কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আবরারের গল্প আমাদের প্রজন্মের সাহসের গল্প’

ঢাবির আরসি মজুমদার হলে ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক সেমিনার ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবি : কালবেলা
ঢাবির আরসি মজুমদার হলে ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক সেমিনার ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবি : কালবেলা

‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক সেমিনার ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু)।

মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার হলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, শিক্ষাবিদ, ছাত্রনেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আব্দুর রব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী এবং শহীদ আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ।

আবরার ফাইয়াজ বলেন, বেশ কয়েক বছর পার হলেও এখনো আমার ভাই আবরার ফাহাদের হত্যার বিচার হয়নি। আমরা বিচার চাই। আবরার কোনো দলের প্রতিনিধি ছিলেন না- তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সন্তান।

ঢাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, জুলাই আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন শহীদ আবরার ফাহাদ। সে সময় শিবির সন্দেহে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে হত্যা করা হতো, কিন্তু কোনো প্রতিবাদ উঠত না। আজ আমরা সেই ভয় ভাঙার প্রজন্ম। জাতির প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আমরা কুষ্টিয়ায় তার কবর জিয়ারত করেছি। তার মা আমাদের বলেছিলেন- ‘আমার ছেলের মতো যেন আর কোনো ছেলের ভাগ্য না হয়।’ আমরা চাই বঙ্গবন্ধু এভিনিউর নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ’ করা হোক।

ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ইসলামপন্থি নেতাদের ফাঁসি পর্যন্ত সবকিছুই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। যারা নামাজ পড়ে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রব বলেন, আমি ৪১ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। একসময় ‘আল্লাহু আকবর’ বললে এখানে লাশ পড়ত। আমাদের সমুদ্র এলাকা পর্যন্ত তারা বিক্রি করে দিয়েছে- এখন স্বাধীনতার নামে বাংলাদেশকেই বন্দি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি আর আবরার একই বিভাগের ছাত্র ছিলাম। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই আবরারকে হত্যা করা হয়। আমাদের দেশে প্রগতিশীলতার নামে ইসলামবিদ্বেষ ও ভারতপ্রীতি লালিত হচ্ছে। আবরারের গল্প আমাদের প্রজন্মের সাহসের গল্প।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আবরার ফাহাদ শুধু এক ব্যক্তির নাম নয়- তিনি প্রতিরোধের প্রতীক। তাকে ভুলে গেলে বাংলাদেশ নিজের আত্মপরিচয় হারাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশের ৮১ সরকারি কলেজ স্থান পেল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে

স্ট্রোক করে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

১০

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

১১

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

১২

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৩

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

১৪

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৫

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

১৬

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের ২ সদস্য বরখাস্ত

১৮

দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

১৯

লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

২০
X