কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দিল্লিতে হাসিনার বাড়ির পাশেই সিআরআইয়ের কার্যালয়, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি
শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি

গতবছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সেখানে তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানারকম তথ্য চাউর হয়। তবে সম্প্রতি একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নয়াদিল্লির অভিজাত এলাকা লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি বাড়িতে বসবাস করছেন শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ‘গুজব তৈরির কারখানা’ হিসেবে খ্যাত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের (সিআরআই) কার্যালয়ও এই লুটিয়েন্স বাংলো জোনের কাছেই একটি দোতলা ভবনে।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পর ২০১০ সালে সিআরআইয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ছিল প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা। কিন্তু তারা কার্যক্রম চালাত মূলত গোপন জায়গা থেকে।

জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিতে ভারত থেকে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির প্রাধান তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। দ্বিতীয়ত, যে কোনো মূল্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করা এবং তৃতীয়ত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বিরুদ্ধে জনমত তৈরিসহ গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।

জানা গেছে, গত তিন মাস থেকে ফের সক্রিয় সিআরআই। এর আগে দীর্ঘদিন এর মূল দায়িত্বে ছিলেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব এখন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাতে।

আইনগতভাবে জয়ের পক্ষে এখন অফিশিয়ালি সিআরআইয়ের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে পুতুলকে প্রতিষ্ঠানটির নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুতুল নিয়মিত এই কার্যালয়ে অফিস করছেন।

অভিযোগ উঠেছে- আওয়ামী লীগের গবেষণা, তথ্য কার্যক্রম পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ, প্রচার-প্রচারণার কাজের কথা বলা হলেও আদতে সিআরআই এখন ভিন্ন কাজ করছে। হাসিনাকে দেশে ফেরাতে আওয়ামী কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সংগঠিত করে কাজে লাগানোর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। সিআরআইয়ের দিল্লির এই কার্যালয় থেকেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের নানা কৌশলে কাজে লাগাতে বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।

এর উদ্দেশ্য—সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপিয়ে তোলা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনে বড় ধরনের সংঘাত-সহিংসতা সৃষ্টি করে দেশকে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগের সব শক্তিকে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা। পরে ঢাকা অ্যাটাক বা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি।

সূত্র- যুগান্তর

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উত্তাল সাগর, শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

আ.লীগের অর্থপাচারের মাশুল জনগণকে দিতে হচ্ছে : রাশেদ প্রধান 

দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা করা হবে : মুরাদ

টাঙ্গাইলে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরহাদ ইকবালের সমর্থনে রিকশা র‌্যালি

খড়ের মাঠ দখল নিয়ে ২ বাহিনীর গোলাগুলি, নিহত ২

বেসিসের সহায়ক কমিটি গঠন

বৃহত্তর সুন্নী জোটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত, যা বললেন জোটের নেতারা

সরকারি অর্থে বিদেশ ভ্রমণসহ যেসব ব্যয় বন্ধ থাকবে

ঝটিকা মিছিল : আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১০

এআইইউবিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১১

বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজের লেক পরিষ্কার করল ছাত্রদল

১২

ইনানী নয়, কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাবে জাহাজ

১৩

৮ দিন ধরে মুক্তা পানির উৎপাদন বন্ধ, আন্দোলনে প্রতিবন্ধী শ্রমিকরা

১৪

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা, বাংলাদেশেও পড়বে প্রভাব

১৫

ভারতের মহড়া, আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করল পাকিস্তান

১৬

জামায়াতের আন্দোলন মানেই শান্তি ও সুশৃঙ্খল : মাওলানা বিল্লাল

১৭

শিক্ষিকার চুরি যাওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করল পুলিশ

১৮

গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর

১৯

এল ক্লাসিকোয় আগুন জ্বেলে এখন সমালোচনার মুখে ইয়ামাল

২০
X