনশাল্লাহ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল কাটা কর্মসূচি আবার চালু করা হবে।’
টুকু বলেন, ‘টাঙ্গাইলে যে মিষ্টির দাম বেড়েছে সেটা কিন্তু এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা এ মিষ্টির উপরও নিয়মিত চাঁদা নিত। যার ফলে মিষ্টির দাম বেড়েছে। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যদি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে তাহলে এই টাঙ্গাইলের মাটিতে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি চলবে না। সবার জন্য নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।’
৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণসংযোগমূলক অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল আলম রাশেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন