

রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের মরদেহ আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনেই উত্তোলন করা হবে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগত উল্লাহ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিচয় শনাক্তে তাদের আত্মীয় ও স্বজনদের কাছে থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিবার চাইলে শনাক্ত হওয়া দেহাবশেষ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের উদ্দেশ্যে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় নির্ধারণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার একটি আদালতের নির্দেশ অনুসারে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকালে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. ছিবগত উল্লাহ কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডারসহ ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবেন।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাহিদুল ইসলামের আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্যই এই আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত এই ১১৪ জনকে গত বছর রায়েরবাজার কবরস্থানে অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়। পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা অত্যাবশ্যক। পরিচয় নির্ধারণের পর মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তাও সেখানে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন