আওয়ামী সরকারের পতন হলেও তারা এখনো দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের দোসররা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এই অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী কৃষক দল যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডকে লোমহর্ষক, পৈশাচিক, বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী খুন-খারাবিরর মতো পৈশাচিক ও লোমহর্ষক খেলায় মেতে উঠেছে। পশুর চেয়েও হিংস্রতা ও ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, খুন-খারাবির মাধ্যমে ঘাপটিমারা আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের দমনে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের দাপটে দেশ আবারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। তাই হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে, সেজন্য দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তা হলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে তরিকুল ইসলামকে হত্যাকারী দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অপর এক বিবৃতিতে তরিকুল ইসলামকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। নেতারা নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকবিহব্বল পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্তব্য করুন