

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে শিক্ষা, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও জোরদারে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম ও দেশটির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ শাহিম আলী সাঈদের মধ্যে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধর্মীয় সম্পৃক্ততা, ইসলামিক জ্ঞান বিনিময় এবং মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছেন দুই কূটনীতিক।
আলোচনায় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা আরো কাঠামোবদ্ধ করতে দ্রুত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ, ইসলামিক গবেষক ও শিক্ষাবিদদের বিনিময় কার্যক্রম সহজ হবে বলে উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন।
মালদ্বীপের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ শাহিম আলী সাঈদ বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশকে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার দেশ হিসেবে বিবেচনা করে।
বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্ভাব্য কয়েকটি ক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ইসলামিক আলেম ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশের জাকাত ব্যবস্থাপনা একটি প্রশংসনীয় মডেল। এটি আমাদের দেশেও অনুসরণযোগ্য হতে পারে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের মানবসম্পদ, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ খাতে ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং দু’দেশের ধর্মীয় বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মালদ্বীপের সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদারে পাশে থাকবে। দুই দেশের জনগণ বিশ্বাস, মানবতা ও সৌহার্দ্যের মাধ্যমে আরও ঘনিষ্ঠ হোক— এটাই আমাদের কামনা।
তিনি প্রস্তাব দেন, শুক্রবারের জুমার খুতবা বাংলায় অনুবাদ করা হলে মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ধর্মীয় বার্তাগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এতে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে।
আলোচনায় দুই দেশ শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেন হাইকমিশনার।
দেশটির মন্ত্রী জানান, মালদ্বীপ সরকার এ বিষয়ে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের অর্থায়ন ও সহায়তা প্রদান করবে।
মন্তব্য করুন