কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রথম বিসিএসেই সফল সজিব, হলেন যেভাবে

সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সজিব হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সজিব হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত

কৃষক পরিবারে জন্ম। বেড়ে উঠেছেন গ্রামীণ সমাজে। মাঠে কাজ করেছেন, ফলিয়েছেন ফসল। এরপরও থেমে যাননি। অদম্য গতিতে এগিয়ে গেছেন। বিচ্যুত হননি পড়াশোনা থেকে। এবার সেই পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি। প্রথমবার বিসিএসে অংশ নিয়েই সফল সজিব। ৪১তম বিসিএসে হয়েছেন সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার।

সজিবের এমন অর্জনে তার মা–বাবা, স্বজন, শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব, পাড়াপড়শিরা যেমন খুশি, তেমনি তিনি নিজেও আনন্দিত। সজিব কালবেলাকে বলেন, ‘আমি একটি সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান। টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই লেখাপড়া করতে হয়েছে। পরিবার নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমার মা–বাবা আমাকে উন্নত জীবন দিতে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে পড়িয়েছেন। পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার জন্য তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন, কষ্ট করেছেন। আমার সাফল্য দেখে তারা অনেক খুশি হয়েছেন। মা–বাবার সেবা করেই বাকি জীবন কাটাতে চাই।’

সজিব হোসাইনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর তৈলকূপা ইউনিয়নের তৈলকুপী গ্রামে। তার বাবার নাম রেজাউল ইসলাম ও মা আফরোজা বেগম। সজিবের শিক্ষার হাতেখড়ি তাদের গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার পর ভর্তি হন কালীগঞ্জের শহীদ নূর আলী কলেজে। সেখান থেকে পাস করে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। স্নাতক শেষে ২০১৯ সালে ওই বিভাগ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর পাস করেন।

সজিব হোসাইন তার সাফল্যের গল্প তুলে ধরে কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডার হওয়া আমার ছোটবেলার স্বপ্ন। বিশেষ করে কলেজ জীবনে যখন ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) কে কলেজ ভিজিট করতে দেখতাম তার আচরণ আমাকে খুব মুগ্ধ করত। তখন থেকেই ভাবতাম ইস! যদি ইউএনও হতে পারতাম।

তিনি বলেন, আল্লাহ প্রথম বিসিএস-এ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। ইউএনও হওয়ার জন্য প্রশাসন ক্যাডার না পেলেও শিক্ষা ক্যাডারে বিসিএসের স্বাদটা পান করতে পেরেছি।

তার পরিশ্রমের কথা তুলে ধরে সজিব বলেন, সিভিল সার্ভিসের একজন ক্যাডার হতে গেলে কতটা পরিশ্রম প্রয়োজন সেটা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর বুঝেছি। ক্লাস শেষে বেশিরভাগ সময় লাইব্রেরিতে পড়ে থাকতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার পর ৪১তম বিসিএস ছিল আমার প্রথম বিসিএস। এরপরে আমি আরও দুটি বিসিএস দিয়েছি। ৪৩তম ও ৪৪তম লিখিত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। যেহেতু আমার স্বপ্ন ছিল প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার, এখন সেই প্রচেষ্টাই অব্যাহত থাকবে।

বিসিএসে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সজিব বলেন, ‘আমার সাজেশন সঠিক পরিকল্পনা করে, উদ্দেশ্য সৎ রেখে, পর্যাপ্ত পরিশ্রম করলে যেকোনো কাজে সফল হওয়া যায়। টেকনিক্যালি পড়াশোনা করো তাহলে অল্পতে বিসিএসে ভাল করতে পারবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমার সময় বাড়াল ডাকসু নির্বাচন কমিশন

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

টকশোতে বসে এনসিপি নেতা জানলেন তিনি বহিষ্কার

ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের তথ্য জানালেন জেলেনস্কি

এশিয়া কাপের আগে ভারত দলে দুঃসংবাদ

দুই দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীদের

আ.লীগ নেতা এফএম শরীফুল গ্রেপ্তার

ছাত্রদলকে সুবিধা দিতেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় বৃদ্ধি : বাগছাস

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

ডাকসু নির্বাচন / ‘দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে যাচ্ছে’

১০

এক ফ্যান এক বাতিতে বিদ্যুৎ বিল এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা!

১১

চমক রেখেই বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচের প্রাথমিক দল ঘোষণা আর্জেন্টিনার

১২

মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশু সন্তানেরও

১৩

মব সৃষ্টি করে বাধা, ছাত্রদলের অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন 

১৪

গুলশানে সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ভাঙচুর

১৫

মাভাবিপ্রবিতে বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বিষয়ে সেমিনার

১৬

ছিনতাইয়ের ২ ঘণ্টার মধ্যে অটোরিকশা উদ্ধার

১৭

মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

১৮

মনোয়ারুল কাদির বিটুর নেতৃত্বে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা 

১৯

৩২ নম্বরে ফুল দিতে এসে গ্রেপ্তার সেই রিকশাচালক কারামুক্ত

২০
X