

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা দেশীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে অংশ নিতে উৎসাহিত করেছে।
ইইউ তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আমরা সমর্থন করি।
পোস্টে আরও বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে আমরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই।
ইইউ রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে পরবর্তী ধাপে গঠনমূলকভাবে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করছি।
এদিকে গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির সময় যথেষ্ট সমর্থন ও কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ডব্লিউটিওর উপমহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং বাসসকে দেওয়া এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় প্রদত্ত বহুবিধ কার্যক্রম থেকে উপকৃত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ডব্লিউটিও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে উন্নয়নশীল অর্থনীতির বাণিজ্য সক্ষমতা জোরদার করে।
এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) প্রসঙ্গে ডব্লিউটিও’র উপমহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ ইআইএফের একটি প্রধান সুবিধাভোগী, যা এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে বৈশ্বিক বাণিজ্যে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণে সহায়তা করতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ইআইএফ বর্তমানে তৃতীয় ধাপে রূপান্তরিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ আরও পাঁচ বছর ইআইএফ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
মন্তব্য করুন