বিপ্লবী জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র প্রস্তাব করবে ‘জুলাই ঐক্য’। রোববার (১১ মে) রাতে লিখিত বক্তব্যে জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের দুই হাজার শহীদের রক্তের ওপরে আমরা আজ দাঁড়িয়ে আছি।
তিনি বলেন, খুনি ও সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে গত বুধবার ‘জুলাই ঐক্যে’র ঘোষণা করি। যেখানে বর্তমানে ৬০’রও অধিক সংগঠন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ঢাবি থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বসবভনের সামনে অবস্থান নেই। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় জুলাই ঐক্য। একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় যমুনার সমাবেশ থেকে ছাত্রজনতা শাহবাগে অবস্থান নেয়, যেখানে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এবি জুবায়ের বলেন, শনিবার রাতে দেশের অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে’র সঙ্গে মিলে শাহবাগে অবস্থান নেই। আপনারা সকলেই অবগত আছেন গতকাল রাতে কৌশলে কিছু শব্দ ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। আমাদের দাবি ছিল দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। আগামীকাল সোমবার সরকার পরিপত্র ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সরকারের পরিপত্রের ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের ডালপালা ও শেকড় যেখানে বিস্তীর্ণ সব উপড়ে ফেলতে হবে। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে ১৪ দল এবং সকল সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই ঐক্যের সকল সংগঠকদের এক মতের ওপর ভিত্তি করে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তাহলো- ১. জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বিপ্লবী জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারের কাছে প্রস্তাব করবে; ২. সারা বাংলাদেশে জুলাইয়ের স্প্রিট ধারণকারী সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করবে; ৩. তিন দফা দাবি পূরণে আমরা সরকারের পদক্ষেপগুলোকে পর্যবেক্ষণ করব; এবং ৪. আমরা সরকারের কাছে অহ্বান জানাচ্ছি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। অন্যথায় আমরা তালিকা প্রকাশ করব।
মন্তব্য করুন